শিশুর জন্মের পর তার মাড়ির যত্ন নিতে হয়। একই ভাবে দাঁত উঠলে নিতে হবে দাঁতের যত্ন। সময়মতো শিশুর দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিতে পারলে তারা অনেক ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পায়। ফাস্টক্রাই ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত। চলুন দেখে নেই।
-
দুধ খাওয়ার পর শিশুর মাড়ি পরিষ্কার করে দিতে হয়। তুলা অথবা নরম কাপড় আঙুলে জড়িয়ে মাড়ি পরিষ্কার করা যায়।
শিশুর প্রথম দাঁত উপস্থিত হওয়ার পর তার যত্ন নেয়াও জরুরি। কারণ নতুন দাঁত তাদের কথা বলার দক্ষতাকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি তাদের জ–লাইন গঠনে সহায়তা করে। নতুন দাঁতে ব্রাশ ব্যবহার করলে কোনো সমস্যা হয় না, বরং অনেক ক্ষেত্রে সেটা শিশুর জন্য ভালো।
শিশুর দাঁত পরিষ্কার করার জন্য ছোট মাথা ও নরম নাইলন ব্রিজল দেয়া ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। ব্রাশ বাইয়ের ক্ষেত্রে রঙিন এবং কার্টুন থিমের ব্রাশ বেছে নিন। এ রকম ব্রাশ পেলে শিশু দাঁত মাজাকে মজা হিসেবে নেবে এবং এতে আগ্রহ পাবে।
সাধারণত তিন বছরের নিচের শিশুদের টুথপেস্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয় না। কারণ এই শিশুরা কুলি করতে পারে না, ফলে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে দিলে তারা সেটা গিলে ফেলে। তারপরও যদি টুথপেস্টের দরকার হয় তাহলে নন–ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
শিশু কুলি করতে শিখলে অথবা তিন বছর বয়সের পরে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে দেয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে তিন মাস পর পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করে দিতে হবে।
শিশুদের খুব বেশি টুথপেস্ট দেয়া যাবে না। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, দাঁত ব্রাশ করার জন্য শিশুকে মটর দানার সমপরিমাণ টুথপেস্ট দেয়া যেতে পারে।