একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সারা দিনে গড়ে তিন ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় ফোনের পেছনে ব্যয় করেন। তবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই সময়টা অনেক বেশি। তারা গড়ে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় মোবাইল ফোনকে দেন। স্মার্টফোনের এই আশক্তি নানাভাবে আমাদের ক্ষতি করে। আসক্তি কমাতে না পারলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। উইকি হাউ ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কীভাবে স্মার্টফোনের আসক্তি কমানো যেতে পারে। চলুন দেখে নিই।
-
১. কতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন সেটা মনিটর করুন। চিকি, অ্যাপ অফ টাইমার অথবা কোয়ালিটি টাইম অ্যাপসগুলো স্মার্টফোনে আপনার সময় ব্যয়ের হিসাব রাখে। প্রতিদিন আগের দিনের চেয়ে কম সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করার অভ্যাস করলে ধীরে ধীরে আসক্তি কমবে।
-
২. দিনে কতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন তার একটা প্ল্যান তৈরি করুন। হতে পারে সেটা সকালে আধা ঘণ্টা, দুপুরে ১৫ মিনিট, রাতে আধা ঘণ্টা। স্মার্টফোন হাতে নেয়ার আগে ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন যেন নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে আপনাকে সংকেত দেয়। এভাবে নিয়ম মেনে চললে স্মার্টফোন আসক্তি কমবে।
-
৩. নিজেকে উপহার দিন। অদ্ভুত শোনালেও স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে এটি বেশ কার্যকর। এই পদ্ধতি অনুসারে যেদিন আপনি কম সময় স্মার্টফোনে কাটাবেন, সেদিন নিজেকে উপহার দিতে পারেন। উপহার হিসেবে ভালো কোনো খাবার খান। নিজেকে দিতে পারেন ভালো কোনো পোশক কিংবা পারফিউম।
-
৪. দিতে কতবার স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন, তার একটা হিসাব রাখুন। একটা টালি করতে পারেন। তাতে টুকে রাখুন স্মার্টফোন ব্যবহারের হিসাব। দিনশেষে টালিতে চোখ বুলিয়ে নিন। পরের দিন এই সংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। স্মার্টফোন আসক্তি কমবে।
-
৫. সাপ্তাহিক ছুটির দিনে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এ সময় ফিচার ফোন ব্যবহার করুন। স্মার্টফোন বাড়িতে ফেলে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন।
-
৬. স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন অ্যালার্ট বন্ধ করে আপনি ফেনের আসক্তি কমাতে পারেন। নোটিফিকেশন এলে স্মার্টফোন তুলে নিতে ইচ্ছে করে। সেই নোটিফিকেশন যদি না থাকে, তাহলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ইচ্ছাও কমে আসবে।