বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সঠিকভাবে বসার নিয়ম জেনে নিন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:৫৫

তবে বসা অবস্থায় কাঁধ ও পিঠ ঢিল করে বসতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে হাতের কবজি যাতে টেবিলের ওপর আরামদায়কভাবে থাকে। ফলে ‘কাপপার্ল টানেল সিনড্রোম’ বা হাতের কবজিতে থাকা নালিগুলো বন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি মিলবে।

"সোজা হয়ে বসো, গোঁজা হয়ে নয়"-অভিভাবকরা প্রায়ই বসার ব্যাপারে সন্তানকে এমন উপদেশ দিয়ে থাকেন। আমরা জানি, পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তি আছে যার দ্বারা সবকিছুকে নিজের দিকে টানে। আমাদেরকেও টানে। বসা বা দাঁড়ানোর সময় পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তির বিপরীতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে যেভাবে স্থিত রাখি, তাকে অঙ্গস্থিতি বা পোশ্চার বলা হয়। উদ্দেশ্য, আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্য সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় আর অঙ্গগুলো যেন তাড়াতাড়ি ক্লান্ত না হয়ে পড়ে। সঠিক অঙ্গস্থিতিতে হাড় জোড়া এবং মাংসপেশি আরামে থাকে। এতে জোড়ার ভেতরে হাড়ের ক্ষয় হয় না, লিগামেন্টের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না ,দেহ দেখতে সুন্দর দেখায় এবং পেশি ও পিঠে ব‍্যথা হয় না।

আমাদের মেরুদণ্ডকে স্বাভাবিক অবস্থায় একপাশ থেকে দেখলে কিছুটা ইংরেজি "S" অক্ষরের মতো দেখায় । ঘাড়ের অংশ সামনের দিকে, পিঠের অংশ পেছনের দিকে, কোমরের অংশ সামনের দিকে এবং নিতম্বের অংশ পেছনের দিকে বাঁকা। এটা মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা। আমরা যদি সঠিকভাবে বসার নিয়ম আয়ত্ত না করি, তাহলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুঁজো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যাবে। এসব সমস্যায় যেন না পড়তে হয় তাই বসার সময় আমাদের নিয়ম মেনে বসতে হবে।

.

বসার নিয়ম

চেয়ারে সোজাভাবে বসুন। ঘাড় বা পিঠ বাঁকিয়ে বসবেন না। পিঠের নিচের অংশ ও চেয়ারের মধ্যে কোনো ফাঁকা রেখে বসা যাবে না। কম্পিউটার বা খাতা-কলমের কাজ যেটিই করুন না কেন, কাজের জিনিসগুলো রাখতে হবে সুবিধাজনক দূরত্বে। চেয়ার ও টেবিলের মধ্যে খুব বেশি দূরত্ব রাখা যাবে না। হাত ঝুলিয়ে কাজ করবেন না। লেখার সময় এবং কিবোর্ড বা মাউসের কাজ করার সময় হাতের আঙুল থেকে কনুই পর্যন্ত পুরো অংশটাই যেন টেবিলের ওপর থাকে। পা দুটি আরামদায়কভাবে মেঝেতে রাখুন। ঊরু থাকবে মেঝের সমান্তরাল। শরীরের কোনো অংশই দোদুল্যমান বা আনসাপোর্টেড অবস্থায় রাখা যাবে না। সঠিক সমর্থন (সাপোর্ট) দিয়ে রেখে কাজ করতে হবে। সঠিক ভঙ্গিতে বসলে পিঠ বা কোমরে যেমন ব্যথা হবে না, তেমনি ঘাড়ব্যথা থেকেও মুক্ত থাকবেন।

চোখের উচ্চতা

কম্পিউটারের মনিটরের ওপরের এক-তৃতীয়াংশ চোখের দৃষ্টিসীমার একটু ওপরে হওয়া উচিত। ওপরে বা নিচে তাকাতে হলে মনিটরের উচ্চতা ঠিক করে নিতে হবে। এতে চোখের ওপর চাপ কমবে। পাশাপাশি সামনে দিকে ঝুঁকে বসার প্রবণতা কমবে।

.

আরাম করে বসা

অবস্থান ঠিক রাখার জন্য অনেকেই শক্ত হয়ে বসেন। তবে বসা অবস্থায় কাঁধ ও পিঠ ঢিল করে বসতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে হাতের কবজি যাতে টেবিলের ওপর আরামদায়কভাবে থাকে। ফলে ‘কাপপার্ল টানেল সিনড্রোম’ বা হাতের কবজিতে থাকা নালিগুলো বন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি মিলবে। পায়ের পাতা বাঁকা করে না রেখে মেঝেতে সমান করে রাখতে হবে।

.

হাঁটাহাঁটি করা

মাঝেমধ্যে চেয়ার ছেড়ে একটু হাঁটাহাঁটি এবং শরীর টানটান করে নিতে ভুলবেন না। দাঁড়িয়ে দুই হাত পেছনে কোমরের উপরের অংশে নিয়ে সামনের দিয়ে ঠেলে নিয়ে শরীর টান টান করতে পারেন। এরপর বসে মাথা পেছনের দিকে এলিয়ে দিয়ে গোলাকারে ঘোরাতে হবে।

.

সূত্র: ওয়ার্ক ফিট

এ বিভাগের আরো খবর