ওমরাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ভ্রমণ করা। জীবনে একবার ওমরাহ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটা যখনই করা হোক, তার জন্য প্রতিদান ও বরকত রয়েছে।
শরিয়তের বিধান মতে, ওমরাহর নিয়ম হলো-আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে সুন্নত বা নফল ওমরাহ পালনের নিয়ত করে হজের মতো ‘মিকাত’ তথা ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত জায়গা থেকে বা তার আগেই ইহরামের নিয়ত করতে হয়।
অতঃপর বাইতুল্লাহ শরিফে এসে সাত চক্কর তওয়াফ করে সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের সাঈ করতে হয়। সর্বশেষ হলক (মাথা মুণ্ডানো) কিংবা কসর (চুল ছোট করা)-এর মাধ্যমে ইহরাম খুলতে হয়।
-
ওমরাহ কেন পালন করতে হয়
কোরআন ও হাদিসে ওমরাহর অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে হজ ও ওমরাহ পরিপূর্ণভাবে পালন করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৬)।
আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক ওমরাহ থেকে পরবর্তী ওমরাহ পর্যন্ত মাঝখানের গোনাহগুলোর জন্য কাফফারা স্বরূপ।’ (বোখারি: ১৬৮৩, মুসলিম: ৩৩৫৫)।
ওমরাহ দারিদ্র্য বিমোচন করে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরাহ আদায় করো। কেননা, হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য বিমোচন ও গোনাহ দূর করে দেয় ঠিক সেভাবে, যেভাবে হাঁপরের আগুন লোহা, সোনা ও রুপা থেকে ময়লা দূর করে দেয়।’ (তিরমিজি: ৮১০)।