বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশি পোশাকে আগ্রহ বেশি

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৪৩

ঈদের সময় দেশি পোশাকের আয়োজন ভালো থাকলেও ক্রেতার চাহিদায় রয়েছে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি পোশাক। পাকিস্তানি থ্রিপিসে তরুণীদের আগ্রহ বেশ। শতভাগ সুতি এসব পোশাক কিনতে ক্রেতারা ঢুঁ মারছেন দোকান থেকে দোকানে।

ঈদের আগে মার্কেট বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতা বাড়ছে। বিপণিবিতানগুলোতে তোলা হয়েছে বাহারি দেশি-বিদেশি পোশাক। নতুন সাজে সেজেছে শপিংমল।

গরমের বিষয়টি মাথায় রেখে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর পোশাকে সুতি কাপড়ের প্রাধান্য। আনা হয়েছে দেশীয় ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেল। চাহিদায় রয়েছে কটন, হাফসিল্ক, সেমি পিওর, লিনেন কাপড়। বিশেষ ম্যাচিং পোশাক রয়েছে পরিবার ও যুগলদের জন্য।

ঈদের সময় দেশি পোশাকের আয়োজন ভালো থাকলেও ক্রেতার চাহিদায় রয়েছে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি পোশাক। পাকিস্তানি থ্রিপিসে তরুণীদের আগ্রহ বেশ। শতভাগ সুতি এসব পোশাক কিনতে ক্রেতারা ঢুঁ মারছেন দোকান থেকে দোকানে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সারা বছর বিভিন্ন উৎসব ঘিরে ব্যবসা চললেও রোজার ঈদকে কেন্দ্র করেই চলে মূল আয়োজন।

জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ছবি: নিউজবাংলা

রাজধানীর মিরপুর-১০-এর শাহ আলী মার্কেট, মিরপুর-২-এর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের শোরুম এবং যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, সব বয়সের সবার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। ক্রেতাদের আগ্রহ শাড়ি, থ্রিপিস, কামিজ, স্কার্ট টপস, বাচ্চাদের ফ্রক, বেবি শাড়ি, রেডি ব্লাউজ, ওড়না, আনস্টিচ ড্রেস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট, শার্ট ইত্যাদি।

মিরপুর শাহ আলী মার্কেটের মেসার্স মিয়াদ ক্লথ স্টোরের বিক্রেতা সোহেল রহমান বলেন, ‘দেশীয় কাপড়ের পাশাপাশি এবার পাকিস্তানি থ্রিপিসের চাহিদা বেশি। পাকিস্তানি লোন, বিন সাইদ, বারিস চলছে বেশি। এগুলোর দাম ৯০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি ভারতীয় কাপড়েরও চাহিদা রয়েছে।’

ঈদে ভারতীয় কিংবা পাকিস্তানি থ্রিপিস কিনবেন আয়েশা বেগম। তিনি বলেন, ‘এখন আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম। আমি যেহেতু কটন নেব, ভারতীয় থ্রিপিসই খুঁজছি। দেশীয় পিওর কটন পাওয়া যায় না। এ জন্য কেনা হয় না।’

মিরপুর-২-এর বিভিন্ন শোরুমে দেখা গেছে প্রতিটি দোকানেই ক্রেতা-দর্শনার্থীরা পছন্দের কাপড় খুঁজছেন। এক দামের দোকান হওয়ায় অনেকে পছন্দ হলেই কিনছেন। এসব দোকানে শিশুদের জন্যও নতুন ডিজাইনের পোশাক এসেছে।

জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ছবি: নিউজবাংলা

সুতি থেকে শুরু করে জামদানি, সিল্ক, তসর, কাতান শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। পোশাকের নকশা ফুটিয়ে তোলার জন্য জিজিটাল প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, হাতের কাজ, প্যাচওয়ার্ক, কারচুপি, ডলার, কাঁচ, চুমকি, নকশা করা বোতাম, লেজ ব্যবহার করা হয়েছে।কয়েকটি শোরুমে দেখা যায়, দেশি কোনো কাপড় নেই, সব ভারতীয় অথবা পাকিস্তানি।

বিক্রেতারা বলছেন, দেশীয় কাপড় তুলনামূলক সিম্পল, গর্জিয়াস নয় বলে মনে করেন ক্রেতারা। ভালো ডিজাইনও হয় না। কিন্তু অনেক ক্রেতা পোশাকের চাকচিক্য ও নকশা পছন্দ করেন। ফলে তাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বিদেশি পোশাক।

ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের ৭ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে টপ টেন। দেখা গেছে, সব ধরনের পোশাক এখানে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতা নিজের পছন্দসই কাপড় খুঁজছেন।

ঈদের বিক্রি বিষয়ে বিক্রয়কর্মী জানান, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন মার্কেটে মানুষ বেশি আসছেন। ছুটির দিন বেশি বিক্রি হয়।

কী ধরনের কাপড়ের চাহিদা বেশি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিশুদের ফ্রক এবং নারীদের থ্রিপিস সব থেকে বেশি চলছে। সুতি হালকা টি-শার্টও ভালো বিক্রি হচ্ছে। বিদেশি পোশাকের মধ্যে ভারতীয় আর পাকিস্তানি লোন বেশি চলছে। পাশাপাশি পাকিস্তানি গর্জিয়াস থ্রিপিসেরও ভালো বিক্রি।’

পাকিস্তানি থ্রিপিস বেশি বিক্রি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি থ্রিপিস বেশ আরামদায়ক। এ জন্য এটার চাহিদা বেশি।’

জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ছবি: নিউজবাংলা

লং-কুর্তি, টপস, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, শার্টের পাশাপাশি শিশুদের জন্য নতুন ডিজাইনের সব পোশাক নিয়ে এসেছে ‘কে ক্র্যাফট’। রয়েছে যুগল ও ফ্যামিলি পোশাকও। অর্থাৎ মা ও মেয়ের কুর্তি, বাবা ও ছেলের জন্য পাঞ্জাবি। এ ছাড়া যুগলদের জন্য রয়েছে শাড়ি ও পাঞ্জাবি।

মেয়েশিশুদের জন্য ফ্যাশন টপস, ফ্রক, থ্রিপিস ইত্যাদি নিয়ে এসেছে সারা লাইফস্টাইল। আর ছেলে শিশুদের জন্য থাকছে টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, সিঙ্গেল শার্ট, শার্ট ও প্যান্ট সেট, সিঙ্গেল প্যান্ট ইত্যাদি।

যমুনা ফিউচার পার্কে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদেশি পোশাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্যনতুন ডিজাইন নিয়ে সেজেছে দেশি পোশাকও। কিন্তু বিদেশি পোশাকে ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় তারা ভারতীয় বা পাকিস্তানি পোশাক আনছেন।

ঈদের কেনাকাটা করা নুসরাত জাহান জানান, বরাবরই পাকিস্তানি লোনের থ্রিপিস তার পছন্দ। দেখতে এসেছিলেন। পছন্দ হওয়ায় দুটি কিনেছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর