ঈদ উৎসবের বড় একটা অংশ খাবারদাবার। ঝাল, মিষ্টি নানা স্বাদের খাবারের আয়োজনে ভরপুর থাকে ঈদের পুরো দিন। ভোজনরসিকেরা দেশি পোলাও, কোরমা, সেমাইয়ের পাশাপাশি চেখে দেখতে পারেন অন্য কয়েকটি দেশের জনপ্রিয় ডিশ।
রেনদাং
রেনদাং
মালয় অঞ্চলে ঈদের দিনের বিশেষ খাবার রেনদাং। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুনাইয়ে রেনদাং প্রচলিত।
রেনদাং মাংসের তৈরি ডিশ। এতে মুরগি, খাসি বা গরুর কম চর্বিযুক্ত মাংস ব্যবহার করা হয়। এর অন্যতম প্রধান উপকরণ কোকোনাট মিল্ক বা নারকেলের দুধ ও ঝাল মসলা। রেনদাং সাধারণত সাদা ভাত বা নাসি রামেসের (মিক্সড রাইস) সঙ্গে খাওয়া হয়। ঝাল খাবার যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য ঈদের উৎসবে উপযুক্ত খাবার হতে পারে রেনদাং।
কুসকুস
কুসকুস
মরক্কো ও উত্তর আফ্রিকার জনপ্রিয় এই ডিশ মূলত তৈরি হয় সুজি থেকে। মিষ্টি ও ঝাল দুইভাবেই এটি রান্না করা হলেও বাংলাদেশে ঝাল কুসকুস বেশি জনপ্রিয়।
চিংড়ি, মুরগি কিংবা গরুর মাংসের সঙ্গে বেগুন, টম্যাটো, পেঁয়াজ, বরবটি, ব্রকোলিসহ নানা ধরনের সবজি যোগ করা হয় এ ডিশে। ফলে ঈদের দিন সকালের চমৎকার নাশতা হতে পারে উত্তর আফ্রিকার প্রিয় এ খাবার।
বাকলাভা
বাকলাভা
অটোমান আমল থেকে তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার বাকলাভা। মিষ্টি যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে ময়দা, মধু ও বাদামের তৈরি এ ডেজার্ট অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বাংলাদেশেও এখন বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে পাওয়া যায় বাকলাভা।
ঈদের মিষ্টি হিসেবে কয়েক বছর যাবৎ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এটি। ঈদের দিন অতিথি আপ্যায়নে বা দুপুর ও রাতের খাবারের পর এ মিষ্টি পরিবেশন করতে পারেন। বাকলাভার সঙ্গে টপিং হিসেবে আইসক্রিম, হুইপড ক্রিম, মধু কিংবা সিরাপ পরিবেশন করার রীতি আছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে।
ফেলাফেল
ফেলাফেল
আরববিশ্বের আরেক জনপ্রিয় স্ন্যাকস ফেলাফেল। এটি বড়া বা পাকোড়া ধরনের খাবার, যার মূল উপাদান হচ্ছে ছোলা। ছোলা পানিতে ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে ফেলাফেলের কাই তৈরি হয়। এর সঙ্গে মেশানো হয় মসলা, ধনেপাতা ও নানা মৌসুমি শাকসবজি। সিজনিং হিসেবে গোলমরিচের গুঁড়া বা ওরেগানো পাউডার ব্যবহার করা হয়। তিলও ব্যবহার করা হয় এতে।
অনেক সময় রুটির ভেতর ফেলাফেল ও সালাদ দিয়ে রোল করে খাওয়া হয়। জর্ডান, লেবানন, ইয়েমেনে ফেলাফেল ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা এর উৎপত্তি মিসরে।
কুনাফে
কুনাফে
বাকলাভার মতো কুনাফেও মিষ্টি খাবার। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকায় অঞ্চলভেদে এর নাম কুনাফে, কুনাফা, কানাফা। এটি আসলে কেদাইফ নামের বিশেষ সেমাই, চিজ ও ক্রিমের সমন্বয়ে তৈরি এক ধরনের পেস্ট্রি। রান্নার পর একে মিষ্টি সিরাপে ডুবিয়ে রাখা হয়। বাজারে যে কুনাফেগুলো পাওয়া যায় তাতে ফ্লেভার যুক্ত থাকে। কুনাফে সাধারণত সকালে বা বিকেলে নাশতায় চা-কফির সঙ্গে খাওয়া হয়ে থাকে।
যেকোনো উৎসবে দুপুরের খাবার বা ডিনারের পর ডেজার্ট হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে কুনাফে।