বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চার তারের ইউকুলেলে বাজানোর দিন

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫৫

গিটারের মতো দেখতে এই বাদ্যযন্ত্রটিতে আজ সুর তোলার দিন। প্রতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি উদযাপন হয় ইউকুলেলে দিবস। চার তারের এই বাদ্যযন্ত্রটির প্রতি সংগীতপ্রেমীদের উৎসাহ দিতেই দিনটির সূচনা।

চার তারের ইউকুলেলে ছড়িয়ে দেয় সুরের মাদকতা। বাংলা গানে এর ব্যবহার এখনও তেমন দেখা না গেলেও পাশ্চাত্য সংগীতে বাদ্যযন্ত্রটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জিমি রজার, আর্নেস্ট ভির মতো তারকা মিউজিশিয়ানরা ছিলেন ‍তুখোড় ইউকুলেলে বাদক। আর টেইলর সুইফট, এডি ভেডার কিংবা জর্জ হ্যারিসনদের দেখা গেছে নিজেদের কনসার্টে ইউকুলেলে বাজাতে।

গিটারের মতো দেখতে এই বাদ্যযন্ত্রটিতে আজ সুর তোলার দিন। প্রতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি উদযাপন হয় ইউকুলেলে দিবস। চার তারের এই বাদ্যযন্ত্রটির প্রতি সংগীতপ্রেমীদের উৎসাহ দিতেই দিনটির সূচনা। ‘ব্রিং দ্য ওয়ার্ল্ড টুগেদার, ফোর স্ট্রিং অ্যাট অ্যা টাইম’ বা ‘চার তারে পৃথিবীকে একসুতোয় গাঁথার’ প্রত্যয় নিয়ে এ দিন সুর তোলেন ইউকুলেলেপ্রেমীরা।

২০১১ সালে দিনটির সূচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের মাইক লিঞ্চ। এই ইউকুলেলেপ্রেমীকে অবশ্য সবাই চেনেন ‘ইউকুলেলে মাইক’ নামে। পেশায় ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক, কিন্তু অনলাইনে সবাইকে ইউকুলেলে বাজানো শেখাতেন। মাইক বিশ্বাস করতেন, শান্তির সন্ধানে ইউকুলেলের কোনো বিকল্প নেই। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ইউকুলেলে মাইকের হৃৎস্পন্দন থেমে গেলেও, দিনটি উদযাপন থেমে নেই।

চার তারের বাদ্যযন্ত্রটির উদ্ভব পর্তুগালে। দেশটির নাবিকদের হাত ধরে ঊনবিংশ শতকে এটি পৌঁছে যায় হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। ইউকুলেলে পেয়েই মজে যান দ্বীপপুঞ্জের সংগীতপ্রেমীরা।

রাজা কালাকওয়া যখন হাওয়াইয়ের শাসক, তখন এটি সেখানে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানে ইউকুলেলেকে বাধ্যতামূলক করেছিলেন সংগীতপ্রেমী এই রাজা।

ইউকুলেলে মূলত গিটার পরিবারভুক্ত বাদ্যযন্ত্র। গিটারে ছয় তার থাকলেও ইউকুলেলেতে সংখ্যাটি চার। আবার গিটারের চেয়ে আকারে ছোট বলে বহন করাও সহজ। শিশু-কিশোরদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় এই বাদ্যযন্ত্রটি। এতে আছে মোট চারটি কর্ড: জি, সি, ই এবং এ।

‘ইউকুলেলে’ হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের শব্দ। যার অর্থ ‘জাম্পিং ফ্লি’ বা ‘ডানাহীন উড়ন্ত পোকা’। এমন নামকরণের কারণ অবশ্য খুঁজে পাওয়া গেছে। দারুণ পারদর্শী কেউ যখন ইউকুলেলে বাজান, তখন মনে হয় ডানাহীন কোনো প্রাণী উড়ে চলেছে। আর সেখান থেকেই পর্তুগিজদের বানানো বাদ্যযন্ত্রটির নাম ইউকুলেলে রেখেছে হাওয়াইয়ের মানুষ।

‘কিং অফ রক অ্যান্ড রোল’ খ্যাত এলভিস প্রিসলি আর বিং ক্রসবির হাত ধরে রেকর্ডিং ইনস্ট্রুমেন্টাল হিসেবেও মর্যাদা পেয়েছে ইউকুলেলে।

এ বিভাগের আরো খবর