বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কী আছে ৭০০ বছরের পুরনো বিয়ের বাজারে?

  •    
  • ৪ আগস্ট, ২০২২ ২১:৪৯

মধুবনী জেলায় একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে বর জনসাধারণের প্রদর্শনীতে দাঁড়ায় এবং কনের পুরুষ অভিভাবকরা তাদের বিয়ের জন্য বেছে নেন।

পূর্ব ভারতের বিহার রাজ্য। জুলাইয়ের এক বিকেলের তীব্র গরমে মধ্য ত্রিশের এক লোক মাঠের কোনায় দাঁড়িয়ে আছেন। ভীষণ নার্ভাস দেখাচ্ছে তাকে। পরনে গোলাপি শার্ট, কালো ট্রাউজার। কিছুর প্রত্যাশায় এই অপেক্ষা।

নির্ভয় চন্দ্র ঝার বয়স ৩৫। বেগুসরাই থেকে মধুবনী জেলায় আসতে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে ১০০ কিলোমিটারের বেশি (৬২ মাইল) পথ। জেলার সৌরথ গ্রামে আজ বসেছে অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ‘বর বাজার’। নির্ভয় চন্দ্র নিজের জন্য উপযুক্ত পাত্রী খোঁজার আশায় এখানে উপস্থিত হয়েছেন

যেকোনো মুহূর্তে একটি মেয়ের পরিবার তার কাছে আসবে, যৌতুকের বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। উচ্চাকাঙ্ক্ষী বর ৫০ হাজার টাকার ট্যাগ নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন।

নির্ভয় বলেন, ‘বয়স যদি কিছুটা কম হতো তবে সহজেই ২-৩ লাখ টাকা চাইতে পারতাম।’

নির্ভয় একজন মৈথিল ব্রাহ্মণ। এরা বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে বাসকারী হিন্দু ব্রাহ্মণদের একটি উপগোষ্ঠী। ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় হলো জটিল হিন্দু বর্ণের শ্রেণিবিন্যাসের মধ্যে প্রভাবশালী সামাজিক গোষ্ঠী। তারা ঐতিহাসিকভাবে নানা সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করে আসছে।

নির্ভয় চন্দ্র ঝা পাত্রীর খোঁজে ইভেন্টে এসেছেন। ছবি: আল জাজিরা

হিন্দু এন্ডোগ্যামি নিয়মগুলো সাধারণত একই বংশের মধ্যে বিয়েকে সীমাবদ্ধ করে। মানে তারা একই বর্ণ-গোষ্ঠীর মধ্যে জোটকে উত্সাহিত করে; কারণ এ ধরনের বন্ধনগুলোর বেশির ভাগ পরিবার দ্বারা ‘বিন্যস্ত’ হয়।

নির্ভয় একটি কারখানায় ম্যানেজার পদে আছেন। এটা তার জন্য বড় অ্যাডভানটেজ। কারণ তার আয় স্থিতিশীল। এ জন্য ভালো এবং উপযুক্ত কনে পাওয়ার আশায় আছেন তিনি।

যৌতুক যদিও ভারতে বেআইনি, তবে এটা প্রচলিত এবং এর সামাজিক স্বীকৃতি রয়েছে। বিশেষ করে বিহার এবং পার্শ্ববর্তী উত্তর প্রদেশ রাজ্যে এই চর্চা অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে বছরে যৌতুকের অর্থ প্রদানের মোট মূল্য ৫ বিলিয়ন ডলার; যা জনস্বাস্থ্যের ভারতের বার্ষিক ব্যয়ের সমান।

অন্তত ২০ জন পুরুষ গাছের নিচে বসে ‘সৌরথ সভা’র এই মৌসুমে বরের উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন। এটিকে বলা হয়ে থাকে বিশ্বের প্রাচীনতম বিয়ে সাইটগুলোর একটি।

যদিও এ ধরনের ঐতিহ্যগুলো ভারতে অনেকাংশে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে মধুবনীতে এটি টিকে আসছে সাবলীলভাবেই।

বর বাজার

এটা প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য। এখানে উচ্চাকাঙ্ক্ষী বররা নিজেদের প্রদর্শনে দাঁড়িয়ে থাকেন। কনের পুরুষ অভিভাবকরা সাধারণত বাবা বা ভাই বেছে নেন বর। সাধারণত কনের এ ক্ষেত্রে কিছু বলার থাকে না।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘এটা অনেকটা কেনাকাটার মতো। বর পছন্দ হলে উপযুক্ত যৌতুক দিয়ে এখানে বিয়ে ঠিক করা হয়ে থাকে।’

একজন পঞ্জিকার বা ঐতিহ্যবাহী রেকর্ড-রক্ষক, কয়েক শতাব্দী ধরে পারিবারিক রেকর্ড রাখে। ছবি: আল জাজিরা

মৈথিল ব্রাহ্মণদের কাছে এটি পবিত্র অনুষ্ঠান। স্থানীয়রা বলছেন, সম্ভাব্য কনের পরিবার তাদের উদ্দেশ্য ঘোষণা না দিয়েই গ্রামে আসে। দূর থেকে গোপনে পুরুষদের পর্যবেক্ষণ করে। পছন্দ হলে নির্বাচিত বরের ওপর একটি মিথিলা গামছা, একটি লাল শাল পরিয়ে দেয়। এটার মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়ে প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়া হয়।

মধুবনীর বাসিন্দা জ্যোতি রমন ঝা বলেন, ‘এটা বাসের সিটে রুমাল রাখার মতোই। যেমন গণপরিবহনে আগে আসলে আগে সিট পাবেন।’

প্রচলিত আছে, আগে বরদের জন্য উন্মুক্ত বিডিং হতো। বরের পেশা যত বেশি মর্যাদাপূর্ণ, যৌতুকের দাবি তত বেশি। প্রকৌশলী, ডাক্তার এবং সরকারি কর্মীদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল।

অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং শহরে স্থানান্তর অনেক ভারতীয়কে পারিবারিক জমি থেকে উৎখাত করেছে। অভিভাবকদেরও এখন তাদের সন্তানদের বৈবাহিক পছন্দের ওপর নিয়ন্ত্রণ অনেক কম। সস্তায় ইন্টারনেট সুবিধার সঙ্গে সাজানো ম্যাচমেকিংগুলো অনলাইনে এখন অহরহ। ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈবাহিক ওয়েবসাইটও রয়েছে।

সৌরথ সমাবেশের অনুষ্ঠানটি গ্রামের একটি পুকুরের পাশে হয়, যেখানে আছে বট ও আমগাছ। পাশেই একটি বিশাল অব্যবহৃত কূপ, যেটি পুরোনো দিনের স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। পুকুরের পাশেই প্রাচীন হিন্দু একটি মন্দির।

গাঢ় লাল রঙে হিন্দিতে লেখা ‘সৌরথ সভা’। একটি উজ্জ্বল হলুদ ব্যানারের নিচ দিয়ে আগন্তুকরা সেখানে প্রবেশ করেন। কিংবদন্তি আছে, এক লাখ ব্রাহ্মণ এখানে এলে, প্রাচীন বটগাছটির সব পাতা ঝরে পড়বে।

স্বরাজ চৌধুরী নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘আগে জনগণকে এখানে আনার জন্য রাজ্যজুড়ে বাসসুবিধা ছিল। এখন অনুষ্ঠানে খুব কম মানুষের আনাগোনা হয়।’

যৌতুকের হুমকি

শেখর চন্দ্র মিশ্র এই সভার অন্যতম উদ্যোক্তা। এ আয়োজনের এমন পতনের জন্য মিডিয়া এবং রাজনীতিবিদদের দায়ী করেছেন তিনি৷

শেখর বলেন, ‘মিডিয়া আমাদের সভাকে এমন একটি বাজার হিসেবে চিত্রিত করেছে, যেখানে বলা হয় পুরুষদের গবাদিপশুর মতো বিক্রি করা হয় এখানে।’

শেখর অবশ্য স্বীকার করতে পিছপা হননি যে এই ঘটনা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে উন্মুক্ত যৌতুকের সংস্কৃতি প্রচার করে আসছে।

তিনি বলেন, ‘আজকাল যৌতুককে সদয় দৃষ্টিতে দেখা হয় না। তবুও তা টেবিলের নিচেই হয়। যদি বাবা-মা তাদের ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার বানানোর জন্য অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে তারা বিনিয়োগ ফেরত চান। যৌতুককে এটি করার অন্যতম উপায় হিসেবে দেখা হয়।’

বিহারে যৌতুক একটি বড় হুমকি। বিভিন্ন সরকার যৌতুকবিরোধী প্রচারাভিযান শুরু করলেও যৌতুকের কারণে মৃত্যু ও হত্যা কমছে না। ২০২০ সালের জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, বিহারে এক হাজারের বেশি যৌতুকের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে; যা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

পঞ্জিকারদের দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা পারিবারিক রেকর্ডের একটি বই। ছবি: আল জাজিরা

বিহার সরকারের একটি সাম্প্রতিক প্রচারাভিযান জনগণকে তাদের বিয়ের কার্ডে যৌতুকবিরোধী ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিসের দেয়ালে গ্রাফিতি এঁকে জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।

এই হুমকি অঞ্চলে একটি অদ্ভুত প্রবণতার জন্ম দিয়েছে। এটিকে বলা হয় ‘পাকদওয়া বিভা’ বা বন্দি বিয়ে। এ ক্ষেত্রে যৌতুক এড়াতে বন্দুকের মুখে বিয়ে করার জন্য কনের পরিবারের দ্বারা পুরুষদের অপহরণ করা হয়। এখনও এ ধরনের অপহরণের খবর প্রায়শই পাওয়া যায়।

ইভেন্টের লোকেরা সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন, যখন হাজার হাজার বর লাল জামা পরে আসতেন, যৌতুকের আলোচনার পর বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত হতেন।

বিহারের দারভাঙ্গার মনীশ ঝার বয়স ৩১। তিনি তার বর্ণের বাইরে বিয়ে করেছেন। একজন রাজপুত নারীর সঙ্গে বিয়ে তার পরিবার এবং সম্প্রদায় মেনে নিতে পারেনি। অনেক বেগ পোহাতে হয়েছে সবকিছু স্বাভাবিক করতে।

‘বর বাজারে’ দর্শকদের স্বাগত জানানো একটি ব্যানার। ছবি: আল জাজিরা

তিনি বলেন, ‘একবার আমাকে বন্দুকের মুখেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমি তাকে অনেক ভালোবাসতাম। মৃত্যুর হুমকির মধ্যেও তাকে বিয়ে করেছিলাম। আমাদের এখন একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

‘সমাজের নতুন প্রজন্ম নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না। তারা যাকে ভালোবাসে তাকে বিয়ে করতে চায়, তাদের জাত যাই হোক না কেন।’

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য

এসব সত্ত্বেও মনীশ বিশ্বাস করেন, সৌরথ সভাকে মিথিলাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক সত্তা হিসেবে সংরক্ষণ করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘এটি দরিদ্রদের রাজস্ব তৈরিতেও সহায়তা করে। সভা চলাকালীন অনেক লোক পরের কয়েক মাসের জন্য যথেষ্ট উপার্জন করে থাকেন।

ঘনশ্যাম একজন কাঠমিস্ত্রি। নিম্ন হিন্দু বর্ণের ঘনশ্যাম সভাস্থলের কাছে চা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘আগে দোকানদাররা এই সভার অপেক্ষায় বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকতেন। আমার বাবা বলতেন, এই সভা চলাকালীন বেচাবিক্রি করে ছয় মাস টিকে থাকার মতো সঞ্চয় করা যেত। কিন্তু এখন উপস্থিত লোকের সংখ্যা কম।’

সোনু নামে আরেক দোকানদার বলেন, ‘ইভেন্ট চলাকালীন বিক্রি একপর্যায়ে বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। আজকাল তা খুব একটা হয় না।’

সমাবেশে উপস্থিত কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, ইন্টারনেট ম্যাচমেকিংয়ের সহজতা তাদের খুব একটা আকৃষ্ট করে না।

একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী বরের বাবা মুক্তিনাথ পাঠক। তিনি বিশ্বাস করেন সৌরথ সভায় বিয়ে তার ছেলে অমরজিতের জন্য একটি বৈবাহিক ওয়েবসাইটের চেয়ে অনেক নিরাপদ।

তিনি বলেন, ‘যখন অনলাইনে বিয়ে হয়, তখন বিচ্ছেদের ঝুঁকি থাকে। তবে যখন ঐতিহ্যগুলো মানা হয়, সে আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসে।’

সৌরথ সভার পদ্ধতিটি বিজ্ঞানের চেয়ে অনেক এগিয়ে বলে দাবি করেন আয়োজকরা। কারণ এখানে স্থায়ী নিয়ম হলো একই বংশের মধ্যে বিয়ে এড়ানো। মনুস্মৃতির প্রাচীন হিন্দু পাঠে বলা আছে, একই বংশের মধ্যে বিয়ে ‘অশুদ্ধ’ সন্তানের জন্ম দেয়।

মধুবনীর বাসিন্দা জ্যোতি বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইভেন্টে একটি ম্যাচ খুঁজে পেতে একজনকে প্রথমে একজন পঞ্জিকারের কাছে যেতে হবে। একজন ঐতিহ্যবাহী রেকর্ড-রক্ষক বা রেজিস্ট্রার যিনি মৈথিল ব্রাহ্মণ পরিবারের মধ্যে কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তা নিশ্চিত করার জন্য শতাব্দী ধরে রেকর্ড রাখেন।’

পঞ্জিকার পদ্ধতি কঠোরভাবে নির্দেশ করে যে বর এবং কনে তাদের পিতার পক্ষে সাত প্রজন্ম এবং মায়ের পক্ষ থেকে পাঁচ প্রজন্মের জন্য রক্তের সম্পর্কযুক্ত হতে হবে না।

প্রমোদ কুমার মিশ্র একজন পঞ্জিকার। তিনি সভার কাছে একটি তাঁবু স্থাপন করেছেন। প্রমোদ বলেন, ‘আমি বিয়ে করেছিলাম ২০০৩ সালে। আমাকে আমার স্ত্রীর পরিবার বেছে নিয়েছিল। আমরা এখন সুখে বসবাস করছি।’

মেহেক পান্ডে (ডানে), ইভেন্টে তার ভাই এবং মায়ের সঙ্গে বসে আছেন। ছবি: আল জাজিরা

পঞ্জিকাররা এখনও রেকর্ডের একটি মোটা বই সঙ্গে রাখেন। ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম ও মৃত্যু লিপিবদ্ধ করতে তারা বাড়ি বাড়ি যান। ঐতিহ্যবাহী এ কাজের চাহিদা তেমন না থাকায়, তারা আয়ের বিকল্প পথ খুঁজছেন। তাদের সন্তানরা অন্য কাজের সন্ধানে রাজ্যের বাইরে চলে যাচ্ছেন।

কানহাইয়া কুমার মিশ্র নামে একজন বলেন, ‘আমরা সম্ভবত পঞ্জিকারদের শেষ প্রজন্ম।’

সন্ধ্যা হয়ে আসছে। এ সময় এক নারী সভায় এসে উচ্চ স্বরে ঘোষণা দেন, ‘আমার ভাইয়ের জন্য পাত্রী চাই।’

মেহেক পান্ডে উত্তরপ্রদেশ থেকে তার স্বামী এবং মায়ের সঙ্গে তার ৩৩ বছর বয়সী ভাই সুমিত মোহন মিশ্রের জন্য পাত্রী খুঁজতে এসেছেন। জুনে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তবে কনের পরিবার পিছিয়ে যাওয়ায় তা আর হয়নি।

শহরে উপযুক্ত পাত্রী খুঁজে না পেয়ে তারা সভায় যোগদানের জন্য ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বাস এবং ট্রেনে করে মধুবনীতে এসেছেন।

মেহেক বলেন, ‘আজকাল অনলাইন বৈবাহিক অ্যাপের ওপর নির্ভর করতে পারবেন না। কারণ এখানে অনেক ভুয়া কিছু থাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর