বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শুরু হলো সব্যসাচী হাজরার ‘ব্রাহ্মী থেকে বাংলা’

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২২ ২১:২৭

সব্যসাচী হাজরা বলেন, ‘গ্রন্থটির বিষয়বস্তু হলো মুদ্রিত বাংলা হরফ। মূলত প্রমিত বাংলা হরফের পরিক্রমা দেখানো হয়েছে এখানে। এই বই ও প্রদর্শনী ১৯৫২ সালের সব ভাষা শহীদ এবং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হলো চিত্রশিল্পী সব্যসাচী হাজরার ব্রাহ্মী থেকে বাংলা শীর্ষক প্রদর্শনী। একইসঙ্গে প্রকাশিত ও প্রদর্শিত হচ্ছে তার তৃতীয় প্রকাশনা ‘অ- ইন দ্য কোয়েস্ট অফ বাংলা টাইপোগ্রাফি’।

অক্ষরবিন্যাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা হরফকে নান্দনিক ও ব্যবহারিকভাবে বিশ্লেষণ এই প্রদর্শনী ও প্রকাশনার প্রধান উপজীব্য।

প্রদর্শনীটির উদ্বোধন ও বইটি প্রকাশ হয় মঙ্গলবার বিকেলে। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন, শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য, স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজঁ।

মুখের ভাষার মতো লেখার হরফও প্রতিনিয়ত রূপ বদলায়। সময়, প্রযুক্তি, মাধ্যম, প্রয়োগ, বৈষয়িক বোঝাপড়া ও নন্দনতাত্ত্বিক নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভিন্নতা পায় হরফের আদল ও ব্যঞ্জনা।

প্রদর্শিত হচ্ছে সব্যসাচী হাজরার তৃতীয় প্রকাশনা ‘অ- ইন দ্য কোয়েস্ট অফ বাংলা টাইপোগ্রাফি’।

প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনে হাতে লেখার প্রয়োজন সীমিত হয়ে আসছে। কিন্তু হস্তাক্ষর ও লেখাঙ্কনের অনুশীলন অক্ষরবিন্যাস-সংশ্লিষ্টদের জন্য খুবই জরুরি। মুদ্রিত বাংলা অক্ষরের প্রমিত রূপ বিগতকালের হস্তাক্ষরের অনুকরণেই গৃহীত। অক্ষরবিন্যাসের বহুমাত্রিক সম্ভাবনা নিয়ে চর্চার প্রয়োজনে বাংলা অক্ষরের প্রমিত রূপকে প্রকৃতভাবে চেনা, জানা ও আত্মস্থ করার তাগিদে এই প্রয়াস।

অভিনেতা আফজাল হোসেনকে প্রদর্শনীর কাজ দেখাচ্ছেন চিত্রশিল্পী সব্যসাচী। ছবি: সংগৃহীত

এই প্রদর্শনী ও প্রকাশনার মাধ্যমে সব্যসাচী হাজরা মূলত তরুণ শিল্পীদের জন্য বাংলা অক্ষর বিষয়ে তার অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।

সব্যসাচী আশা করেন, তরুণ শিল্পীরা এই চর্চাকে এগিয়ে নেবেন এবং এই প্রকাশনার তথ্যগত ঘাটতি পূরণ করবেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদ্বিশতবার্ষিকীর সন্ধিক্ষণে এই প্রকাশনা ও প্রদর্শনীটি হচ্ছে।

সব্যসাচী হাজরা বলেন, ‘গ্রন্থটির বিষয়বস্তু হলো মুদ্রিত বাংলা হরফ। মূলত প্রমিত বাংলা হরফের পরিক্রমা দেখানো হয়েছে এখানে। আমি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর দ্বারা প্রচণ্ডভাবে অনুপ্রাণিত। এই বই ও প্রদর্শনী ১৯৫২ সালের সব ভাষা শহীদ এবং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।’

প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

আফজাল হোসেন বলেন, ‘পৃথিবীতে একদল মানুষ রয়েছে যারা সৃজনশীল। যারা সবকিছুকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতে পারেন। এ রকম একটা দুঃসময়ে একটা মানুষ হরফের সৌন্দর্য নিয়ে কাজ করছে। এটা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, আনন্দিত হই।’

এনামুল করিম নির্ঝর বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বাংলা হরফ নিয়ে নানা কাজের উদ্যোগ নেয়া হলেও সেগুলো আলোর মুখ দেখেনি। সব্যসাচী হাজরার এই দারুণ কাজটি অন্যদেরও উৎসাহিত করবে বাংলা হরফ নিয়ে কাজ করতে।’

প্রদর্শনীটি চলবে ২৫ জুন পর্যন্ত। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ছাড়া গ্যালারি প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর