বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধানমন্ডির শাহি ঈদগাহের ৩৮২ বছর

  •    
  • ৩ মে, ২০২২ ১০:১৯

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদগাহ কানায় কানায় ভরে যাওয়ায় পাঁচ তলাবিশিষ্ট মসজিদে নামাজ আদায় করেন অনেক মুসল্লি। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অন্তত ১০ হাজার মানুষ একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।  

ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডের পূর্বদিকে উঁচু জায়গার ওপর একটি প্রাচীন স্থাপনার প্রাচীর দেখা যায়। ভেতরে সবুজ মাঠ। এখানেই ৩৮২ বছর ধরে ঈদের নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।

সাড়ে তিন বিঘা জায়গাটি শাহি ঈদগাহ নামে পরিচিত। কেন্দ্রীয় মিহরাবের ওপর স্থাপিত একটি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৬৪০ সালে ঈদগাহটি নির্মাণ করেছিলেন মীর কাশিম। সম্রাট শাহজাহানের ছেলে শাহ সুজা ছিলেন তখন বাংলার সুবাদার। তার দেওয়ান মীর কাশিম।

স্থানীয়রা জানান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৮১ সাল থেকে এটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করছে। চারদিকে ১৫ ফুট উঁচু প্রাচীর। তবে পশ্চিম দিকের প্রাচীরটিই কেবল মোগল আমলের। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৮৮ সালে সংস্কারের সময় অন্য তিন দিকের প্রাচীর নির্মাণ করে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদগাহ কানায় কানায় ভরে যাওয়ায় পাঁচ তলাবিশিষ্ট মসজিদে নামাজ আদায় করেন অনেক মুসল্লি। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অন্তত ১০ হাজার মানুষ একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

জাহিদ হোসেন তার পাঁচ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছর এই মাঠে নামাজ আদায় করি। এটা একটা ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ। এবার প্রথম আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে আসলাম। ভালোই লাগছে।’

৮০ বছরের ফয়জুল করিম দুই ছেলের হাত ধরে এসেছেন নামাজ আদায়ে। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করি। বাসার পাশে এমন ঐতিহ্যবাহী জায়গা, ভালোই লাগে। যতদিন বেঁচে আছি, এখানেই ঈদের নামাজ পড়ব।’

শাহি ঈদগাহ মসজিদ কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. ইকবাল বলেন, ‘এই মোগল ঈদগাহটি ‘ধানমন্ডি ঈদগাহ’ নামে পরিচিতি। ঢাকার মোগল স্থাপত্যগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ঈদগার ১৫ ফুট উঁচু পশ্চিম দেয়ালটি একমাত্র টিকে থাকা অংশ। দেয়ালের কেন্দ্রীয় অংশে ৫ ফুট গভীর অর্ধ অষ্টভুজাকৃতি মিহরাব আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মোগল আমলে ঢাকার মূল অংশ ছিল আজকের পুরান ঢাকা। তাই এই ঈদগাহ ধারণা দিচ্ছে, এই অংশটি তখন উপশহর ছিল। এখানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় মুসলমানরা ঈদের নামাজ পড়তে আসতেন।’

এ বিভাগের আরো খবর