জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চিন্তায় আছেন ইউরোপের ওয়াইন প্রস্তুতকারকরা। সাম্প্রতিক সময়ে অসহনীয় গরমের পাশাপাশি দাবালন আঘাত হেনেছে মহাদেশটিতে। এই অবস্থায় চলতি বছর চাহিদা অনুযায়ী ওয়াইন প্রস্তুত সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলতি মাসে পর্তুগাল ও স্পেনের তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন বলছে, এসব কারণে এ বছর ওয়াইন প্রস্তুত ২৫ শতাংশ কম হতে পারে।
প্রতিবেদন বলছে, তীব্র গরম বা দাবানলে ইউরোপের কোনো আঙুর বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আগুন না পৌঁছাতে পারলেও কয়েক কিলোমিটার অঞ্চল ছেয়ে যায় ধোঁয়ায়। এতে নষ্ট হতে পারে ফসল। আর তা না হলে এসব বাগানের আঙুর থেকে ওয়াইন প্রস্তুত করা হলে স্বাদে প্রভাব ফেলবে। মানে ওয়াইনে মিলবে ছাইয়ের গন্ধ।
ঝুঁকি আছে আরও। তীব্র তাপ ফুলকে ফল হতে বাধা দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, আঙুরকে ঝলসে দেয়ার পাশাপাশি সেগুলোকে ডিহাইড্রেট করে ফেলতে পারে এ আবহাওয়া।
পর্তুগালের শীর্ষ ওয়াইন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পর্তুগিজ ওয়াইন মেকারস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, খরা এবং খুব উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এ বছর ‘উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হ্রাস’ হতে পারে।
নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী অ্যাঞ্জেল হু বলেন, ‘ইউরোপ অনেক দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। আঙুর বাগানগুলো সাধারণত মহাদেশটির শীতপ্রধান অঞ্চলে অবস্থিত। ফ্রান্স ও জার্মানির আঙিুর বাগানগুলোতে দারুণ প্রভাব ফেলছে বর্তমানের বৈরী আবহাওয়া।’
বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের মধ্যে ইউরোপের গম এবং ভুট্টার ফসলও তীব্র গরমে হুমকিতে পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ গম রপ্তানিকারক দেশ ফ্রান্স। তারা আগেই জানিয়েছিল, এ বছর গম উৎপাদন পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হতে পারে।