বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মঙ্গলগ্রহে যেতে লাগবে লেটুস পাতা

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২২ ২৩:২১

আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির সভায় মঙ্গলবার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে হাড়ের যে ক্ষয় হয় তা ঠেকানোর ক্ষমতা রয়েছে তাদের তৈরি লেটুস পাতায়। এটি মহাকাশে চাষ করা যায়। উদ্ভিদটি সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী।

মঙ্গলে ২০৩০ সালে পা পড়বে মানুষের। স্পেসএক্সের ইলন মাস্ক একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী। তিনি মনে করছেন, প্রত্যাশিত সালের এক বছর আগেই এই সাফল্য ধরা দেবে।

কিন্তু মঙ্গলে পদার্পণের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এর দীর্ঘ যাত্রা। পৃথিবী থেকে ২৭ লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরের মঙ্গলগ্রহে যেতে কয়েক মাস মহাকাশচারীদের কাটাতে হবে ভরহীন অবস্থা বা জিরো গ্রাভিটিতে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই অবস্থায় মানব হাড়ে ক্ষয় দেখা দেয়।

এ থেকে পরিত্রাণে দিনরাত এক করেছেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে তারা খুঁজে পেয়েছেন এই ক্ষয়রোধের প্রতিষেধক

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে হাড়ের যে ক্ষয় হয় তা ঠেকানোর ক্ষমতা রয়েছে তাদের তৈরি লেটুস পাতায়।

আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির সভায় মঙ্গলবার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন ট্রান্সজেনিক লেটুস পাতার নকশা উপস্থাপন করেন। তারা জানান, এটি মহাকাশে চাষ করা যায়, সুস্বাদু এই পাতা হাড়ের ক্ষয় রোধের জিনগত ক্ষমতা রয়েছে।

গবেষকদের একজন ক্যারেন ম্যাকডোনাল্ড। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার এই অধ্যাপক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘উদ্ভিদটি সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী।

পৃথিবীতে মানবদেহ একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যান। কারসাজি করে শরীর তার ভারসাম্য ঠিক রাখে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হাড়ের ক্ষয় হয়, মিনারেল তা আবার পূরণ করে। মহাকাশে এই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে শরীর।

এই লেটুস একটি হাড়-উদ্দীপক হরমোন তৈরি করে যা মহাকাশচারীদের হাড় ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত

মহাকাশে এই হাড় ক্ষয় রোধে ব্যায়াম করে থাকেন মহাকাশচারীরা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রয়েছে বিশালাকার ব্যায়ামাগার।

কিন্তু নতুন একটি গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ‘মহাকাশে ব্যায়াম করে হাড়ের ক্ষয় রোধ আদৌ হয় কি না, তা তারা নিশ্চিত না।

এ কারণে এক ধরনের হরমোন ইঞ্জেক্ট করেন মহাকাশচারীরা। পিটিএইচ হরমোনটি হাড়ের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু প্রতিদিন শরীরে সুচের গুটো কার ভালো লাগে?

গবেষক দলটি প্রোটিনের সঙ্গে পিএইচ জিনের একটি সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে। এটিকে পরে এনকোডিং পদ্ধতিতে ঢুকিয়ে দেয়া হয় তাদের তৈরি ট্রান্সজেনিক লেটুসের জিনোমে। তারপর সেই লেটুসের বীজ থেকে নতুন গাছ জন্মায়।

গবেষক দলের সদস্য কেভিন ইয়েটস বলেন, ‘একজন নভোচারীকে অন্তত আট কাপ লেটুস খেতে হবে। তবেই তা কাজ করবে।’

গবেষক দলের সদস্যরা অবশ্য এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনিনি। কয়েক ধাপের ট্রায়ালের পাশাপাশি বিভিন্ন পরিবেশে এটির কার্যকারিতা ঘেঁটে দেখতে হবে তাদের।

মহাকাশ ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে লেটুস

ক্যারেন ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘আমরা লেটুস ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ লেটুস এমন এক উদ্ভিদ যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে চাষ করা যায়। এটি বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে খুবই উৎপাদনশীল। তাই আমরা একটি ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ তৈরি করি। এর একটি বীজ হাজার হাজার বীজ তৈরি করতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর