বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কে-টু জয়ের গল্প শোনালেন ওয়াসফিয়া

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৪৩

পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম ও ভয়ঙ্কর পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে পরিচিত কে-টু তে ১৯৫৪ সালের পর আরোহণ করা ৪০ নারী পর্বতারোহীর একজন ওয়াসফিয়া নাজরীন। বুধবার দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে রোমাঞ্চকর কারাকোরাম অভিযান তুলে ধরেন দেশের একমাত্র সেভেন সামিট জয়ী এই পবর্তারোহী।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং বিপদসংকুল পর্বতশৃঙ্গ কে-টু জয় করার পর মাতৃভূমিতে ফিরেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। নেপালের কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বুধবার দুপুরে দেশে ফেরেন ৩৯ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী।

১৯৫৪ সালের পর পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম ও ভয়ঙ্কর পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে পরিচিত কে-টু তে আরোহণ করা ৪০ নারী পর্বতারোহীর একজন ওয়াসফিয়া নাজরীন। তার এ অভিযানে স্পন্সর ছিল রেনাটা লিমিটেড।

দেশে পৌঁছানোর পর রাজধানীর শেরাটন হোটেলে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে দুই মাসব্যাপী রোমাঞ্চকর কারাকোরাম অভিযান নিয়ে কথা বলেন ওয়াসফিয়া। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পর্বতারোহণ ও ট্র্যাকিংয়ের অনুমতি পেয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসফিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন ৪০-এ পা দেয়, তখন আমি সেভেন সামিট জয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। দেশের ৫০ বছরপূর্তিতে আমি চেয়েছিলাম কে-টু জয় করতে। এ জন্য আমি ১০ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করেছি।

ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসফিয়া নাজরীন

‘ডেথ জোন (অক্সিজেনের ভয়াবহ স্বল্পতার কারণে যেসব পর্বত আরোহণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ) পর্বতগুলোতে আরোহণ করতে অনেক মানুষের প্রয়োজন হয়। আর এ সাফল্যের জন্য আমার দলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

‘আমার এই দলে যারা ছিলেন তাদের বেশ কয়েকজনকে এ মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পর্বতারোহী হিসেবে মনে করা হয়। যারা আমার মঙ্গল কামনা করেছেন এবং আমার ওপর ভরসা করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ।’

তিনি বলেন, ‘কে-টু আমার আরোহণ করা সবচেয়ে দুর্গম পর্বত, যেখানে বেশ কয়েকবার আমি পাথরে আঘাত পেয়েছি। আবার কিছু ক্ষেত্রে ভাগ্যও আমাদের সহায়তা করেছে। কে-টু স্থানীয়ভাবে ‘ছোগোরি’ বা পর্বতের রাজা হিসেবে পরিচিত। সেখানে প্রতি পদক্ষেপে রয়েছে মৃত্যুঝুঁকি।

‘একবারেই কে-টু জয় করে ফেরত আসা অল্পকিছু পর্বতারোহীর মধ্যে আমরা রয়েছি। এমনও অনেক পৃথিবী বিখ্যাত পর্বতারোহী রয়েছেন যারা বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেও এ পর্বতশৃঙ্গ জয় করতে পারেননি। আমি এই অভিযানের স্পন্সর রেনাটা লিমিটেডকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমার এই মিশনের ওপর ভরসা রেখেছেন এবং আমাকে সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করেছেন।’

কারাকোরাম রেঞ্জে অবস্থিত কে-টু পর্বত ৮ হাজার ৬১১ মিটার উঁচু এবং পর্বতারোহীদের আরোহণের জন্য এভারেস্টের চেয়েও দুর্গম হিসেবে পরিচিত।

বিপদসংকুল পরিবেশ, প্রায় পিরামিড-সদৃশ ঢাল এবং অনিশ্চিত আবহাওয়ার এই স্যাভেজ মাউন্টেনের চূড়ায় পা রাখতে পেরেছেন মাত্র চারশ’ পর্বতারোহী, যাদের অনেকেই আর নিচে নামার সুযোগ পাননি।’

কে-টু জয়ের পর ওয়াসফিয়া নাজরীন

ওয়াসফিয়া নাজরীন ২২ জুলাই তার দলের সঙ্গে কে-টু পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করেন। তার দলের অনেকেই পৃথিবী বিখ্যাত পর্বতারোহী, যাদের মধ্যে মিংমা তেনজি শেরপা, মিংমা ডেভিড শেরপা ও নির্মল পুরজাকে নিয়ে ‘১৪ পিকস’ নামে একটি ডকুমেন্টারি করেছে নেটফ্লিক্স।

ওয়াসফিয়া প্রথম বাঙালি এবং একইসঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি, যিনি সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় করলেন। তিনি পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, পাকিস্তানের উচ্চতম এবং সবচেয়ে দুর্গম ও বিপদসংকুল পর্বতশৃঙ্গ কে-টু বিজয়ী প্রথম বাঙালি এবং বাংলাদেশি।

এ বিভাগের আরো খবর