বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তীব্র গরমে গায়ে ফ্যান লাগিয়ে ঘুরছে কুকুর

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৫৪

ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলছে হিকারু উজাওয়ার এই বিশেষ ফ্যান। ১ জুলাই দোকানটি উদ্বোধনের পর অন্তত ১০০টি অর্ডার পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালি থেকেও আসছে চাহিদা।

জলবায়ু পরিবর্তনে পুড়ছে বিশ্ব। মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালা কিছুই রেহাই পাচ্ছে তীব্র গরম থেকে। কদিন আগেই, ব্রিটেনের একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শূকরদের গরম থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন মাখিয়েছিল খামারিরা।

ইউরোপের হাওয়া লেগেছে পূর্ব এশিয়াতেও। গ্রীষ্মের অসহ্য গরমে শীতল থাকার জন্য কুকুরের গায়ে আটকানো যায় এমন ফ্যান (ওয়ারেবল ফ্যান) কেনায় মেতে উঠেছেন জাপানের কুকুর মালিকরা

ওয়ানসি নামের ফ্যানটি একটি জালের সাথে সংযুক্ত। এটি পোষা প্রাণীর পশমের নিচের স্তরও ঠান্ডা রাখে।

হিকারু উজাওয়া সুইট মাম্মি নামে একটি মাতৃকালীন পোশাকের দোকানমালিক। তিনি বলেন, ‘আমার কুকুর বাইরে হেঁটে আসার পর হাঁপাত। অসহ্য গরমে সে দুর্বল হয়ে যেত। এ ফ্যান ব্যবহারের পর সে হাঁপানো বন্ধ করে দিয়েছে।’

ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলছে হিকারু উজাওয়ার এই বিশেষ ফ্যান। ১ জুলাই দোকানটি উদ্বোধনের পর অন্তত ১০০টি অর্ডার পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালি থেকেও আসছে চাহিদা।

কেবল কুকুরের শরীর ঠান্ড রাখে, তা কিন্তু নয়। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতাও ঠিকঠাক আপনাকে জানিয়ে দেবে হিকারুর এই বিশেষ ফ্যান।

জুলাইয়ের শুরুতে রাজধানী টোকিওর বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। অবস্থা বেগতিক দেখে দিনের বেলা বাইরে যাওয়া এবং ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকার জন্য জনগণকে অনুরোধ জানায় কর্তৃপক্ষ।

সারা বিশ্বেই এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে ইংল্যান্ডে ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়; যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জারি হয় ‘চরম তাপ সতর্কতা’। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এই গ্রীষ্ম মৌসুমে তাপজনিত মৃত্যুর কারণে শত শত মানুষ মারা যেতে পারে।

হিকারু বলেন, ‘গরম থেকে বাঁচাতে আমার চিহুয়াহুয়া ও সোয়ানের (কুকুর) জন্য বহনযোগ্য পাখা তৈরি করেছি।’

হিকারুর এ ধরনের ফ্যানের ধারণা আসে তিন বছর আগে, ২০১৯ সালে। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন গ্রীষ্মে হাঁটার পর সোয়ান অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়।

হিকারু বলেন, ‘কাজের সময়সূচির কারণে আমার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা কঠিন ছিল। তাই মধ্যাহ্নের গরমেই ওদের হাঁটাতে নিয়ে যেতাম।

পশু চিকিৎসকদের সাহায্যে এই ফ্যান তৈরি করেন হিকারু। এখন পাঁচটি ভিন্ন আকারের ফ্যান বিক্রি করছেন তিনি। প্রতিটির দাম নিচ্ছেন ৯ হাজার ৯০০ ইয়েন; অর্থাৎ ৭৪ ডলারের কাছাকাছি।

হিরোকো মুরায়ামা তার দুটি ইয়র্কশায়ার টেরিয়ার অ্যান এবং ননের জন্য ওয়ানসি কিনেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম যে ফ্যানের ঘূর্ণায়মান শব্দ তারা অপছন্দ করতে পারে। তবে এমনটা হয়নি। প্রতিদিন সকালে হাঁটার সময় তারা এগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকে।’

হিকারু বলেন, ‘চাহিদা থাকায় আরও দুটি পরিধানযোগ্য ফ্যানের মডেল তৈরি হচ্ছে। একটি শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত, অন্যটি পরিধানযোগ্য। এখন কুকুররা উত্সবে গেলেও শান্ত থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর