বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এশিয়ার সেরা স্ট্রিট ফুডের তালিকায় ‘ফুচকা’

  •    
  • ২৭ আগস্ট, ২০২২ ২২:৪৭

‘ভারতে যেটি পানিপুরি, গোলগাপ্পা বা গুপচুপ নামে পরিচিত, ফুচকা সেটিরই বাংলাদেশি সংস্করণ। এটি দেখতে যেমন মুচমুচে, খেতেও তেমন।’

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ট্রাভেল পাতায় এশিয়ার সেরা ৫০ স্ট্রিট ফুডের তালিকায় উঠে এসেছে ফুচকার নাম।

গত ২৪ আগস্ট সিএনএনের ট্রাভেল বিভাগে কেট স্প্রিঙ্গারের লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একটু মিষ্টি, একটু টক, একটু ঝাল ফুচকা বাংলাদেশের পথেঘাটে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া খাবার। ভারতে যেটি পানিপুরি, গোলগাপ্পা বা গুপচুপ নামে পরিচিত, ফুচকা সেটিরই বাংলাদেশি সংস্করণ। এটি দেখতে যেমন মুচমুচে, খেতেও তেমন।’

ওই প্রতিবেদনে এশিয়ার সেরা ৫০ খাবারের মধ্যে স্থান পেয়েছে পাকিস্তানের ফালুদা ও বান কাবাব, ভারতের জিলাপি, নেপালের মোমো, ভুটানের এমা ডাটশি, মালদ্বীপের কাভাবু, থাইল্যান্ডের খাও সোই ও সাই ক্রোক ইসান, মালয়েশিয়ার আসাম লাকসা ও নাসি লেমাক, ভিয়েতনামের বান মি এবং ফো, তাইওয়ানের বাবল টি, ইন্দোনেশিয়ার গাডো গাডো, গেটুক এবং কেরাক টেলর, ফিলিপাইনের হালো হালো ও কোয়েক কোয়েক, চীনের জিয়ানবিং ও জিয়াওজি, মিয়ানমারের লাহপেত থোকে এবং জাপানি আইসক্রিম সোফুতো কুরিমু।

ফুচকা সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মুচমুচে পুরের মধ্যে পেঁয়াজ, শসা ও লেবু মাখানো আলু ভর্তা ও রাবড়ি পুড়ে দেয়া থাকে। এর ওপরে ডিমের কুচি দেয়া হয়। সঙ্গে দেয়া হয় তেঁতুলের টক।

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ফুচকা এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে পরিচিত পথের খাবার হয়ে উঠলেও এটির আগমন খুব বেশি দিনের না। ১৯৪৭-এ দেশভাগের পর মূলত ঢাকায় এটির আগমন ঘটে। ঢাকায় এসে এটির অনেক বিবর্তন ঘটেছে।

এটির আদি রূপ পানিপুরির উল্লেখ মহাভারতেও আছে বলে অনেক খাদ্যবিশারদ দাবি করেন। সেখানে এটিকে ‘জলপত্র’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের একেক অঞ্চলে এটি একেক নামে পরিচিত। মহারাষ্ট্রে এটিকে পানিপুরি বলা হলেও মধ্যপ্রদেশে বলা হয় ফুলকি। দিল্লি, পাঞ্জাব এবং এমনকি পাকিস্তানে এটিকে বলা হয় গোলগাপ্পা। গুপচুপ বলা হয় উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশে। বাংলাদেশের মতো বিহার ও নেপালেও এটিকে ফুচকা বলা হলেও আসামে এটির নাম ‘ফুসকা’।

এ বিভাগের আরো খবর