বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিল্পাচার্যের চলে যাওয়ার দিন

  •    
  • ২৮ মে, ২০২২ ১৪:১১

১৯৩৩ সালে জয়নুল কলকাতা সরকারি আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৮ সালে সর্বভারতীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীতে স্থান পায় তার জলরঙের একটি ছবি। সে ছবির জন্য তিনি স্বর্ণপদক পান। জলছবিটির মূল বিষয়বস্তু ছিল ব্রহ্মপুত্র, যা ছিল তার শৈশবের প্রেরণা। এ স্বীকৃতিই তাকে প্রথমবারের মতো আলোচনায় নিয়ে আসে।

বাংলাদেশের চারুশিল্প বিকাশের পথিকৃৎ, উপমহাদেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন জয়নুল। তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে ব্রহ্মপুত্রের পারে।

১৯৩৩ সালে জয়নুল কলকাতা সরকারি আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৮ সালে সর্বভারতীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীতে স্থান পায় তার জলরঙের একটি ছবি।

সেই ছবির জন্য জয়নুল স্বর্ণপদক পান। জলছবিটির মূল বিষয়বস্তু ছিল ব্রহ্মপুত্র, যা ছিল তার শৈশবের প্রেরণা। এই স্বীকৃতিই তাকে প্রথমবারের মতো আলোচনায় নিয়ে আসে।

পরবর্তী সময়ে জয়নুল নিজস্ব একটি ধারা সৃষ্টির আত্মবিশ্বাস পান। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে জয়নুল আবেদিন ধারাবাহিকভাবে কিছু স্কেচ করেন, যেগুলো ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের বিভক্তির পর জয়নুল আবেদিন ঢাকায় চলে আসেন। সে সময় ঢাকায় কোনো আর্ট ইনস্টিটিউট ছিল না।

১৯৪৮ সালে জয়নুল আবেদিন ও তার কয়েক সহযোগী ঢাকা আর্ট কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট।

১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে জয়নুল আঁকেন ‘নবান্ন’। ১৯৭০ সালে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুতে আঁকেন ‘মনপুরা’। এসব তার হৃদয়স্পর্শী চিত্রকর্ম।

১৯৭৫ সালে জয়নুল আবেদিন সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘর এবং ময়মনসিংহে আর্ট গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা নামে পরিচিত। এ দুটি প্রতিষ্ঠানে তার আঁকা বেশ কিছু চিত্রকর্ম সংরক্ষিত।

আমৃত্যু দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার আন্দোলনে সংক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন জয়নুল আবেদিন।

এ বিভাগের আরো খবর