বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তানে রমরমা সান্ডার তেলের বাজার

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২২ ১৬:৫৩

পাকিস্তানে ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ এবং সামাজিক বিধিনিষেধের কারণে অনেকে পুরুষাঙ্গের উত্থানহীনতার চিকিৎসা নিতে ভয় পান। আর এ কারণেই এ ধরনের তেলের চাহিদা অনেক বেশি।

যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবে গিরগিটির তেলের পসার রয়েছে পাকিস্তানে। ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ হওয়ায় এ তেলের ব্যবসা এখন রমরমা। বাজারের চাহিদা পূরণ করতে অকাতরে মারা হচ্ছে বিপন্ন প্রজাতির গিরগিটি। স্থানীয়ভাবে তেলটি পরিচিত ‘সান্ডার তেল’ নামে। নিউজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সভিত্তিক সাইট ভাইসের প্রতিবেদন অবলম্বনে পাকিস্তানের সান্ডার তেলের বাজার নিয়ে লিখেছেন রুবাইদ ইফতেখার।

নোংরা ফুটপাতের ওপর এক লোক ছোট একটি চুলায় প্যান চাপিয়ে কী যেন ভাজছেন। প্যানে ময়লা সোনালি রঙ্গের মিশ্রণের ওপর তিনি কোনো এক ভেষজ ছিটিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে চর্বি পোড়ার তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। একপাশে পরিপাটি করে সাজানো অদ্ভুত সব উপকরণ। জাফরান, দারুচিনি এবং বিড়াল ছানার আকারের একদল গিরগিটি।

ওনার নাম মোহাম্মদ নাসির। নাসির গিরগিটির তেল বিক্রি করেন। পাকিস্তানে এ তেল পুরুষাঙ্গের উত্থানসংক্রান্ত জটিলতার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এর ব্যবহার অনেকটা তরল ভায়াগ্রার মতো। নাসির পাঁচ বছর ধরে রাওয়ালপিন্ডির ঐতিহাসিক রাজা বাজার এলাকায় এ তেল বিক্রি করছেন। স্থানীয়ভাবে এটি ‘সান্ডার তেল’ নামে পরিচিত। ভারতীয় প্রজাতির গিরগিটির (ইন্ডিয়ান স্পাইনি টেইলড লিজার্ড বা Saara hardwickii) চর্বি ভেজে এ তেল বের করা হয়। স্থানীয় কবিরাজ ও ফুটপাথের হকাররা এটি বিক্রি করেন।

নাসির বলেন, ‘এ তেল পুরুষাঙ্গে মাখতে হয়। এতে যৌন অক্ষমতা ঠিক হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পুরুষাঙ্গ লম্বা, মোটা ও শক্ত হয়। এটি ব্যবহারে পুরুষাঙ্গ অনেকক্ষণ উত্থিত থাকে এবং দ্রুত বীর্যপাত হয় না।’

তেল বানানোর সময় নাসিরকে ঘিরে ছিলেন উৎসুক অনেক দর্শক। কেউ কেউ মজা করছিলেন বিষয়টি নিয়ে, কেউ নোংরা মন্তব্য করছিলেন। তাদের এ আচরণের পরেও বোঝা যাচ্ছিল, বিষয়টি নিয়ে তারা বেশ আগ্রহী।

পাকিস্তানে ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ এবং সামাজিক বিধিনিষেধের কারণে অনেকে পুরুষাঙ্গের উত্থানহীনতার চিকিৎসা নিতে ভয় পান। আর এ কারণেই এ ধরনের তেলের চাহিদা অনেক বেশি। ভায়াগ্রাকে বৈধ করার পদক্ষেপে দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় বাধা দিয়েছে। তাদের ভাষ্য, এটা পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের বিরোধী। আর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কবিরাজ ও বিক্রেতারা জরুরি একটি চাহিদা মেটানোর আরও ভালো সুযোগ পেয়েছেন।

পাকিস্তানে এই তেলের সরবরাহ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা শিকারি, বিক্রেতা ও কবিরাজদের সবাই পুরুষের এ সমস্যার ফায়দা লোটেন। পুরুষত্বহীনতা ছাড়াও পুরুষাঙ্গের আকৃতি বড় করা, উর্বরতা বৃদ্ধি ও বাতের ব্যথার জন্য এ তেল ব্যবহার করা হয়।

ইসলামাবাদের ইউরোলজিস্ট (মূত্রনালি বিশেষজ্ঞ) আসিম খান বলেন, ‘আমার রোগীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ এসব ওষুধের ভুল ব্যবহার করেছেন।’

যেসব গিরগিটি থেকে এই তেল সংগ্রহ করা হয়, সেগুলো বিপন্ন প্রজাতির ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অফ নেচারের লাল তালিকাভুক্ত। শিকারিরা গিরগিটিগুলো ধরার পর এদের পিঠ ভেঙে দেন, যাতে তারা পালাতে না পারে। জীবন্ত অবস্থাতেই এদের নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলা হয় এবং চর্বি আলাদা করে চুলায় চড়ানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়। তেলের সঙ্গে জিনসেং, শুকনো আদা, জাফরান, দারুচিনি ও ব্রাহ্মী বীজ মেশানো হয়। অনেক সময় বিপন্ন প্রজাতির কস্তুরি হরিণ থেকে আহরণ করা কস্তুরি সুগন্ধিও ব্যবহার করা হয় মিশ্রণে।

রানা ফরিদ ওয়াজিরাবাদ শহরের একজন হাকিম। যিনি তার দোকানে ১৮ বছর ধরে এই তেল বিক্রি করছেন। তার ক্লিনিকের লিফলেটে গিরগিটি, সাপ ও বিভিন্ন সরীসৃপের সাহায্যে পুরুষাঙ্গের চিকিৎসার ওপর জোর দেয়া হয়।

ফরিদ বলেন, ‘সমগ্র পাকিস্তান থেকে আমার গ্রাহক আসেন। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও ইংল্যান্ড থেকেও আসেন। আমার এ ওষুধের কথা তারা তাদের পাকিস্তানি আত্মীয়দের কাছ থেকে শুনেছেন।’

ওয়াজিরাবাদের বাসিন্দা হাফিজ পাঁচ বছর ধরে ফরিদের কাছ থেকে এ ওষুধ নিচ্ছেন। স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় হাফিজ নিজের পুরো নাম জানাতে চাননি।

তিনি বলেন, ‘এটা ব্যবহারের আগে আমি ও আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন সন্তান গ্রহণের চেষ্টা করেছি। তবে মিলনের সময় আমি বেশিক্ষণ উত্থান ধরে রাখতে পারতাম না। আমি আগেও অনেক অর্থ খরচ করেছি, লাভ হয়নি। তবে এটা কাজে দিয়েছে। আমি এখন পুত্রসন্তানের বাবা।’

তবে চিকিৎসকেরা এটা মানতে পারছেন না।

‘অলৌকিক ওষুধের’ ওপর যথেষ্ট গবেষণা না থাকায় তারা এর কার্যকারিতা ও নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান।

ডা. খান বলেন, ‘এখন প্রমাণভিত্তিক ওষুধের যুগ। বাজারে বিক্রির আগে কোনো ওষুধ সম্বন্ধে সঠিক গবেষণা করতে হবে। এ চিকিৎসাগুলোর সমস্যা হচ্ছে যে আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ উপাত্ত নেই।

‘ধরে নিলাম, তারা ৫০০ জনকে এই তেল একটা নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রি করেন। এক মাস পর তাদের কী হয়? তাদের কিডনি কীভাবে কাজ করে? লিভারের ওপর এর প্রভাব কী? আমরা এগুলো জানি না।’

পুরুষাঙ্গের উত্থান জটিলতার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। জৈবিক, মানসিক ও জীবন যাত্রাগত নানা কারণ রয়েছে। হরমোনে সমস্যা, দুর্বল হৃদযন্ত্র ও এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার সঙ্গেও এর যোগ রয়েছে।

ডা. খান বলেন, ‘যতক্ষণ না আপনি সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করেন, ততক্ষণ এর স্থায়ী সমাধান করা খুব কঠিন। পুরুষাঙ্গের উত্থান জটিলতা বা দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যার তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য কিছু ভেষজ ওষুধ ও হাতুড়ে চিকিত্সা রয়েছে। তবে এগুলো সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারে। রক্ত, হরমোন ও আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা না করলে আমরা এই রোগের সঠিক চিকিত্সা করতে পারব না।’

পুরুষাঙ্গের উত্থান জটিলতা নিয়ে পাকিস্তানে খুব কম তথ্য পাওয়া যায়। ২০০৩ সালে করা এক সমীক্ষায় দেশের ক্লিনিকগুলোতে পুরুষদের ৪০.৪ শতাংশ এ সমস্যার কথা জানিয়েছেন। গত বছর প্রকাশিত একটি সমীক্ষা যা করাচি শহরের রোগীদের মধ্যে করা হয়েছিল, তাতে দেখা যায়, একটি স্থানীয় হাসপাতালে ৪৫০ জন রোগীর মধ্যে এই জটিলতায় ভোগার হার ছিল ২১ শতাংশ।

এমন পরিসংখ্যানের পরেও ভায়াগ্রার মতো মূলধারার যৌনশক্তি বর্ধনকারী ওষুধের বিক্রি ঠেকাতেই বেশি জোর দিচ্ছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তবে নিষিদ্ধ এ ওষুধের বিরুদ্ধে ক্র্যাক ডাউন থাকার পরেও ভায়াগ্রা সারা দেশে অনলাইন ও স্থানীয় ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।

সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা ও গোপনীয়তার সংস্কৃতির সুবিধা নিচ্ছে সান্ডা বা গিরগিটির তেল।

রাওয়ালপিন্ডির নৃতাত্ত্বিক আব্দুল কাদের বলেন, ‘পুরুষের যৌনতা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে এবং বৈবাহিক সম্পর্কেও সাধারণ ধারণা হচ্ছে নারী সঙ্গীকে জয় করতে হবে। যৌনতার এমন ধারণা থেকেই পুরুষ বিশ্বাস করে, তাদের যৌনশক্তি বাড়াতে হবে।’

এ বিশ্বাস থেকেই তারা গিরগিটির তেল ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। হাকিম ফরিদের মতে, এ তেল সব বয়সের মানুষের কাছেই আকর্ষণীয়। স্ত্রী বা সঙ্গীকে আনন্দ দেয়ার জন্য তরুণরাও এর ব্যবহার করছেন। বিয়ের আগে নিজেদের যৌনক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন তরুণরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে দাবি ফরিদের।

তিনি বলেন, ‘তারা যৌন সক্ষমতা নিয়ে চিন্তিত, কারণ স্বমৈথুনের সময় তাদের দ্রুত বীর্যপাত হয় এবং একজন নারীকে সন্তুষ্ট করতে পারবে কি না- সেটি ভেবে তারা ভয় পায়।’

সেক্স থেরাপিস্ট ও মনোবিদ তাহিরা রুবাবের মতে, অনেকে পৌরুষত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। কারণ তারা পুরুষের যৌনক্ষমতা সম্পর্কে সমাজের প্রচলিত ধারণা দিয়ে প্রভাবিত।

রুবাব বলেন, ‘সমাজ পুরুষদের বলে, তারা যদি যৌনক্ষম না থাকে তাহলে তারা পুরুষই নয়। এ চাপ তার সঙ্গীর কাছ থেকে আসে না, আসে সমাজের কাছ থেকে। এটি শেষ পর্যন্ত পুরুষদের আত্মসতর্ক করে তোলে ও মানসিকভাবে পুরুষত্বহীনতার একটি চক্রের মধ্যে তাদের ফেলে দেয়।’

যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য হতাশা ও চাহিদা নানা সামাজিক শ্রেণি ও ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষার স্তরেও দেখা যায়।

ডা. খান বলেন, ‘এটা শিক্ষার বিষয় নয়, সচেতনতার অভাব। একবার আমি ইসলামাবাদে এক রোগীকে পেয়েছিলাম, যিনি ২০তম গ্রেডের সিভিল অফিসার ছিলেন। হাকিম তার কাছে চিকিৎসা বাবদ ৪৫ হাজার রুপি (২২ হাজার টাকা প্রায়) নিয়েছিলেন।’

পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি ও প্রচলিত ওষুধের বিভিন্ন সংস্থা সান্ডার তেলের ওপর নজরদারি রাখার চেষ্টা করেছে। তারপরেও এর বিক্রি অনেকটাই অনিয়ন্ত্রিত। ফলে সরবরাহকারী ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে এর দাম একেক জায়গায় একেক রকম।

রাস্তার হকাররা ছোট এক শিশি তেল বিক্রি করেন ৩০০ রুপিতে, আর বড় বোতলের দাম ২০০০ রুপি পর্যন্ত হতে পারে। গ্রামে ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায়- যেখানে হাকিম ও কবিরাজ ছাড়া চিকিৎসার গতি নেই, সেখানে রোগীরা বেশি দাম দিতে বাধ্য থাকেন। একেক বোতল ১০ হাজার রুপিতেও বিক্রি হতে পারে।

এই প্রতারণার তথ্য জানার পরও ক্রেতারা দামি ওষুধ খাওয়া বা বেআইনি ভায়াগ্রার চেয়ে এই তেল পছন্দ করেন। ফুটপাথের হকারদের সঙ্গে প্রচুর দরদাম করেন ক্রেতারা, বিশেষ করে যারা কবিরাজদের কাছ থেকে নিয়মিত ওষুধ নেন।

নৃতাত্ত্বিক কাদের বলেন, ‘হাকিমদের সঙ্গে ক্রেতাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ও অপেশাদার এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। তারা এমনকি চার মাসের জন্য অর্থ ছাড়াই ওষুধ চাইতে পারে। এটি দর-কষাকষির ধারণাটিকে সহজ করে তোলে এবং গ্রাহককে আরও আগ্রহী করে তোলে।’

পাকিস্তানের মরুভূমিতে এ গিরগিটিগুলো বেশি দেখা যায়। গত কয়েক বছরে চোরাশিকারিদের বিরুদ্ধে অভিযান ও গ্রেপ্তারের হার বাড়লেও ‘পুরুষত্ব’ বাড়ানোর তেলের ব্যাপক চাহিদা মেটাতে গিরগিটি ধরে কবিরাজ ও রাস্তার বিক্রেতাদের কাছে দেদার বিক্রি করা হচ্ছে।

মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও পুলিশ এ বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে তেমন কিছুই করছে না। পাকিস্তানের বন্য প্রাণী কর্তৃপক্ষই একমাত্র পদক্ষেপ নিয়েছে।

নাসির তেল বিক্রির পাশাপাশি তার ভাইকে নিয়ে গিরগিটি শিকার করেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের কিছুই বলে না। কেবল বন্য প্রাণী বিভাগ আমাদের পেছনে লাগে। আমাকে বেশ কয়েকবার জরিমানা করেছে তারা। তবে আমার কিছু করার নেই। এটাই আমার জীবিকা।’

নাসির ভাইসকে তার ১০ হাজার রুপির জরিমানার রসিদটিও দেখিয়েছেন।

আটক গিরগিটিগুলো সারা দেশ থেকে পাঞ্জাব প্রদেশে আসে। বন্য প্রাণী কর্মকর্তারদের মতে, এ এলাকা সান্ডার তেলের ব্যবসার কেন্দ্র। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালিত পাঁচটি অভিযানে বন্য প্রাণী কর্মকর্তারা সিন্ধু প্রদেশের শিকারিদের কাছ থেকে ৯৭৮টি গিরগিটি উদ্ধার করেছেন। ২০২০ সালে সিন্ধের করাচি ও থাট্টা শহর-শহরতলি থেকে আড়াই হাজার গিরগিটি উদ্ধার করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত একবার ধরার পর গিরগিটির পিঠ ভেঙে গেলে, বনে ছেড়ে দিলেও তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম।

সিন্ধ ওয়াইল্ডলাইফ ডিপার্টমেন্টের সংরক্ষক জাভেদ আহমেদ মাহের বলেন, ‘তেলের চাহিদা না কমা পর্যন্ত চোরাশিকার অব্যাহত থাকবে। চোরাশিকারিদের অধিকাংশই অত্যন্ত দরিদ্র যাযাবর সম্প্রদায়ের। অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তাদের আর কোনো ভালো সুযোগ দেয়া হয়নি। এ কারণেই তারা অসহায় নিরীহ প্রাণীদের ধরতে এখানে এসেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর