বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাণভরে খান চকলেট

  •    
  • ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫৪

চকলেট এমন এক খাবার, যাতে অরুচি নেই শিশু-বৃদ্ধ কারও। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চকলেট খেলেও ৯ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষত্ব যোগ করেছে। এদিন প্রিয় মানুষের হাতে চকলেট তুলে দেয়া মানেই সম্পর্ককে আরও মিষ্টি, আরও অমলিন করার প্রত্যয় জানিয়ে দেয়া।

পথের ধারে পার্কের বেঞ্চে বসে আছেন ফরেস্ট গাম্প। এক আগন্তুক এসে বসেন পাশে। হাতের চকলেট বাক্সটি আগন্তুকের দিকে এগিয়ে ধরেন তিনি। তবে কোনো আগ্রহ দেখান না অচেনা নারী। চকলেট খেতে খেতে বোকাসোকা গাম্প বলতে থাকেন, ‘আমার মা সব সময় বলতেন, জীবন একটা চকলেট বক্সের মতো। তুমি জানো না, তুমি কোনটা পেতে যাচ্ছ?’

দৃশ্যটি রবার্ট জেমেকিস নির্মিত ‘ফরেস্ট গাম্প’ চলচ্চিত্রের।

জীবন চকলেট বাক্সের মতো হোক বা না হোক, আজ প্রিয়জনকে চকলেট উপহার দেয়ার দিন। চলমান ভালোবাসা সপ্তাহের তৃতীয় দিন ৯ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয় চকলেট দিবস।

দিনটিতে শুধু ভালোবাসার মানুষকেই চকলেট দিতে হবে- এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। বন্ধু, ছোট ভাইবোন, আত্মীয়, সহকর্মীদেরও দেয়া যায় চকলেট। বলা হয়, প্রিয়জনকে চকলেট উপহার দিলে সব টানাপড়েন ও দুঃখ দূর হয়। সম্পর্কে যোগ হয় মাধুর্য।

চকলেট এমন এক খাবার, যাতে অরুচি নেই শিশু-বৃদ্ধ কারও। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চকলেট খেলেও ৯ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষত্ব যোগ করেছে। এদিন প্রিয় মানুষের হাতে চকলেট তুলে দেয়া মানেই সম্পর্ককে আরও মিষ্টি, আরও অমলিন করার প্রত্যয় জানিয়ে দেয়া।

চকলেটের ইতিহাস আড়াই হাজার বছরের পুরোনো। উত্তর আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলের মেসোঅ্যামেরিকান সংস্কৃতির ধারক ছিলেন অ্যাজটেকরা। তাদের হাত ধরেই চকলেটের আবিষ্কার। অ্যাজটেকরা বিশ্বাস করতেন, জ্ঞানের দেবতা কুয়েটজালকোটল চকলেটের মাধ্যমে তাদের বর দিয়েছিলেন।

ওই সময়টায় কোকো বীজ ছিল বেশ মূল্যবান। এতটাই মূল্যবান যে পণ্য বিকিকিনিতে সেটি মুদ্রা হিসেবেও ব্যবহার করত অ্যাজটেকরা। তবে চকলেটের আসল স্বাদ তখনও আস্বাদন করতে পারেনি তারা। তেতো স্বাদের পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো চকলেট।

ষোড়শ শতক পর্যন্ত চকলেট ছিল তেতো। এরপর ইউরোপীয়রা চকলেটের সঙ্গে চিনি যুক্ত করে স্বাদে পরিবর্তন আনে। ১৫২৮ সালে স্প্যানিশরা চকলেটের সঙ্গে চিনি ও মধু যোগ করে। ফলে তেতো চকলেট হয়ে উঠল সুস্বাদু আর বাজারে বাড়ল কাটতি।

চকলেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম সারির যারা, তারা মূলত ঊনবিংশ ও বিশ শতকের গোড়ার দিকে প্রসিদ্ধি লাভ করে। আজকের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় চকলেট ব্র্যান্ড যুক্তরাজ্যের ক্যাডবেরির প্রতিষ্ঠা ১৮৬৮ সালে। তারও ২৫ বছর পর পথচলা শুরু করে মিল্টন এস হার্শের হার্শিস চকলেট, যা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর একটি। খাদ্য উৎপাদনে গোটা বিশ্বে এগিয়ে থাকা নেসলে চকলেটের দিকে নজর দেয় ১৮৬০ সালে। ১৮৭৫ সালে ড্যানিয়েল পিটার তৈরি করেন দুধের তৈরি চকলেট।

চকলেটে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে, চকলেট মানবশরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এমনকি স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করে জনপ্রিয় খাবারটি।

চকলেটে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। তাই যারা ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে। স্বাদের নেশায় মজে অপরিমিত চকলেট খাওয়া তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

এক সময়ের মুদ্রা কোকো বীজ বদলে হলো তেতো পানীয়। আর কালের বিবর্তনে এখন এটি বড় শিল্পে পরিণত হয়েছে। যেখানে জড়িয়ে আছে লাখো মানুষ জীবন-জীবিকা। ফলে চকলেট দিবস পালন মানে এই খাদ্য উপাদানটির বহুমাত্রিকতাকেও উদযাপন করা।

এ বিভাগের আরো খবর