বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পর্যটক সমাদরে ব্যস্ত কক্সবাজার

  •    
  • ৪ মে, ২০২২ ১৬:৩৫

বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক আসতে শুরু করেছে কক্সবাজারে। ৫১৬ হোটেল-মোটেলের বেশির ভাগ কক্ষই বুক হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দুই লাখ পর্যটক এসেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের পাশাপাশি পাহাড়, নদী ও মেরিন ড্রাইভের অপার সৌন্দর্য উপভোগে ছুটে আসেন পর্যটকরা। ঈদের ছুটিতে পর্যটকের এ সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। ভোরের আলো ফুটতেই সৈকতনগরীতে পৌঁছে গেছে লাখো পর্যটক।

আগামী কয়েক দিন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকবে কক্সবাজারের সব কটি বিনোদন কেন্দ্র।

মূলত বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক আসতে শুরু করেছে কক্সবাজারে। ৫১৬ হোটেল-মোটেলের বেশির ভাগ কক্ষই বুক হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দুই লাখ পর্যটক এসেছেন বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

সমুদ্রসৈকত ছাড়াও এখানে রয়েছে মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ঝরনা, ইনানী ও পাটুয়ারটেকের পাথুরে সৈকত, শহরের অজ্ঞমেধা ক্যাং ও বার্মিজ মার্কেট, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এবং রামুর বৌদ্ধমন্দিরসহ নানা পর্যটন কেন্দ্র।

পর্যটন শিল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজ রয়েছে অন্তত ৫১৬টি। এসব আবাসিক হোটেলে কক্ষ রয়েছে ২০ হাজারের মতো; যাতে ধারণক্ষমতা ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি। আর ছুটির দিনগুলোয় ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পর্যটক সমাগম হয় বলে অনেককে হোটেল কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। সেই হিসাবে কক্সবাজারে প্রতিদিন আবাসিক হোটেলগুলোয় দেড় লাখের বেশি পর্যটক থাকা সম্ভব নয়।

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ঈদের ছুটিতে এসেছেন নুরুল হোসেন ও ডালিয়া দম্পতি। নুরুল হোসেন বলেন, ‘ঈদের টানা ছুটি। ছেলেমেয়েকে নিয়ে প্রথমবার কক্সবাজারে আসা। কয়েকটি পয়েন্টে গিয়েছি। খুব ভালো লাগছে।’

রাজশাহী থেকে সরকারি চাকরিজীবী সাজেদুল ইসলাম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এসেছেন। সকালে বাস থেকে নেমেই সৈকতে গেছেন। সমুদ্রের লোনা পানিতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে মেতেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রথমবার লম্বা ছুটি পেয়েছি। এর আগে ছুটি পেলেও এত দূরে আসার সাহস পেতাম না। এবার তাই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছি।’

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা

হোটেল কক্স টুডের পরিচালক আবু তালেব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবারই আমাদের সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এখন শুধু আসার পালা। আমরাও পর্যটকদের জন্য নানা আয়োজন রেখেছি। যাতে তারা এবারের ঈদের ছুটি ভালোভাবে কাটাতে পারেন।’

হোটেল ভিজটা বের ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে আমাদের সব রুমে অতিথি উঠেছে। সব কক্ষই আগামী পাঁচ দিনের জন্য ভাড়া হয়েছে।’

আগামী কয়েক দিনের এই জমায়েতকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসন। ট্যুরিস্ট পুলিশ, সৈকতকর্মী ছাড়াও নতুন করে চারজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে স্পেশাল দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘ইতোমধ্যে কক্সবাজারে পৌঁছেছে দুই লাখের মতো মানুষ দর্শনার্থীদের তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ছয়টি ট্যুরিস্ট হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি হেল্পডেস্কে ফাস্ট এইড বক্স সরবরাহের মাধ্যমে পর্যটকদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।’

ইতোমধ্যে সমুদ্রসৈকত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ওয়াচ টাওয়ার এবং সাতটি পর্যবেক্ষণ সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।

এ ছাড়া সমুদ্রসৈকতে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের দ্রুত উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে চাইল্ড সাপোর্ট সেন্টার এবং পর্যটকদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল, মানিব্যাগ বা অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে প্রত্যেকটি হেল্পডেস্কে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার রয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান নিউজবাংলাকে জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পর্যটননগরী কক্সবাজারে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ চারজন ম্যাজিস্ট্রেটকে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর