বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলার নানা উপকারী দিক

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:৫১

কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রতিরোধী স্টার্চ। দেহের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে কলা। অনেক সময়েই আমাদের হঠাৎ খিদে পায়, যার পোশাকি নাম ক্রেভিংস। বলা হয় কলার মধ্যে এমন কিছু ফাইবার রয়েছে, যা এই ক্রেভিং কমিয়ে দেয়।

আমাদের অনেকেরই প্রিয় ফল কলা। এর রয়েছে নানা উপকারী দিক। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত। চলুন দেখে নেই।

-

বিকেলের নাশতায় অনেকেই বাচ্চাদের পাতে কলা দেন। স্কুলে টিফিন হিসেবেও বাচ্চাদের কলা দিয়ে থাকেন মায়েরা। শুধু তা-ই নয়, রাস্তাঘাটে খিদে পেলে দুটি কলা খেয়ে নেয়া মানে বেশ কিছুক্ষণ পেটভর্তি থাকবে। কিন্তু অনেকেই বলেন কলা ওজন বৃদ্ধি করে। কথাটা কতটুকু সত্যি? পুষ্টিবিদদের একাংশের মতে কলা ওজন বাড়ায় না। বরং এটি একটি লো ফ্যাট যুক্ত খাবার, যা অনায়াসে খাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে অল্প সময়ে ক্ষিদে মেটাতে কলার বিকল্প নেই। আমরা কাঁচা এবং পাকা দুভাবেই কলা খেয়ে থাকি। দুই অবস্থায় এই সবজি এবং ফলের আলাদা গুণ রয়েছে। পাকা কলা কীভাবে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখতে কাজে লাগে দেখে নিন।

নিউট্রিশনিস্টদের অনেকে বলেন, কলা হলো একটি স্লিমিং সুপারফুড। তাই ওজন না বাড়িয়ে যদি আপনি পেট ভরানোর মতো খাবার খেতে চান, তাহলে কলা খেতে পারেন অনায়াসে। অতএব বাচ্চা থেকে বড় যে কারও খাবারেই কলা থাকতে পারে।

এই জিরো ফ্যাট ফুডের মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। একটি মাঝারি সাইজের কলার মধ্যে মোটামুটিভাবে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে ১০০-এরও কম। স্বাস্থ্যের পক্ষে এই ফল তাই খুব একটা সমস্যার নয়।

কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রতিরোধী স্টার্চ। দেহের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে কলা। অনেক সময়েই আমাদের হঠাৎ হঠাৎ খিদে পায়, যার পোশাকি নাম ক্রেভিংস। বলা হয় কলার মধ্যে এমন কিছু ফাইবার রয়েছে, যা এই ক্রেভিং কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ খিদে কমিয়ে দেয় এবং পেট ভরিয়ে রাখে। একটি পাকা শক্ত এবং মাঝারি আকার আয়তনের কলা থেকে ৪.৭ গ্রাম প্রতিরোধী স্টার্চ পাওয়া সম্ভব, যা দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। অর্থাৎ খিদে পাবে না।

আপেলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় কলার মধ্যে চারগুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে। আপেলের থেকে অন্তত ২ গুণ বেশি কার্বোহাইড্রেট এবং ৩ গুণ বেশি পটাশিয়াম ও ২ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফসফরাসও রয়েছে এই ফলের মধ্যে।

কলার মধ্যে থাকা প্রতিরোধী স্টার্চ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণও কম রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হাড়ের গঠন সুদৃঢ় হয় এবং হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।

এ বিভাগের আরো খবর