শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় দেশে ঈদ উদযাপন হবে মঙ্গলবার। করোনা মহামারির রক্তচক্ষু কাটিয়ে ঈদ উদযাপনে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে সারা দেশ। গত দুই বছর করোনার কারণে দেশে ঈদ এলেও তাতে উৎসবের আমেজ তেমনটা দেখা যায়নি। তবে করোনা নিয়ন্ত্রণের পর এবার বেশ উদ্দীপনা নিয়ে ঈদ উদযাপন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ঈদে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রায় এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে মুসলিমরা উদযাপন করেন তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। গত দুই বছর করোনার কারণে সারা দেশে ছিল নানা বিধিনিষেধ। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত করতেও ছিল নিয়মের নানা বেড়াজাল। তবে এবার তেমন কোনো বিধিনিষেধ নেই।
ঈদে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে এরই মধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর এক কোটিরও বেশি মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন।
দেশের চার মোবাইল ফোন অপারেটরের দেয়া তথ্যমতে, এই কয়েক দিনে ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় ৭২ লাখ ৫ হাজার ২৫ জন গ্রাহক।
এ বছর বিধিনিষেধ না থাকায় আর ঈদের লম্বা ছুটির কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় সাধারণের আনাগোনা অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তাই পর্যটনকেন্দ্রগুলোও পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তাদের সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
এবার দুই বছর পর ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে। এখানে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, সচিবসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসাদের শুধু জায়নামাজ ও ছাতা সঙ্গে নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অন্যান্য বারের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হবে পাঁচটি ঈদ জামাত। এর মধ্যে প্রথমটি হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। আর শেষটি হবে বেলা পৌনে ১১টায়।
এ ছাড়া প্রতি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামেও হবে ঈদ জামাত।