বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুকুর কামড়ালে যা করবেন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৩ মার্চ, ২০২২ ১২:২৮

কুকুরের আঁচড় বা কামড়ের পর দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জলাতঙ্ক ও ধনুষ্টংকারের টিকা গ্রহণ করা উচিত। জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে তা কিন্তু শতভাগ প্রাণঘাতী। এ রোগ একবার হলে মৃত্যু অনিবার্য।

যেকোনো সময় পাগলা কুকুরের আক্রমণের শিকার হতে পারে যে কেউ। এ ছাড়া সাধারণ কুকুরকে বিরক্ত করলেও কামড় দিতে পারে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, দেশে কুকুরের আক্রমণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে আগস্ট থেকে নভেম্বর মাসে। তবে অন্য সময়ও এটা হতে পারে। রাস্তাঘাটে কুকুরের আক্রমণের শিকার হলে ভীত না হয়ে কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের প্রতিবেদন অনুসারে চলুন জেনে নেই।

-

প্রাথমিক করণীয়

শুরুতেই আক্রান্ত স্থানে ক্ষত ও রক্তপাতের তীব্রতা খেয়াল করতে হবে। কুকুরে কামড়ালে প্রথমে ক্ষতস্থান চেপে ধরুন, যেন রক্তপাত বন্ধ হয়। এরপর টিউবওয়েল বা কলের পানি দিয়ে প্রবহমান পানির ধারার নিচে ন্যূনতম ১০ মিনিট ধরে ক্ষত পরিষ্কার করুন। সম্ভব হলে কোনো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন ক্ষতটি ভালোভাবে পরিষ্কারের জন্য। এটি ক্ষতের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। যতটা সম্ভব আক্রান্ত স্থানকে উঁচু করে রাখার চেষ্টা করুন।

ক্ষত পরিষ্কার হয়ে গেলে চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে হবে। ক্ষত-পরবর্তী সংক্রমণের হার কমানোর জন্য ক্ষতস্থানে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক অয়েনমেন্টের প্রলেপ প্রয়োগ করে একটি জীবাণুমুক্ত গজ কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করে ফেলুন। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পথ্যের পাশাপাশি অবশ্যই প্রতিদিন কামড়ের ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে হবে। ধুলো-বালি ও ময়লা যেন না লাগে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

ক্ষতপ্রদাহ শুকানো পর্যন্ত এ নিয়ম মেনে চলতে হবে। যদি ক্ষতস্থানে অনেক বেশি ব্যথা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামল বা অন্য ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে পারেন।

সম্ভব হলে আক্রমণকারী কুকুরের দিকে লক্ষ রাখুন। কামড়ানোর কিছুদিনের মাঝে কুকুরটি মারা গেলে আপনাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ রকম হলে প্রয়োজনে বিষয়টি অবশ্যই আপনার চিকিৎসককে অবগত করুন।

-

যা করা যাবে না

খালি হাতে কখনোই ক্ষতস্থান স্পর্শ করবেন না। ক্ষতস্থানে কোনো তেল, মাটি, গাছের রস, পানের পাতা, গোবর, চকের গুঁড়া ইত্যাদি অপদ্রব্য প্রয়োগ করা যাবে না। ক্ষতস্থানে কোনো সেলাই দেবেন না এবং ক্ষতে চিনি, লবণ বা কোনো ক্ষারক পদার্থ ব্যবহার না করাই ভালো।

-

পরবর্তী করণীয়

কুকুরের আঁচড় বা কামড়ের পরে দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জলাতঙ্ক ও ধনুষ্টংকারের টিকা গ্রহণ করা উচিত। জলাতঙ্কের রোগলক্ষণ প্রকাশ পেলে তা কিন্তু শতভাগ প্রাণঘাতী। এ রোগ একবার হলে মৃত্যু অনিবার্য।

সাধারণত লক্ষণ দেখা দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই রোগী মৃত্যুবরণ করে। কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে না। কেবল উপশমমূলক চিকিৎসাই দেয়া সম্ভব।

জলাতঙ্কের জন্য দুই ধরনের টিকা রয়েছে। ক্ষতের তীব্রতা ও আধিক্যের ওপর ভিত্তি করে কারো ক্ষেত্রে এক ধরনের, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে উভয় ধরনের টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে।

কুকুরের কামড়ের পর জলাতঙ্কের লক্ষণ প্রকাশ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি জলাতঙ্কের টিকা নেওয়া যায়, ততই মঙ্গল।

জলাতঙ্কের আধুনিক টিকার ৫টি ডোজ রয়েছে। সব কটি ডোজ সময়মতো যথানিয়মে নিয়ে টিকার কোর্স শেষ করা জরুরি।

এ বিভাগের আরো খবর