নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখরভাবে উদযাপিত হলো বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনীর সুবর্ণজয়ন্তী।
মোহাম্মদপুরের সিবিসিবি সেন্টারে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পোপীয় দপ্তরের কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারি ও ভাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকার আর্চবিশপ ও সিবিসিবির প্রেসিডেন্ট বিজয় এন ডিক্রুজ, সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, বিশপ সম্মিলনীর বিশপেরা।
উদ্বোধনী আয়োজনে সমবেত জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে জাতীয় পতাকা, ভ্যাটিকানের পতাকা, সিবিসিবির পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর উড়ানো হয় শান্তির দূত পায়রা ও বেলুন। প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের পরে কাটা হয় কেক।
সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজ। তিনি বলেন, ‘অনেক অর্জন রয়েছে বাংলাদেশ বিশপ সম্মিলনীর। সিবিসিবির জন্য যারা বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন, বিশপ কনফারেন্স গড়ে তুলেছেন তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও সম্মান জানাই।’
সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং বলেন, ‘সিবিসিবি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থসামাজিকভাবে আমাদের সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ক্যাথলিক বিশপ-ফাদার-সিস্টার-ব্রাদারদের নির্দেশনা আমাদের পথ প্রদর্শনে সাহায্য করেছে।’
সংসদ সদস্য ঝর্ণা সরকার বলেন, ‘সিবিসিবি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সহাবস্থানেরও শিক্ষা দেয়। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যও সিবিসিবি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সিবিসিবির কমিশনগুলো সব সময় আর্তমানতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আন্তঃধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে ন্যয্যতা প্রতিষ্ঠায় সিবিসিবি কাজ করছে।’
এ দিন মুক্ত আলোচনায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, সিবিসিবি শুরু থেকেই ব্যক্তির মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনী আত্মপ্রকাশ করে যা সংক্ষেপে সিবিসিবি নামে পরিচিত। দেশে সিবিসিবির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়, নটর ডেম কলেজ, হলিক্রস কলেজ, সেন্ট যোসেফ কলেজসহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া কারিতাস বাংলাদেশও বাংলাদেশ বিশপ সম্মিলনী দ্বারা পরিচালিত সংস্থা। সিবিসিবির আরও রয়েছে শ খানেক হাসপতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।