নতুন অর্থবছরের জন্য পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি আকারের বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই বিশাল আকারের বাজেট বাস্তবায়নে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নানান পরিকল্পনা জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন মন্ত্রী।
বিদেশ থেকে আমদানি করা পাখি ‘বিলাস পণ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে বাজেট প্রস্তাবে শুল্ক বাড়িয়ে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক ধাক্কায় সেই শুল্ক বাড়ছে পাঁচ গুণ।
ফলে ম্যাকাও, প্যারট, প্যারাকিটস, কোকাটেলের মতো পাখি যারা পুষতে চান তাদের খরচের খাতাটি সামনের অর্থবছরে আরও ভারী হতে চলেছে।
অর্থনীতির আকার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। আগের তুলনায় বেড়েছে সৌখিন পাখি পোষার প্রবণতাও। প্রায় প্রতিটি জেলা শহরেই রয়েছে এসব পাখির দোকান। তবে আগামী বাজেট বিদেশি পাখি পোষার নেশায় ছেদ ঘটাতে পারে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘বর্তমানে দেশে বিলাসবহুল পাখি আমদানি হচ্ছে। উক্ত পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। পাখিগুলো বিলাসবহুল বিধায় আলোচ্য ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি যখন মন্দার মুখে, তখন ২০২২-২৩ অর্থবছরে ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’-এর স্বপ্ন নিয়ে এই বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। এর মধ্যে প্রস্তাবিত আমদানি শুল্ক কমানো না হলে বিদেশি পাখি কিনতে গুণতে হবে অনেক বেশি অর্থ।