আলুভর্তা আমাদের সবারই পছন্দ। দেশের সব পরিবারেই কমবেশি আলুভর্তা খাওয়া হয়। তবে সুস্বাদু আলুভর্তা খেতে চাইলে মানতে হবে কিছু নিয়ম। চলুন দেখে নেই।
-
আলু ঠিকমতো কাটা
সিদ্ধ করার জন্য আলু খুব বেশি ছোট টুকরা করে কাটা যাবে না। আলুর টুকরা ছোট হলে তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে ঠিকই, কিন্তু অনেক বেশি পানি শোষণ করবে। পাশাপাশি আলুর টুকরাগুলো সমান আকারে কাটার চেষ্টা করতে হবে। আলুর টুকরাগুলো সমান হলে সব টুকরা একসঙ্গে সিদ্ধ হবে। নইলে কিছু আলু টুকরা বেশি সিদ্ধ হবে, কিছু সিদ্ধ হবে কম।
-
ফুটন্ত পানিতে আলু সিদ্ধ নয়
সিদ্ধ করার জন্য ফুটন্ত গরম পানিতে আলু দেয়া যাবে না। এতে দেখা যায়, আলু সিদ্ধ না হয়ে জমাট বেঁধে থাকে। কারণ ফুটন্ত পানিতে দেয়ার কারণে আলুর বাইরের অংশ সিদ্ধ হয় দ্রুত, কিন্তু ভেতরের অংশ শক্ত রয়ে যায়। তাই আলু সিদ্ধ করার সময়, একটা পাত্রে আলু নিয়ে তাতে সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিন। তারপর তাপ প্রয়োগ করা শুরু করুন।
-
পানিতে লবণ দেয়া
আলু সিদ্ধ করার পর তাতে লবণ দিলে অথবা ভর্তা করার পর লবণ দিলে কিছু সমস্যা তৈরি হয়। সমস্যা হচ্ছে, তাতে সর্বত্র সমানভাবে লবণ প্রবেশ করে না। তাই সিদ্ধ করার সময় পানি ঠাণ্ডা থাকা অবস্থায়ই লবণ দিতে হবে। এতে লবণাক্ত পানি আলুর ভেতরে প্রবেশ করবে এবং আলু তা শোষণ করবে।
-
মাখন এবং ক্রিম যোগ করা
আলুভর্তার স্বাদ বাড়াতে অনেকেই মাখন, ক্রিম অথবা ঘি যোগ করেন। সাধারণত এগুলো ফ্রিজে রাখা হয়, তাই ঠান্ডা থাকে। ঠান্ডা অবস্থায় ব্যবহার করার ফলে আলুতে তা ঠিকভাবে শোষিত হয় না। তাই আলুতে মাখন বা ক্রিম মেশাতে চাইলে গরম করে মেশান।
-
অতিরিক্ত মাখানো
আলু অতিরিক্ত মাখানো হলে তা থেকে বাড়তি শ্বেতসার বের হয়। ফলে আলু অনেক বেশি আঠালো, শক্ত ও স্বাদহীন মনে হয়। তাই আলু নিজের হাতে মাখানোর চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজনমতো মেখে নিন।