বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার আফগানিস্তানের সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালীতে ঈদ

  •    
  • ১ মে, ২০২২ ১২:৩৫

দরবার শরিফের খাদেম আলহাজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম গনি বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলে আমরা তার সঙ্গে সংগতি রেখে রোজা রাখি এবং ঈদ পালন করে থাকি। আফগানিস্তান, নাইজেরিয়াসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখা গেছে। তাই আমরা ঈদ করছি।’

প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল লেখে ঈদ করে আলোচনায় আসা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এবার ঈদ পালন করেছে আফগানিস্তানের সঙ্গে মিল রেখে।

সারাদেশের মানুষ যখন ২৯তম রোজা করছে, সেদিন পটুয়াখালী সদরের বদরপুর গ্রামে একাংশ রোববার ঈদ উদযাপন করছে। দুই শতাধিক মুসল্লি সকালে বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এই গ্রামটিতে রোজাও অবশ্য একদিন আগে পালন শুরু হয় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার জানায়, দেশটির চারটি প্রদেশের ২৭ জন চাঁদ দেখতে পেয়েছেন। এরপর তারা রোববার ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেয়।

গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগান সরকার ইসলামী শরিয়ার ভিত্তিতে দেশ চালানোর ঘোষণা দেয়।

তবে সৌদি আরবে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সেখানে ৩০টি রোজা হবে আর ঈদ উদযাপিত হবে সোমবার।

সাধারণত সৌদি আরবে যেদিন ঈদ উদযাপিত হয়, বাংলাদেশে তার পর দিন ঈদ হয়। সৌদি আরবে ঈদ সোমবার হলে বাংলাদেশে তা মঙ্গলবার হবে। তবে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলার বিচ্ছিন্ন কিছু জনপদে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপিত হয়।

ইসলামের বিধান অনুযায়ী চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ঈদ উদযাপিত হয়। ২৯টি রোজা হলে চাঁদ দেখা না গেলে অবশ্য ৩০ রোজার আগে আর চাঁদ দেখার দরকার পড়ে না।

তবে পটুয়ালাখীর বদরপুর দরবার শরিফের খাদেম শফিকুল ইসলাম গনি চাঁদ দেখার এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলে আমরা তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রোজা রাখি এবং ঈদ পালন করে থাকি। আফগানিস্তান, নাইজেরিয়াসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখা গেছে। তাই আমরা ঈদ করছি।’

তিনি বলেন, ‘হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি- এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব।’

শফিকুল ইসলাম গনির দাবি, ঢাকার সদরঘাটস্থ খানকা, আশকোনা এবং চাঁদপুর দরবার শরিফেও ঈদের জামাত হয়েছে।

তবে চাঁদ দেখার বিষয়টি যথাসময়ে পৌঁছে দিতে না পারায় অনেক গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়নি। তারা পরবর্তীতে ঈদ উদযাপন করবে।

বদরপুর দরবার শরিফ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও এলাহাবাদ পীরের অনুসারী হিসেবে প্রায় ৮২ বছর ধরে এই গ্রামে এ রীতি চলে আসছে বলে জানান তিনি।

পটুয়াখালীর তিনটি উপজেলার পাঁচটি গ্রামে এদের অনুসারী আছে।

ঈদ নিয়ে বিভক্তি

আগাম ঈদ নিয়ে এলাকাবাসী তো বটেই অনলাইনেও দেখা গেছে তর্ক-বিতর্ক।

পটুয়াখালীরই বাউফ‌লের আরেক দরবার শাপলাখালী খাদেম আলী আশ্রাফ জানান, তারা ঈদ উদযাপন করবেন সোমবার। তবে সেটাও হবে সারাদেশের আগের দিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সৌ‌দি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বিগত কয়েক বছর রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি। এবারও তাই করব।’

এ বিভাগের আরো খবর