বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৌদির চাঁদে ঈদ দেশের বিভিন্ন জায়গায়

  •    
  • ২ মে, ২০২২ ১২:০৪

মুন্সীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘কোরআন থেকে জেনেশুনে এই ঈদ আমরা পালন করে আসছি। এখানে কোনো ভুল নেই। আমাদের মতো দেশের সকল মানুষের ঈদ পালন করা উচিত। তাহলে ঈদের আনন্দ আরও বেড়ে যাবে।’

আফগানিস্তানের সঙ্গে মিল রেখে রোববার ঈদ উদযাপন করেছে চাঁদপুর ও পটুয়াখালীর কিছু মুসল্লি। আর সৌদি আরবকে অনুসরণ করে সোমবার ঈদ উদযাপন করেছে বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার মানুষ।

দেশের বিভিন্ন দরগাহ শরিফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছর রোজার ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এ নিয়ে বিতর্কও আছে। এক পক্ষ বলছে, চাঁদ একটি জায়গায় দেখা গেলেই চলে; আরেক পক্ষ বলছে, নিজ নিজ ভূখণ্ডে চাঁদ দেখতে হবে- এটাই ধর্মের বিধান।

সোমবার যারা ঈদ পালন করেছেন তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাগীরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী। পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে মিল রেখে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় আচার পালন করেন।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীর শতাধিক গ্রামে সোমবার ঈদ হয়েছে।

চন্দনাইশ এলাহাবাদ জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের প্রচলন করেন।

লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফকে অনুসরণ করে বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ পালন করে থাকি।

‘সেই হিসেবে আজ আমাদের গ্রামে ঈদ হচ্ছে। তাছাড়া আমরা রমজানও একদিন আগে শুরু করেছিলাম। শুধু আমরা না, আশেপাশের আরও কয়েকটি উপজেলায় আজ ঈদ হচ্ছে।’

মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মতি মিয়া মনছুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হানাফি মাজহাবের অনুসারী হিসেবে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা ঈদ উদযাপন করে থাকি। আমাদের দরবারের অনুসারী ৬০ গ্রামের মানুষ আজকে চট্টগ্রামে ঈদ পালন করছে।

‘চট্টগ্রামের বাইরেও দরবারের অনুসারীরা আছেন, তারাও ঈদ উদযাপন করছেন। আমাদের রোজাও শুরু হয়েছে একদিন আগে। দুইশ বছর ধরে এটা চলে আসছে।’

তিনি জানান, সোমবার সকাল ৯টায় মমতাজিয়া দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজে ইমামতি করেছেন দরবারের পীর মাওলানা শাহ্ছুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী শাহ।

বরিশাল

বরিশাল মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার পরিবার ঈদ উদযাপন করেছে সোমবার। জেলার প্রায় অর্ধশত মসজি‌দে সকাল ৯টায় ঈদের প্রথম জামাত অনু‌ষ্ঠিত হয়।

ব‌রিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু বলেন, ‘আমা‌দের ওয়ার্ডে আগাম ঈদ উদযাপন কর‌ছে প্রায় ১ হাজার পরিবার।’

২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠী হাজী বাড়ীর জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন জানান, এই ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী, তাজকাঠীসহ আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবারে ঈদ আজ (সোমবার)। সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ হয় জাহাগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে।

বরিশাল নগরীসহ জেলার ৫০টি মসজিদে চন্দনাইশ দরবারের অনুসারীরা ঈদের নামাজ পড়ি‌য়ে‌ছেন।

বাবুগঞ্জের খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫-৬টি গ্রামের হাজারের বেশি পরিবারে সোমবার ঈদ হয়েছে। জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামেও এদিন ঈদ উদযাপন করেছেন জাহা‌গি‌রি সুফী দরবারের প্রায় ২ হাজার অনুসারী।

শেরপুর

জেলার ৭ গ্রামে সোমবার উদযাপন হয়েছে ঈদুল ফিতর।

শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, বামনেরচর, গাজীরখামার গিদ্দাপাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল গ্রামে সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে ঈদের নামাজ হয়।

প্রত্যেকটি জামাতে দুই থেকে তিনশ মুসল্লি অংশ নেন। নারীদেরও কিছু জামাতে দেখা গেছে।

জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়ার লোকজন অবশ্য আফগানিস্তানের সঙ্গে মিল রেখে রোববার ঈদ উদযাপন করেন।

লালমনিরহাট

কালীগঞ্জে উপজেলার তিন ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক মানুষ সোমবার সকালে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে সোমবার সকালে সেখানে ঈদের জামাত হয়।

মুন্সীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘কোরআন থেকে জেনেশুনে এই ঈদ আমরা পালন করে আসছি। এখানে কোনো ভুল নেই। আমাদের মতো দেশের সকল মানুষের ঈদ পালন করা উচিত। তাহলে ঈদের আনন্দ আরও বেড়ে যাবে।’

কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম রসূল জানান, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে কাকিনা-তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবিদে ১৬০ জন, চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোতলায় ৬০ জন ও পানি খাওয়ার ঘাট এলাকায় প্রায় ১২০ জনসহ প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ সোমবার ঈদ করেছে।

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্ত্বরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সোমবার হয়েছে ঈদের জামাত।

ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে প্রায় শতাধিক মুসল্লি তাতে অংশ নিয়েছেন।

ইমাম মাওলানা রেজাউল ইসলাম জানান, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মুসল্লিরা একস্থানে সমবেত হয়ে ঈদ জামাতের নামাজ আদায় করেছেন।

আলমডাঙ্গা থেকে নামাজ পড়তে আসা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘সহি হাদিসের আলোকে বিগত ১৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হরিণাকুন্ডুতে ঈদ জামাত হয়েছে।’

ঈদ জামাত কমিটির সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ‘ওআইসিসহ সকল মুসলিম উম্মাহ আজকে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। সে কারণে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করছি। আমরা রাসুলের সুন্নাহ অনুসরণ করে চলি। রাসুল যেভাবে চলতে বলেছেন, আমরা সেভাবে চলি।

‘কোন দেশে কখন ঈদ হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। রাসুল (সা:) বলেছেন তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ, চাঁদ দেখে রোজা ভাঙো। কোন দেশে কখন দেখতে হবে এমন কোনো নিয়ম নাই। পৃথিবীর যে কোনো সময় যেখানেই চাঁদ দেখা যাবে তখন থেকে রোজা রাখা এবং রোজা ভাঙার নিয়ম রয়েছে।’

লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে ১১টি গ্রামে সোমবার হয়েছে ঈদ। রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরসহ ১১টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি ঈদ উদযাপন করেছেন।

রামগঞ্জের খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় ও নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে সোমবার সকাল ৮টায় ছোট-বড় ঈদের জামাত হয়েছে।

দিনাজপুর

এই জেলার ৫ উপজেলায় আগাম ঈদ উদযাপন করেছেন হাজারো মুসল্লি।

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে সোমবার সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়ে। তাতে ৩ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন। ইমামতি করেন চিরিরবন্দর উপজেলার নাজিরা বাজার মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ মাওলানা মোখলেসুর রহমান।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন কমিটির সভাপতি মোকবুল হোসেন বলেন, ‘এবার জেলার ১৩ থানায় প্রায় ৪৪টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি জামাতে ২ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।’

একই সঙ্গে চিরিরবন্দর উপজলার রাবার ড্যাম এলাকা, কাহারোল উপজেলা জয়নন্দ গ্রাম, ১৩ মাইল এলাকা, বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদ, জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদ এবং বিরল উপজেলার বালান্দোর গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী ভাদড়া, বাউকোলা, ভাড়–খালী, তলুইগাছা গ্রামসহ জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ঈদ হয়েছে সোমবার।

সদরের বাউকোলা পূর্বপাড়া মসজিদে ঈদের জামাত হয় সকাল ৮টায়। নারীরাও সেখানে নামাজ আদায় করেছেন। ইমামতি করেছেন মাওলানা মহব্বত আলী।

নামাজ শেষে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সবখানেই একই দিনে ঈদ উদযাপিত হওয়া উচিত। শাওয়াল মাসের চাঁদ রোববার সন্ধ্যায় দেখা গেছে মধ্যপ্রাচ্যে। বিশ্বায়নের এ যুগে মুহূর্তের মধ্যে সব তথ্য বিশ্বে প্রকাশ পাচ্ছে। তাই সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আমরা আজকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি।’

ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সাতক্ষীরায় ঈদ পালন করতে আমাদের কোনো অসুবিধা হয় না। ২০১৫ সালে আমরা একটু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছিলাম। সেই সময়ে সদর থানার ওসি ইনামুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছিলেন। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষসহ কারও কাছ থেকে আমরা অসহযোগিতা পাই না।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের মোমিন টৌলা ও চর বাগান মাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করেছেন সোমবার।

সকাল ৮টায় মোমিন টোল গ্রামে ঈদের নামাজে ৫০-৬০ জনের মতো অংশ নেন। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। সকাল ৯টায় চর বাগান পাড়া গ্রামে ঈদের নামাজে অংশ নেন ৩০-৪০ জন। এ জামাতের ইমামতি করেন মাওলানা কাউসার হোসেন।

দেবীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, সব মিলিয়ে ১০০ পরিবারে সোমবার ঈদ উদযাপিত হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা শহরের সার্কিট হাউস এলাকায় সোমবার সকাল ৭ টায় আহমেদ শাবিস্তা নামের একটি ভবনের ছাদে ঈদের জামাত হয়েছে। তাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পুরুষ ও নারীরা অংশ নিয়েছে। নামাজে ইমামতি করেন আলহাজ্ব আব্দুল মাওফিক চৌধুরী। এছাড়া জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গলেও সোমবার ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ মুসল্লিরা দেশ ও জাতির কল্যাণ চেয়ে মোনাজাত করেন।

ফরিদপুর

বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গার ১৩ গ্রামে সোমবার ঈদ হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০ টায় ৬টি গ্রামে ঈদের জামাত হয়েছে।

আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের মাহিদুল হক সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পুর্বপূরুষ থেকে আমরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। আমরা যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকি।’

‘সব মিলিয়ে হাজার তিনেক মানুষ আছেন যারা আমরা চট্রগ্রামের অনুসারী। নতুন প্রজন্মের অনেকে এ নিয়ম মানতে চায় না। আগে প্রায় বিশ হাজার মানুষ ছিল।’

সোমবার ঈদ হয়েছে নোয়াখালি, বাগেরহাট, টাঙ্গাইল ও শরিয়তপুরের কয়েক গ্রামেও।

এ বিভাগের আরো খবর