বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ১৮ জেলায় ঈদ

  •    
  • ৯ জুলাই, ২০২২ ১৫:১৫

চট্টগ্রাম, বরিশালসহ ১৮ জেলার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগে উদযাপন করছেন ঈদুল আজহা।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উদযাপন করা হচ্ছে ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানি দিয়েছেন এসব এলাকার মানুষ।

চট্টগ্রাম

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীর শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

চন্দনাইশ এলাহাবাদ জাঁহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা এক দিন আগে শনিবার ঈদ উদযাপন করছেন।

ঈদের প্রধান নামাজের জামাত হয় মমতাজিয়া দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন দরবারের পির মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী শাহ।

মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী লোহাগড়া উপজেলার মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল ছিল পবিত্র হজ। আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হজের পরের দিন কোরবানি দিয়ে থাকি।

‘এটা আমাদের পূর্বপুরুষরা ২০০ বছর আগে থেকে পালন করে আসছেন। আশপাশের চার-পাঁচ উপজেলার অনেক মানুষ আজ কোরবানি দিচ্ছেন।’

মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মতি মিয়া মনছুর বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলেই আমরা দিন গণনা শুরু করি। সেই হিসেবে আজ ১০ জিলহজ। অর্থাৎ হজের পরের দিন। তাই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা হজের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করি।’

বরিশাল

বরিশালের ছয়টি উপজেলায় ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ শাহ সুফি দরবার শরিফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফ এবং আহমাদিয়া জামাত অনুসারীরা এক দিন আগে শনিবার ঈদ উদযাপন করছেন।

ছয় উপজেলার ২০ হাজারের বেশি মানুষ সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঈদের জামাতে অংশ নেন।

সিটি করপোরেশন এলাকায় তিনটি, বন্দর থানা সাহেবের হাটে দুটি, বাবুগঞ্জ উপজেলায় চারটি, হিজলায় দুটি, মেহেন্দিগঞ্জে দুটি এবং বাকেরগঞ্জে একটি জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে তারা পশু কোরবানি করেছেন।

ব‌রিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়া‌র্ডের পূর্ব হ‌রিনাফু‌লিয়া চৌধুরীবা‌ড়ী শাহ মমতা‌জিয়া জা‌মে মস‌জি‌দের সভাপ‌তি ম‌মিনউ‌দ্দিন কালু ব‌লেন, ‘প্রতি বছরই সৌ‌দি আর‌বের সঙ্গে মিল রে‌খে আমরা ঈদ উদযাপন ক‌রে থা‌কি। ব‌রিশাল বিভা‌গে লক্ষা‌ধিক মানুষ আগাম ঈদ উদযাপন কর‌ছে।’

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

সদর উপজেলার বশিকপুর, রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর এবং রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১ গ্রামের হাজারও মানুষ শনিবার ঈদ উদযাপন করছেন।

ঈদের প্রধান নামাজ শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসা মাঠে। এতে ইমামতি করেন মাওলানা রুহুল আমিন।

এ ছাড়া নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন ছোট-বড় মসজিদে ঈদের নামাজ হয়েছে।

মাওলানা ইসহাক (রা.)-এর অনুসারী হিসেবে লক্ষ্মীপুরের এসব এলাকার মানুষ মক্কা-মদিনার সঙ্গে মিল রেখে সব ধরনের ধর্মীয় উৎসব পালন করেন। ৪০ বছর ধরে তারা এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করছেন।

চাঁদপুর

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

সাদরা দরবার শরিফে শনিবার সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন দরবারের পির জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। সাড়ে ৯টায় সাদরা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আরেকটি জামাত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদরা দরবার শরিফের আরেক পির মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

স্থানীয়রা জানান, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদরা গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য গ্রামেও এই চল শুরু হয়। এখন ৪০ গ্রামের মানুষ এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করছেন।

সাদরা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার যেহেতু সৌদি আরবে ঈদ হচ্ছে, তাই চাঁদপুরের ৪০ গ্রামেও আজ ঈদ।

ঈদের নামাজ আদায় শেষে স্থানীয় বেলাল হোসেন বলেন, ‘জন্মের পর থেকে সাদরা দরবার শরিফে ঈদের নামাজ আদায় করে যাচ্ছি। আমাদের বাপ-দাদারাও সৌদির সঙ্গে মিল রেখে নামাজ পড়েছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা এভাবেই আদায় করে যাব।’

পির আরিফ বলেন, ‘আনন্দঘন পরিবেশে ঈদের নামাজ হয়েছে। নিজেদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে আমরা নামাজ আদায় করেছি।’

এ ছাড়া দিনাজপুর সদরসহ জেলার পাঁচ উপজেলায়, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডের ১০ গ্রামে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ২০ গ্রামে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের দুই গ্রামে, শেরপুর সদর উপজেলার ১০ গ্রামে, বাগেরহাটের মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামে, ভোলার পাঁচ উপজেলার ১০ গ্রামে, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ২৫টি গ্রামে সুরেশ্বর দরবার শরিফের অনুসারীরা, পটুয়াখালীর সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামে ও রাঙ্গাবালী উপজেলার দায়রা বাড়ি গ্রামে এবং বরগুনার বেতাগী উপজেলার ১০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ।

এ বিভাগের আরো খবর