বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাগ ডে’তে বেছে নিন প্রিয় আলিঙ্গন

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৫:৪৮

স্নেহ, বিশ্বাস, সহমর্মিতা, পুনর্মিলন, আবেগ অথবা গভীর উষ্ণতা নিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরার নাম আলিঙ্গন। প্রিয় মানুষকে বাহুডোরে বাঁধার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিটি আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বার্তা। এই আলিঙ্গনেরও আছে রকমফের।

“কাহারে জড়াতে চাহে দুটি বাহুলতা,/ কাহারে কাঁদিয়া বলে ‘যেয়ো না, যেয়ো না।’/ কেমনে প্রকাশ করে ব্যাকুল বাসনা,/ কে শুনেছে বাহুর নীরব আকুলতা!”- আলিঙ্গনের তীব্রতা এভাবে জানিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বাহুর সেই উজাড় করা ব্যাকুলতা প্রকাশের দিন আজ। প্রিয় মানুষকে গভীর উষ্ণতায় বুকে টেনে নিন, কারণ আজ ভালোবাসা সপ্তাহের ষষ্ঠ দিন মানে হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস। ১২ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় দিনটি।

আলিঙ্গনকে বলা হয় শব্দের চেয়েও শক্তিশালী। এ কারণেই হয়তো রবিঠাকুর বলেছেন, ‘লতায়ে থাকুক বুকে চির-আলিঙ্গন,/ ছিঁড়ো না ছিঁড়ো না দুটি বাহুর বন্ধন।’

স্নেহ, বিশ্বাস, সহমর্মিতা, পুনর্মিলন, আবেগ অথবা গভীর উষ্ণতা নিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরার নাম আলিঙ্গন। প্রিয় মানুষকে বাহুডোরে বাঁধার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিটি আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বার্তা। সে কারণেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভালোবাসা তিনশো মাইল দূরে গিয়ে আলিঙ্গন করে।’

আলিঙ্গন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান দেয়। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, হতাশার পারদ নেমে যায় তলানিতে। হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতেও আলিঙ্গনের রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব। ন্যূনতম ২০ সেকেন্ড ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে আলিঙ্গনরত থাকলে স্বাভাবিক হয়ে আসে হৃৎস্পন্দন।

আলিঙ্গনের রকমফের

টাইট হাগ বা আঁটসাঁট আলিঙ্গন: এটি পূর্ণাঙ্গ ও উষ্ণ আলিঙ্গন। যেখানে প্রিয় মানুষটিকে সম্পূর্ণভাবে আপনার বাহু জড়িয়ে রাখে। দুটি শরীর থাকে খুবই ঘনিষ্ঠ। বিশেষ মুহূর্তে এ ধরনের আলিঙ্গন দেখা যায়। পরিস্থিতিকে যখন মানুষ শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হন কিংবা দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রিয়জনের সান্নিধ্য পাওয়া যায় অথবা অশ্রুসজল চোখে বিদায়বেলায় এ ধরনের আলিঙ্গন করে মানুষ।

পোলাইট হাগ বা কেতাবি আলিঙ্গন: সাধারণত সহকর্মীদের মধ্যে এমন আলিঙ্গন দেখা যায়। এ আলিঙ্গনে আড়াআড়িভাবে শরীরের স্পর্শ হয়। শরীরের নিম্নভাগে বজায় থাকে দূরত্ব, যা কাউকে অস্বস্তিতে ফেলবে না বা অপ্রস্তুত করবে না।

বিয়ার হাগ বা ভালোবাসার আলিঙ্গন: এমন আলিঙ্গনের অর্থ হাজার শব্দতেও ব্যাখ্যা করা যায় না। ভালোবাসার বিনিময় হয় এই আলিঙ্গনে। নিরাপত্তার উষ্ণতা নিয়ে যন্ত্রণা ঢাকা, মনের অব্যক্ত কথার প্রকাশ কিংবা বিষণ্ণতা তাড়ানোর বড় দাওয়াই এই আলিঙ্গন।

ব্যাক হাগ বা পেছন থেকে জাপটে ধরা: পেছন থেকে জাপটে ধরার পর যে ঝাঁকুনি শরীরে তৈরি হয়, তা মিলিয়ন শব্দের চেয়েও নাকি শক্তিশালী। তাই এই আলিঙ্গন বরাবরই স্পর্শকাতর এবং প্রেমময়। বিশ্বাসযোগ্য এবং অন্তরঙ্গ সম্পর্কের মাঝে শক্তিশালী শারীরিক সংযোগের পরিচায়ক। ফলে এই আলিঙ্গন একে অন্যের অনুরাগকেও তুলে ধরে।

সেলফ হাগ বা স্ব-আলিঙ্গন: আলিঙ্গন হোক কিংবা মানসিক স্বস্তি হোক, একজন মানুষ তার সঙ্গীকে সব সময় পায় না কিংবা সঙ্গীও জোটে না। এমন পরিস্থিতিতে স্ব-আলিঙ্গন আদর্শ। নিজেকে নিজে জড়িয়ে ধরাও নিজের প্রতি ভালোবাসার এক চমৎকার অনুভূতি!

ইন্টিমেট হাগ বা ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গন: দুটো শরীর যেন এক হয়ে আসে, অনুভব করেন একে অন্যের হৃৎস্পন্দন। শারীরিক ইন্দ্রিয়ের স্পর্শের উষ্ণতা সেখানে গৌণ হয়ে ওঠে, মুখ্য হয়ে ওঠে মনের আলিঙ্গন। প্রেমিক-প্রেমিকারা তাদের বিশেষ মুহূর্তে এমন আলিঙ্গন করেন।

ওয়ান ওয়ে হাগ বা একমুখী আলিঙ্গন: যতটা আপ্লুত হয়ে সঙ্গীকে আপনি বাহুডোরে নিলেন, ততটা তীব্রতা বিপরীত পাশে অনুভব করছেন না, তখন তা একমুখী আলিঙ্গন। বুঝে নিতে হবে, সম্পর্ককে আপনি যতটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন, আপনার সঙ্গী সেভাবে চাইছেন না।

বাডি হাগ বা বন্ধুত্বের আলিঙ্গন: এই আলিঙ্গন সব সময়ই আস্থা ও বিশ্বাসের মানদণ্ড। বন্ধুর বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা তার অর্জনে খুশি হয়েই এমন আলিঙ্গন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর