বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

না পাওয়াকে ভুলে যান, আজ সুখে থাকুন

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২২ ১৬:৫৩

জীবনে সুখ এবং সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে সম্ভাব্য সব পরিস্থিতিতে শান্ত এবং ধীরস্থির থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কঠিন সময়ে বুদ্ধিদীপ্ত থাকা একজন ব্যক্তিকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করে। তাই অন্যের প্রতি সদয় হওয়া, নিজের ভুলত্রুটি স্বীকার করতে পারা, নিজের জন্য যেমন সুখের, অপরের জন্যও স্বস্তির।

‘আজি বহিতেছে/ প্রাণে মোর শান্তিধারা-- মনে হইতেছে/ সুখ অতি সহজ সরল, কাননের/ প্রস্ফুট ফুলের মতো, শিশু-আননের/ হাসির মতন, পরিব্যাপ্ত বিকশিত-/ উন্মুখ অধরে ধরি চুম্বন-অমৃত…’ সুখানুভূতিকে কবিতায় এভাবে তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

তবে কাঠখোট্টা বিজ্ঞান বলছে, মানুষের আনন্দ, সন্তুষ্টি, তৃপ্তি এবং পরিপূর্ণতার অনুভূতি দিয়ে গঠিত মানসিক অবস্থার নাম সুখ। ব্যক্তিভেদে সুখকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করার সুযোগ থাকলেও সহজ করে সুখানুভূতিকে বলা হয় আবেগের ভারসাম্য আর জীবনের সন্তুষ্টির মেলবন্ধন।

বলা হয়, জীবনে সুখ এবং সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে সম্ভাব্য সব পরিস্থিতিতে শান্ত এবং ধীরস্থির থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কঠিন সময়ে বুদ্ধিদীপ্ত থাকা একজন ব্যক্তিকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করে। তাই অন্যের প্রতি সদয় হওয়া, নিজের ভুলত্রুটি স্বীকার করতে পারা, নিজের জন্য যেমন সুখের, অপরের জন্যও স্বস্তির।

আজ সব হিসাব-নিকাশ ভুলে সুখে থাকার, সুখ অনুভবের দিন। কারণ আজ ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ হ্যাপিনেস’ বা আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। জাতিসংঘ স্বীকৃত দিনটি বিশ্বের ১৯৩টি দেশে উদযাপন করা হয়।

জাতিসংঘ বলছে, মানুষের মৌলিক লক্ষ্যগুলোর একটি সুখ। আর তাই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সংগত এবং ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতির আহ্বান রেখেছে এই বিশ্ব সংস্থাটি। ২০১২ সালের ১২ জুলাই ২০ মার্চকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ হ্যাপিনেস’ বা ‘আন্তর্জাতিক সুখ দিবস’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। গোটা বিশ্বের মানুষের জীবন-যাপনে সুখের গুরুত্ব অনুধাবন করে দিনটির স্বীকৃতি দেয়া হয়।

সাড়ম্বরে তা পালিত হচ্ছে ২০১৩ সাল থেকে। ২০১৫ সালে এসে ১৭টি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নির্ধারণ করে জাতিসংঘ। যার মূল উদ্দেশ্য দারিদ্র্য ‍বিমোচন, বৈষম্য বা অসমতা কমিয়ে আনা এবং এই পৃথিবীকে রক্ষা করা। বলা হচ্ছে, এই লক্ষ্য পূরণ হলেও মানুষের সুস্থতা ও সুখ নিশ্চিত হবে।

আর তাই সুখ দিবস উদযাপনে যেকোনো বয়সের যেকোনো মানুষ, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি কিংবা সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সুখ দিবস উদযাপনের পথপ্রদর্শক দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট দেশ ভুটান।

১৯৭০ সালের গোড়ার দিকের কথা। জাতীয় আয়ের চেয়ে জাতীয় সুখের ওপর গুরুত্ব দেয় পাহাড়ি দেশ ভুটান। এমনকি মোট জাতীয় পণ্যের (জিএনপি) ওপর ভিত্তি করে মোট জাতীয় সুখের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেশটি।

নিজেদের সেই চিন্তাকে বিশ্বসভায় পৌঁছে দিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে ‘সুখ এবং সুস্থতা: একটি নতুন অর্থনৈতিক দৃষ্টান্তের সংজ্ঞায়ন’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করে ভুটান।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারি থেকে উত্তরণের সংকল্প নিয়ে এ বছর পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। তাই প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে, ‘বিল্ড ব্যাক হ্যাপিয়ার’।

লকডাউন, শাটডাউন কিংবা কোভিড ঘিরে আসা নানা বিধিনিষেধের কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন কাছের মানুষ, দূরত্ব বেড়েছে বন্ধুদের সঙ্গে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদযাপন করা যায়নি অনেক সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় আয়োজন। জাতিসংঘ মনে করছে, এগুলোর প্রভাব পড়েছে ব্যক্তি মানুষের জীবনে। আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে অর্থনীতি ও মানুষের জীবিকার সংস্থান।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ‘নিউ নরমাল লাইফ’ বা ‘নতুন স্বাভাবিক জীবন’-এর প্রভাবে দেশে দেশে মানুষের জীবনের সুখানুভূতি কমিয়েছে, বিষণ্ণতা বাড়িয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর