কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ হয়েছে।
এই ঈদগাহে ১৯৫তম ঈদের নামাজ শুরু হয় রোববার সকাল ৯টায়। এতে ইমামতি করেন শহরের মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
এতে অংশ নেন জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এই ঈদগাহে দেশের সবচেয়ে বড় জামাত হয় বলে দাবি করেন আয়োজকরা। জেলার বাইরে থেকেও মুসল্লিরা এখানে আসেন ঈদের নামাজ পড়তে।
ঈদের জামাতকে ঘিরে নেয়া হয় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি ছিল দুই প্লাটুন বিজিবি।
জেলা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ নিউজবাংলাকে জানান, ঈদুল আজহার জামাতকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করেছে। মাঠে আর্চওয়ে, একাধিক ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোন ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়।
শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদগাহ ময়দানে ঢোকার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
‘নিরাপত্তার স্বার্থে মোবাইল নিয়ে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। দূরদূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের জন্য সকালে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু ছিল।’