এমন কিছু সুপার ফুড আছে যেগুলো দ্রুত শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নতি ঘটায়। নিউজ এইটটিনের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিষয়টি। চলুন দেখে নেই সেগুলো কী কী।
-
ফল ও শাক-সবজি
প্রথম থেকেই শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও শাক-সবজি খাওয়ান। শারীরিক ও মস্তিষ্কের উন্নতির জন্য পুষ্টির প্রয়োজন পড়ে, তা মেলে ফল ও শাক-সবজি থেকে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শিশুকে রোগ ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
-
ডিম
এক বছর বয়সের পর থেকেই শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে ডিম। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি ও ডি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফলিক অ্যাসিড, যা শিশুর মানসিক বৃদ্ধি ঘটায়।
-
দুধ
শিশুর জন্য দুধই প্রধান খাবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন, যা শিশুর শরীরে উন্নতি ঘটায়। এ ছাড়া দুধে থাকা ফসফরাস ও ভিটামিন ডি হাড়, নখ ও দাঁত গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
-
বাদাম
প্রতিদিন শিশুকে বাদাম দিন। আমোন্ড, কাজু, চীনা বাদাম ও আখরোট শিশুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। শুধু তা-ই নয়, এটা শিশুর শরীরে শক্তি জোগায় এবং শারীরিক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
-
কলা
সাধারণত প্রতিটি শিশুই কলা ভালোবাসে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, সি, এ ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবার। এ ছাড়াও কলায় রয়েছে গ্লুকোজ, যা শক্তি জোগায়।
-
দই
দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য শিশুর ডায়েটে রাখুন দই। এতে ল্যাকটোজ, আয়রন, ফসফরাস রয়েছে।
-
ওটস
ওটস ফাইবার ও বেটা গ্লুকানে সমৃদ্ধ। ওটস এমন একটি সুপারফুড, যা শিশুরা পছন্দ করে। এটি শক্তি জোগায়। বাবা-মায়েরা ওটসকে স্ন্যাকস হিসেবেও সন্তানদের দিতে পারেন।
-
বেরি
শিশুদের ব্লুবেরি, স্ট্রবেরিও দিতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়াও পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। এগুলো শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতাকে উজ্জীবিত করে।
-
আলু
শিশুকে মিষ্টি আলু দেওয়া উচিত। এতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ থাকে, যা শিশুকে শক্তি জোগায়।