জ্বালানি তেলের দাম আরও একদফা বেড়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে অনেকেই জ্বালানি তেলের খরচ নিয়ে চিন্তায় আছেন। চাইলে সহজ কিছু কাজ করে জ্বালানি তেলের খরচ কমানো সম্ভব। মোবল ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত। চলুন দেখে নেই।
-
চাকার বাতাস
গাড়ির চাকায় যদি বাতাস কম থাকে তাহলে রাস্তায় চলার সময় চাকা রাস্তাকে আটকে ধরে এবং গাড়ির গতি কমিয়ে ফেলে। ফলে ইঞ্জিনকে বেশি তেল খরচ করতে হয়। তাই চাকায় পর্যাপ্ত বাতাস নিয়ে গাড়ি চালালে তেল খরচ কমে আসে।
-
বাড়তি মালামাল
গাড়িতে থাকা অপ্রয়োজনীয় মালপত্র গাড়ির ওজন বৃদ্ধি করে ইঞ্জিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে গাড়ি চলতে তেল বেশি খরচ হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ৫০ কেজি মালামালের জন্য ২ শতাংশ তেল খরচ বেশি হয়। তাই গাড়ি থেকে অপ্রয়োজনীয় মালপত্র সরিয়ে নিন।
-
জানালা খোলা রাখা
জানালা খোলা রেখে গাড়ি চালালে প্রচুর বায়ু প্রতিরোধের সৃষ্টি হয়। ফলে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে জানালা বন্ধ রেখে এসি ছেড়ে গাড়ি চালান। এসি চালালেও তেল খরচ হয়, তবে সেটা বায়ু প্রতিরোধী তেল খরচের চেয়ে কম।
-
খুব জোরে বা আস্তে গাড়ি চালানো
রাস্তায় চলার সময় গাড়ির ইঞ্জিন বাতাসের প্রতিরোধকে অতিক্রম করতে কঠোর পরিশ্রম করে। আপনি ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে চালালে ১৫ শতাংশ এবং ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে চালালে ২৫ শতাংশ বেশি জ্বালানি পোড়ে। অন্যদিকে ৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টার চেয়ে ধীরগতিতে গাড়ি চালালে ইঞ্জিন কম গিয়ারে চলে যাবে। তাতে আরও বেশি জ্বালানি ব্যবহার করবে। তাই জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ৫০ থেকে ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে গাড়ি চালানো ভালো।
-
ঘন ঘন ব্রেক করা
ঘন ঘন ব্রেক করলে গাড়িকে আবার গতি তুলতে বাড়তি তেল খরচ করতে হয়। তাই চলার জন্য এমন পথ বেছে নিন যেখানে ট্রাফিক জ্যাম কম এবং রাস্তার কন্ডিশন ভালো।
-
জ্যামে ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন
আমাদের দেশের রাস্তায় দীর্ঘ সময় ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকতে হয়। এ সময় ইঞ্জিন চালু রেখে তেল খরচ করবেন না। বরং ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন এবং তেল বাঁচান।