বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুর মেলায় ফিরল প্রাণ

  •    
  • ৪ মে, ২০২২ ১৭:১২

‘করোনায় দুই বছর বন্ধ আছিল। এহন আমরা ঈদ পাইলাম। ভালোই লাগতাছে। প্রাণ ফিইরা আইল।’

পার্কটির নাম শিশুমেলা। গত দুটি বছরের ঈদে শিশুও ছিল না, ছিল না মেলাও। প্রাণহীন ঈদ কাটিয়ে এবার সেখানে ভিড় উপচেপড়া।

শিশুরা আসছে, রাইডে চড়ছে, তারা হাসছে, খেলছে, ছোটাছুটিতে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে বড়রা।

শিশুমেলার নাম পরিবর্তন করে এখন ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক করা হয়েছে। তবে নাম পরিবর্তন করলেও এখনও এটিকে শিশুমেলা হিসেবেই সবাই চেনেন।

২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার বিধিনিষেধের খরা কাটিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এ পার্কটিতে প্রাণ ফেরায় পার্কের কর্মীরাও তৃপ্ত। শিশুদের নিয়ে দায়িত্ব পালনের যে আলাদা একটি আনন্দ আছে, সেটি অনেকটাই ভুলতে বসেছিলেন তারা।

বুধবার ঈদের পরদিন শিশুমেলায় গিয়ে দেখা যায়, কোনো শিশু তার বাবার ঘাড়ে চড়ে, কোনো শিশু আবার মায়ের হাত ধরে উচ্ছ্বসিত মনে পার্কে প্রবেশ করছে। ভিড়ের কারণে কখনও কখনও পার্কে ঢুকতেই বেগ পোহাতে হচ্ছিল।

আগের দিন বৃষ্টির কারণে তপ্ত গ্রীষ্মেও আবহাওয়া এখন অনেকটাই সহনীয়। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে, সূর্যের তেজও এত বেশি নয়। ফলে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করাটা শিশুদের জন্য অতটা কষ্টকর হয়নি।

ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে শিশুদের উপচেপড়া ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা

শিশুমেলা পার্কে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা সিরাজ মিয়া।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার পর এই আইলাম। ভালোই লাগতাছে। সবাই মিইলা আইছি৷ পোলাপানের আনন্দের লাইগা আইছি। গতকাল বাসায় আত্মীয়স্বজন আইছিল। তাই আইজ ঘুরতে আইছি।’

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নেহা ইসলাম ইয়ান নিউজবাংলাকে বলে, ‘ঘুরতে এসে অনেক ভালো লাগছে। এখানে রাইডগুলো অনেক ভালো। আবার আসব।’

ইয়ানের বাবা মো. সাকিব পেশায় ব্যবসায়ী। এসেছেন গাজীপুর থেকে। দুই বছর করোনাবন্দি ঈদ শেষে এবারই মুক্ত পরিবেশে আনন্দ করছে সন্তান। মেয়ের আনন্দ আরেকটু বাড়াতে এখানে নিয়ে আসা।

সাকিব বলেন, ‘মেয়ের তৃপ্তি দেখার মতো সুখের তুলনা একজন বাবার জন্য আর কী হতে পারে? দুইটা ঈদ তাকে নিয়ে ঘুরতে পারিনি। এখন খুব ভালো লাগছে।’

৩০ বছর ধরে শ্যামলী শিশুমেলা পার্কের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেখভাল করছেন আব্দুল মোমেন৷ জানান, ঈদের দিনের তুলনায় আজ উপস্থিতি বেশি।

করোনায় পার্কের অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনায় দুই বছর বন্ধ আছিল। এহন আমরা ঈদ পাইলাম। ভালোই লাগতাছে। প্রাণ ফিইরা আইল।’

এক টিকিট বিক্রেতা জানান, তারা টিকিট দিয়ে কুলাতে পারছেন না। তবে ঠিক কী পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে, সেই হিসাব করা হয়নি।

কোন রাইডের কত মূল্যশ্যামলীর শিশুমেলা পার্কে প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। এ ছাড়া ২০টির ওপর বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে।

রাইডগুলোর মধ্যে কিডিরাইটস গেইস, মেরি গো রাউন্ড, চুক চুক ট্রেন, হ্যানি সুইং, সোয়ান অ্যাডভেঞ্চার, প্যারাট্রুপার, মিনি ট্রেইন, টোয়িসট, ব্যাটারি কার, পেন্ডুলাম, ভিডিও গেমস, হেলিকপ্টার কর্নার, বাউন্সি ক্যাসল, ভাইকিং বোট, ড্রাগন রোলার কোস্টার, স্পেইস শাটল, ওয়ান্ডার হুইল, থ্রিডি গ্যালারি, থ্রিডি অ্যাডভেঞ্চার ও বাম্পার কার ও স্পিড এয়ারক্রাফট বেশি জনপ্রিয়। এর মধ্যে বাম্পার কার ও স্পিড এয়ারক্রাফট টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা ও বাকি রাইডগুলোর টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর