নিরাপদ বাহনগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ট্রেন। এ কারণে বেশির ভাগ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান। নিরাপদ হলেও ট্রেনে ভ্রমণের সময় কিছু সতর্কতা পালন করতে হয়। চলুন সেগুলো দেখে নেই।
-
ভ্রমণের আগে
ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে স্টেশনে আসুন। অনেক সময় ট্রেন ছাড়তে বা আসতে দেরি করে। স্টেশনে ফোন করে সে সম্পর্কে আগেই জেনে নিন।
ট্রেন ভ্রমণের আগে অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। এতে ভ্রমণকালীন অসুবিধা হতে পারে।
জরুরি ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল, এসিডিটির ওষুধ, শ্বাসকষ্ট থাকলে ইনহেলার ইত্যাদি সঙ্গে নিন। ট্রেনযাত্রায় বমি করার আশঙ্কা থাকলে আগেই বমির ওষুধ খেয়ে নিন।
টাকা-পয়সা মানিব্যাগে না রেখে কয়েকটি ভাগ করে রাখুন৷ অর্থাৎ ব্যাগে কিছু টাকা, মানিব্যাগে কিছু টাকা, অন্য ব্যাগে আরো কিছু টাকা- এভাবে ভাগ করে রাখুন৷ ফলে একটি পকেটমার হলে বা হারিয়ে গেলেও একেবারে সব টাকা হারিয়ে ফেলবেন না।
ট্রেনযাত্রায় শক্ত জুতা ব্যবহার করবেন না। হাই হিল ধরনের জুতা ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চলাচলে সুবিধা হবে।
বাসার থেকে খাবার নিয়ে যাওয়াই উত্তম। ট্রেন স্টেশনে খাবারের দাম বেশি হয়। তাছাড়া সেখানকার খাবারের মানও তেমন ভালো নয়।
মোবাইল, ল্যাপটপের চার্জ ফুল করে নিন এবং পাওয়ারব্যাংক সঙ্গে রাখুন৷ কারণ ট্রেনে চার্জ দেয়ার যে সিস্টেম থাকে তা অনেক ক্ষেত্রেই কাজ নাও করতে পারে৷
-
ভ্রমণকালীন সতর্কতা
ট্রেন প্ল্যাটফর্মে আসার সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে না ওঠাই ভালো। পকেটমার হওয়ার ঘটনাগুলো সাধারণ এ সময় ঘটে। তাই ভিড় এড়িয়ে ধীর ধীরে উঠুন।
যদি এমন হয় যে ট্রেন বেশি সময় দাঁড়াবে না এবং ভিড় ঠেলেই উঠতে হবে, সে ক্ষেত্রে মোবাইল, মানিব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে সতর্ক থাকুন।
সঙ্গে শিশু থাকলে তার দিকে বিশেষ নজর রাখুন। সে যাতে ছোটাছুটি করতে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার না হয়। ট্রেনের বগির দরজা অনেক সময় খোলাই থাকে। ওরা দরজায় গেলে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বাংলাদেশে ট্রেন ভ্রমণের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ট্রেনে অনেকে পাথর নিক্ষেপ করে। যার ফলে অনেকে আহত হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের সূত্র মতে, দেশের ২০টি জেলায় প্রধানত এসব ঘটে। পাথর নিক্ষেপের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্পট হচ্ছে ৭০টি। তাই এসব স্পট সম্পর্কে আগাম জেনে নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
ব্যাগে বা লাগেজে আপনার নাম-ঠিকানা লিখে রাখুন। হারিয়ে গেলে পুলিশ অথবা উদ্ধারকারী ব্যক্তি এই ঠিকানা ব্যবহার করে ফেরত দিতে পারবেন।
রাতের ট্রেন হলে ঘুমিয়ে পড়ার আগে জিনিসপত্র নিরাপদে রাখুন।
ট্রেনের টিকিট যত্নে রাখুন। টিকিট হারিয়ে ফেললে বাড়তি টাকা জরিমানা দিতে হবে এবং এটি বেশ অসম্মানজনক।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, করোনা টিকা কার্ড ইত্যাদি সঙ্গে রাখুন। ভ্রমণে যে নতুন গন্তব্যে যাচ্ছেন, সেখানে এসব ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে।