বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্যটনের নানান দুয়ার খুলছে দক্ষিণে

  •    
  • ২ জুলাই, ২০২২ ১৮:৪০

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। দেশে পর্যটনের সামগ্রিক মানোন্নয়নে ২০২০ সালে শুরু করা ‘মাস্টার প্ল্যান’ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। এতে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন।

আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ‍সুন্দরবন, সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার মতো সুবিস্তৃত সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা, বিশ্ব ঐতিহ্যে ঠাঁই করে নেয়া স্থাপত্য ষাট গম্বুজ মসজিদসহ অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র। এর পরও এতদিন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দুই বিভাগ খুলনা ও বরিশালে ছিল পর্যটকখরা।

তবে পদ্মা সেতু সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে চলেছে। ঢাকা থেকে দক্ষিণের কুয়াকাটা পর্যন্ত এখন সড়কপথে এক সুতায় গাঁথা। সুদীর্ঘ যাত্রাপথ এখন অতীত।

পদ্মা সেতু চালুর কারণে পর্যটকরা এখন দক্ষিণাঞ্চলমুখী হবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। তবে তারা বলছেন, শুধু সড়কপথের উন্নয়ন নয়, দেশি-বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে আবাসন, স্থানীয় যোগাযোগ ও মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থাও করতে হবে। থাকতে হবে পর্যটকবান্ধব নিরাপদ পরিবেশ।

এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। দেশে পর্যটনের সামগ্রিক মানোন্নয়নে ২০২০ সালে শুরু করা ‘মাস্টার প্ল্যান’ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। এতে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সারা দেশে ১ হাজার ১০০ ট্যুরিস্ট অ্যাট্রাকশন পয়েন্ট আইডেন্টিফাই করেছি। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাট্রাকশন পয়েন্টের আর্কিটেকচারাল ডিজাইন আমরা করব। আমরা ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানও করব।

‘একই সঙ্গে আমরা একটি অ্যাকশন প্ল্যান করব, যাতে নির্ধারণ করা হবে কোনটা তাড়াতাড়ি হবে, কোনটা মধ্যমেয়াদি হবে আর কোনটা দীর্ঘমেয়াদি হবে। সেটা নির্ধারণ করে আমরা কাজ শুরু করব। এটা কমপ্লিট হওয়ার পর আমরা দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলকে আমরা প্রায়োরিটি দেব, কারণ ওখানে যাওয়াটা আগে কষ্টসাধ্য ছিল। এখন সেটা সহজ হয়েছে। কুয়াকাটা, পিরোজপুরসহ বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলকে আমরা অগ্রাধিকার দেব। ওখানে কিছু নতুন ট্যুরিস্ট অ্যাট্রাকশন তৈরির জন্য কাজ করছি। এর মধ্যে আছে সোনাদ্বীপ, আরেকটা সোনারচর। ১০-১৫ দিন আগে আমরা দেখে এসেছি। কীভাবে এগুলো ডেভেলপ করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।’

শুধু পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটক বাড়বে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী।

তবে পর্যটন ব্যবসায়ী ও প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব মো. তৌফিক রহমান মনে করছেন, দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটনকেন্দ্রিক সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এতদিন মূল সমস্যাটা ছিল যাতায়াত। আরেকটা বড় সমস্যা থাকার ভালো ব্যবস্থাপনা নেই। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। ভালো খাবারের জায়গাও নেই। ট্যুরিস্ট অ্যাট্রাকশনের জন্য এসব ক্ষেত্রেই সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।’

পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াতে বিনিয়োগের জন্য ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত আছেন বলে জানান পাটা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব মো. তৌফিক রহমান।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি খুলনা গিয়েছিলাম। সেখানে ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন মোংলাকেন্দ্রিক ট্যুরিজম বাড়বে বলে তারা ধারণা করছেন। ঢাকা থেকে সাড়ে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টায় মোংলা চলে যাওয়া যাবে। তবে মূল অ্যাট্রাকশন থাকবে সুন্দরবন।’

তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য নতুন করে কোনো প্রস্তুতি নেই। মোংলা এলাকায় বর্তমানে যে ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে, সেটা নিয়েই ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করছেন। পর্যটকের ফ্লো ভালো হলে অনেকেই বিনিয়োগ করবেন। ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত আছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর