বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তেঁতুলতলায় জামাত, দাবি স্থায়ী সমাধান

  •    
  • ৩ মে, ২০২২ ১১:০১

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টায় তেঁতুলতলা মাঠে ঈদের জামাত শুরু হয়। নামাজ শুরুর আগেই স্থানীয়দের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ। এলাকার শিশু-কিশোর থেকে শুরু বয়স্করাও অংশ নেন জামাতে।

রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে ঈদের জামাত হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল সপ্তাহ আগেও। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আপাতত থানা না করার নির্দেশনা আসার পর স্বস্তি ফিরেছে কলাবাগানবাসীর। গত ৫০ বছরের মতো ঐতিহ্য ধরে রেখে এবারও এখানে ঈদের জামাত হয়েছে, অংশ নেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি।

মাঠটি এখন পুলিশের তত্ত্বাবধানে আছে। এলাকাবাসী চাইছে, এটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে না রেখে সিটি করপোরেশনকে দিয়ে স্থায়ী সমাধান করা হোক।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টায় তেঁতুলতলা মাঠে ঈদের জামাত শুরু হয়। নামাজ শুরুর আগেই স্থানীয়দের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ। এলাকার শিশু-কিশোর থেকে শুরু বয়স্করাও অংশ নেন জামাতে।

নামাজ শেষে মোশাররফ হোসেন নামে একজন বলেন, ‘এই এলাকায় বড় হয়েছি। প্রতি বছর এখানেই নামাজ পড়েছি। থানা হলে এখানে সবাই মিলে নামাজ পড়তে পারব না। এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আপাতত সমাধান হলেও, মাঠের স্থায়ী ব্যবস্থাপনা করা দরকার।’

শাহেদ ওসমান নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আপাতত কাজ বন্ধ থাকলেও এখানে আর থানা হবে না, এমন কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান। মাঠ যার তত্ত্বাবধানেই থাক, সেটা যেন মাঠ হিসেবেই থাকে, উন্মুক্ত থাকে।’

মাঠে এসে সবার সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পেরে আনন্দিত ১৪ বছরের রায়হান জামান। সে বলে, ‘সবাই মিলে নামাজ পড়েছি। এখন বাসায় যাব। বিকেলে এখানে সবাই মিলে খেলব। অনেক মজা হবে।

তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহ। ঈদের জামাতে অন্যদের সঙ্গে শরিক হয়েছিলেন ঈসা আব্দুল্লাহও।

তিনি বলেন, ‘এই মাঠে আবার নামাজ আদায় করতে পারছি, এটা অনেক আনন্দের। ভবিষ্যতে এই মাঠ নিয়ে আর কোনো টানাহেঁচড়া হবে না, এমন ব্যবস্থা চাই। মাঠ যেন মাঠই থাকে।’

পরিত্যক্ত এই মাঠটি বরাদ্দ পেয়ে গত ৩১ জানুয়ারি সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেয় পুলিশ। কলাবাগান থানার স্থায়ী ভবন নির্মাণ হবে বলে টানানো হয় সাইনবোর্ড। এরপর থেকেই শুরু হয় তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলন।

গত ২৪ এপ্রিল সকালে মাঠ রক্ষার আন্দোলনে থাকা সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। প্রায় ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার পর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান মা ও ছেলে।

রত্না ও তার ছেলেকে আটক করার পর মাঠ রক্ষার আন্দোলন আরও জোরদার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অধিকার কর্মীরা মাঠ রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত হন।

দফায় দফায় সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠকও করেন তারা।

সচিবালয়ে ২৭ এপ্রিল অধিকার কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস না দিলেও, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

পরদিন ২৮ এপ্রিল দুপুরে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী সেখানে আপাতত থানা করতে নিষেধ করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা আসার পর আনন্দে মেতে ওঠেন শিশু-কিশোর, স্থানীয় বাসিন্দা ও অধিকার কর্মীরা। ওইদিন রাতেই মাঠ থেকে পুলিশের উপস্থিতি সরিয়ে নেয়া হয়। সবার জন্য উন্মুক্ত হয় তেঁতুলতলা মাঠ।

এ বিভাগের আরো খবর