বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিড়িয়াখানা যেন জনসমুদ্র

  •    
  • ৪ মে, ২০২২ ২০:৫১

চিড়িয়াখানার তথ্য কর্মকর্তা ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘গতকালের তুলনায় আজ বেশ ভিড়। সকাল থেকে এক রকম থাকলেও দুপুরের পর দর্শনার্থীর চাপ বাড়ছে। আজ প্রায় দেড় লাখ দর্শনার্থী এসেছেন, যা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।’

ঈদ বিনোদনের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোয় ভিড় উপচে পড়া। বাদ নেই মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায়ও। দূর-দূরান্ত থেকে শুধু চিড়িয়াখানায় আসা দর্শনার্থীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, ঈদের পরদিন প্রায় দেড় লাখ দর্শনার্থী এসেছেন চিড়িয়াখানায়। এতে চিড়িয়াখানাসংশ্লিষ্ট রাস্তাগুলোয় দেখা গেছে যানজটের দীর্ঘ লাইন।

বুধবার চিড়িয়াখানার উপচে পড়া ভিড় সম্পর্কে আন্দাজ করা যাচ্ছিল মিরপুর-১০ নম্বরেও। সবার হাতে হাতে ময়ূরের পেখম।

সনি সিনেমা হল থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানার গেট পর্যন্ত মোটরসাইকেলে যেতে সময় লেগেছে প্রায় ৪০ মিনিট। চিড়িয়াখানাকে কেন্দ্র করে বাইরে বসেছে খাবারের দোকানসহ অস্থায়ী নানা দোকান।

নারায়ণগঞ্জ থেকে সকাল ১০টায় সপরিবারে চিড়িয়াখানায় এসেছেন হাজি তৈয়্যব মিয়া। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার দুই পোলা, ভাতিজা আর ভাতিজার বউসহ আমরা সাতজন আইছি। একবারে সন্ধ্যায় যামু। সারা দিনের জন্য আইছি।

‘আমার পোলা-মাইয়া এই প্রথম আইছে এনে। আর ভাতিজা নতুন বিয়া করছে। বউ নিয়া আর কই যাইব? আমগো লগে আইছে।’

চিড়িয়াখানা এলাকায় খাবারের দাম বেশি দাবি করে তিনি বলেন, ‘এনে নাকি দাম বেশি। আবার খাওয়া শেষে ডাকাতের মতো দাম রাখে। সারা দিন থাকমু তাই ঘরেত্তে খাওন নিয়া আইছি। তার পরেও মেয়ে চটপটি খাইতে চাইছে। খাওয়াইছি। আড়তে কাজ করি। ঘরের মানুষরে সময় দেই না। ঈদে আড়ত বন্ধ দিল। সবাই খুশি দেইখা আমারও ভাল্লাগতাছে।’

মিরপুর তালতলা থেকে ১৬ জন বন্ধু এসেছেন চিড়িয়াখানা ঘুরতে। লাল-নীল শার্ট ও রঙিন চশমা পরে সেলফি তুলতে ব্যস্ত তারা।

তাদের একজন আলামিন হোসেন জানান, তারা সবাই মিরপুর বেনারসি পল্লিতে কাপড়ের দোকানের কর্মচারী। তবে এর মধ্যে দুজন কেবল অটো চালান। ভাড়া বাঁচানোর জন্য বন্ধুর অটোতে করেই এসেছেন। অটোকেও সাজিয়েছেন বেলুন দিয়ে।

তিনি বলেন, ‘আমরা তিন দিনের প্ল্যান করছি। গতকাল হাতিরঝিল গেছিলাম। আজকে এখানে। আগামীকাল টিএসসি যামু। এখন পুলিশ ধরে না। সব রাস্তায় অটো যায়। রাকিবের আর লিটনের (বন্ধু) অটো আছে। আরামছে ঘুরতাছি।’

ঢাকার বাইরের দর্শনার্থী অনেক

মাথায় গামছা বেঁধে পিকআপ ভ্যানের ওপর দাঁড়িয়ে নাচতে দেখা যায় ১০ থেকে ১২ জনকে। সঙ্গে আবার বড় সাইজের দুটি সাউন্ড বক্স।

তাদের একজন তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আসলাম নোয়াখালিত্তন। সারা দিন ঢাকাত ঘুরলাম। আরও তিন দিন আছি। এনে বন্ধু থাকে। হের এনে থাকি।’

তাদের মতো আরও চার-পাঁচটি এমন পিকআপ ভ্যান দেখা যায়।

ভিড়ের কারণে ঠিক করে ঘুরতে পারছেন না বলে জানান টঙ্গী থেকে আসা মকবুল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘মেয়েটারে হরিণ দেখাইতে আইছি। এত ভিড় যে কাছে গিয়া দেখতে পারে নাই। ঈদের পরে আবার আসব।’

চিড়িয়াখানার তথ্য কর্মকর্তা ওয়ালিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকালের তুলনায় আজ বেশ ভিড়। সকাল থেকে এক রকম থাকলেও দুপুরের পর দর্শনার্থীদের চাপ বাড়ছে। আজ প্রায় দেড় লাখ দর্শনার্থী এসেছেন, যা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে চিড়িয়াখানার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কর্মচারী-কর্মকর্তারা সাতটি ভাগে ভাগ হয়ে ৬৪ জন কাজ করছেন। ঈদের দিন থেকে পাঁচ দিন তারা কাজ করবেন। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে লোকাল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার বাহিনী। কিন্তু আজকের ভিড় একদম বেসামালই করে দিয়েছে। সবাই সচেতন ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর