কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো অন্য সময়ে করলে সমস্যা নেই, কিন্তু খাওয়ার পর করলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। থাইল্যান্ডের ইকাচাই হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, খাওয়ার পর কোন কাজগুলো করা যাবে না। চলুন দেখে নিই।
.
ঘুমানো
খাবার খাওয়ার পর আমাদের অনেকেরই ঘুমানোর অভ্যাস আছে। কিন্তু এটি করলে হতে পারে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি। কারণ খাওয়ার পর পরই ঘুমালে খাবার হজমে সমস্যা হয়। ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে টক্সিন জমতে থাকে শরীরে। তাই খাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা পর ঘুমানো উচিত।
.
ধূমপান
খাবার খাওয়ার পর অনেকেই ধূমপান করে থাকেন। এমনিতেই ধূমপান করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর খাওয়ার পর ধূমপান করলে সেটি শরীরের আরও বেশি ক্ষতি করে থাকে। খাওয়ার পর পরই ধূমপান করা মানে রক্তে বিষ ঢোকানোর মতো ক্ষতিকর।
.
ফল খাওয়া
ফল আমাদের স্বাস্থের জন্য উপকারী হলেও খাওয়ার পর পরই ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি করলে গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চিকিৎসকরা ফল খাওয়ার আদর্শ সময় হিসেবে বলে থাকেন খাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে অথবা পরে।
.
চা পান
খাওয়ার পর চা পান করার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চায়ে ক্যাফেইন থাকার কারণে এটি হজম-ক্ষমতা কমিয়ে শরীরে টক্সিন বাড়িয়ে তোলে। তাই খাওয়ার পর পরই চা পান না করে অন্তত ১ ঘণ্টা পর পান করতে হবে।
.
ব্যায়াম
ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু খাওয়ার পর পরই ব্যায়াম করা খুবই ক্ষতিকর। চিকিৎসকদের মতে, খাওয়ার পর স্বস্তি পেতে ধীরে ধীরে হাঁটা যেতে পরে। কিন্তু জোরে হাঁটা ও ব্যায়াম করলে তা শরীরের অনেক ক্ষতি করে থাকে।
.
গোসল
খাবার খাওয়ার পর গোসল করলে রক্ত শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে। হজমে প্রচুর শক্তি প্রয়োজন হয়। আর রক্ত শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে শক্তি ব্যয় করার কারণে হজমে পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায় না। তাই খাবার খাওয়ার পর পরই গোসল করলে তা স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করে থাকে।
.
পানি পান করা
খাওয়ার পরই পানি পান করলে এটি পেটে এনজাইম ও রস নিঃসরণ হ্রাস করে থাকে। এর কারণে অম্লতা ও ফোলাভাব দেখা যেতে পারে। ফলে এটি হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে।