জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। তবে বৃষ্টিতে পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে বায়তুল মোকাররমে আসতে থাকেন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষের ঢল নামে। উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
মুসল্লিদের নামাজের জন্য এবারও পাঁচটি জামাতের আয়োজন করা হয় জাতীয় মসজিদে। এর মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত সবগুলো জামাত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হলেও চতুর্থ জামাতে ব্যাঘাত ঘটায় বৃষ্টি। মুসল্লিদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকেই ভিজেছেন বৃষ্টিতে।
এর আগে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৭টায় শুরু হয়। তারও অনেক আগে থেকে মসজিদে প্রবেশ করতে মুসল্লিদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
দক্ষিণ গেট দিয়ে লাইন ধরে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন। মুসল্লিদের সারি মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার পর্যন্ত চলে যায়। প্রবেশ গেটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যকে তৎপর দেখা গেছে।
সকাল ৭টায় শুরু হওয়া প্রথম জামাতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির বায়তুল মোকাররম মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. ইসহাক।
দ্বিতীয় জামাত শুরু হয় সকাল ৮টায়। তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বৃষ্টির মধ্যে সাড়ে ১০টায় শেষ হয়। বৃষ্টির কারণে অন্য জামাতের তুলনায় মুসল্লিদের অংশগ্রহণ কম ছিল। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়।
প্রতিটি জামাত শুরুর আগে বিপুলসংখ্যক মুসল্লিকে বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। মুসল্লিদের চাপে দক্ষিণ গেটের সামনের সড়কটি মোটামুটি বন্ধ হয়ে যায়।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের খাদেম বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফজরের পর থেকেই মুসল্লিরা জামাতে অংশ নিতে আসতে থাকেন। মসজিদে একসঙ্গে ৪২ হাজার মুসল্লির নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মসজিদ কানায় কানায় ভরে গেছে।
জামাত শেষে অনেক মুসল্লিকে কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে। ঈদের জামাতে অংশ নেয়া কাকরাইলের ইশতিয়াক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই বছর পরে ঈদের এত বড় জামাতে অংশ নিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’