বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফুটপাত থেকে শপিংমলে গভীর রাতেও কেনাকাটা

  •    
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৫১

রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন শপিং মল, শো-রুম ও ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, পছন্দের জিনিস কিনতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। ক্রেতাদের পছন্দের জিনিস বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত দোকানিরা।

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। বাকি মাত্র এক বা দুই দিন। পরিবারের সবার জন্য চাই নতুন পোশাক। সাধ্যের মধ্যে সবাইকে ঈদ উপহার দিতে বড় বড় শপিংমল থেকে ফুটপাতে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা।

গত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসব তেমন চাঙা হয়নি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে।

রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন শপিং মল, শো-রুম ও ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, পছন্দের জিনিস কিনতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। ক্রেতাদের পছন্দের জিনিস বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত দোকানিরা।

আলো ঝলমল বিপণীবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে গ্রাহকদের আনাগোনা। পণ্য কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে হন্যে হয়ে ঘুরছে মানুষ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই বছর পর ব্যবসায় দীর্ঘ খরা কাটিয়ে অবশেষে উৎসবকেন্দ্রিক বাণিজ্যের পালে হাওয়া লেগেছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার ঈদের বাজারে নেই কোনো কড়াকড়ি, বিধিনিষেধ। দীর্ঘদিন পর ক্রেতারা ফিরে এসেছেন ঈদের কেনাকাটায়।

মিরপুর-১০ এ শাহ আলী মাকের্টে জুতা কিনতে আসা রায়হানা শামস বলেন, ‘এই মার্কেটে কম দামে নতুন ডিজাইনের জুতা পাওয়া যায়। অনেক জুতার দোকান আছে, তাই প্রতি বছরই জুতা কিনতে আসি এখানে। কিন্তু এবার অন্যান্যবারের তুলনায় দাম বেশি। আগে যে জুতা ৭০০ বা ৮০০ টাকায় কিনেছি, এখন সেসব জুতা কিনতে হাজারের উপর টাকা গুণতে হচ্ছে।’

পাঞ্জাবি কিনতে আসা আবদুর রহমান বলেন, ‘পরিবারের সবার জন্য কেনা শেষ। এখন নিজের জন্য পাঞ্জাবি কিনব। এবার পোশাকে দাম চড়া।’

চলছে ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ছবি: সাইফুল ইসলাম

মেসার্স মিয়াদ স্টোরের ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন জানান, গত দুই বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কয়েক গুণ বেড়েছে।

ঈদের আর দুই দিন বাকি। গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। আর ঈদের আগে চাঁদ রাতে সারা রাত বিক্রি করবেন তারা।

প্রতিটি বিপণীবিতানে দেখা গেছে প্রচণ্ড ভিড়। ভিড় ঠেলে দোকান পর্যন্ত পৌঁছাতে ক্রেতাদের গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। ক্রেতার চাপে হাঁপিয়ে উঠেছেন বিক্রেতারাও।

মিরপুর বেনারসি পল্লীতেও দেখা যায় একই চিত্র।

ব্যবসায়ীরা জানান, বেনারসি পল্লীতে পাইকারি বিক্রি বেশি। ২৫ রমজানের মধ্যে পাইকারি বিক্রি শেষ হয়েছে। দিনে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার কেনাবেচা করেছেন তারা। এখন খুচরা ক্রেতারা শাড়ি কিনছেন। নারীদের জামদানি শাড়ির চাহিদা বেশি। অনেকে আবার সুতি শাড়িও কিনছেন।

এখানকার বিক্রেতারাও বললেন, গত দুই বছর ব্যবসায় লোকসান ছিল। এবার ঋণ করে ভয়ে ভয়ে বিনিয়োগ করেছেন তারা। কিন্তু তাদের হতাশ হতে হয়নি। এ বছর প্রথম রোজা থেকেই বিক্রি বেড়েছে। প্রতিদিনই বিক্রি বাড়ছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বাণিজ্য হবে বলে আশা করছেন তারা।

মিরপুর-২ এর বিভিন্ন শো রুমেও ক্রেতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

বৈশাখী, চন্দ্রবিন্দু, ক্যাটস আই, অঞ্জনস, কে ক্রাফট, জেনটেল পার্ক, গ্রামীণ চেক, ইজিসহ বিভিন্ন শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে, পছন্দের পোশাক কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে রাত দিন ক্রেতা সমাগম ঘটছে। আর বেচাবিক্রিও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। সকালে দোকান খোলার পর থেকে বাড়তে থাকে ক্রেতার ভিড়, চলে সেহরির আগ পর্যন্ত। সন্ধ্যায় ইফতারির সময় কিছুটা ভিড় কম থাকে। প্রায় প্রতিটি দোকানে ক্রেতার চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মিরপুর-২ শোরুমের সামনের ফুটপাতও ছিল জমজমাট। বিভিন্ন দাম বলে হাঁকডাক দিচ্ছেন বিক্রেতারা। ফুটপাতগুলোতে বসছে ব্যাগ, প্রসাধনী, চিরুণী, ইফতার সামগ্রী, কম মূল্যের জুতা, আতর-সুরমা, টুপিসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।

ফুটপাত থেকে জামা কিনছিলেন মো. রফিক। তিনি বলেন, ‘শোরুমে বেশি দাম, তাই ফুটপাত ঘুরে দেখছি। দামে মিললেই কিনে নেব। ঈদের বাকি দুই দিন। এ জন্য পরিবারের সবার জন্য সাধ্যের মধ্যে কিনব।’

ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনার দুই বছরে কোনো বেচাবিক্রি হয়নি। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন তারা। কিন্তু এবার অবস্থা ফিরেছে। প্রথম দশ রোজা পর্যন্ত কম বিক্রি ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিক্রি ভালো।

এ বিভাগের আরো খবর