আমেরিকান ন্যাশনাল আর্থকোয়েক ইনফরমেশন সেন্টার প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২০ হাজারেরও বেশি ভূমিকম্পের ঘটনা রেকর্ড করে। এসব ভূমিকম্পের ৯৯ শতাংশ এতটাই দুর্বল থাকে যে আমরা অনুভব করতে পারি না। বাকি ভূমিকম্পগুলো শক্তিশালী এবং প্রাণসংহারী হতে পারে।
ভূমিকম্প যদি আঘাত হানে তাহলে কী করতে হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। চলুন দেখে নেই।
১। ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
২। ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না।
৩। বিল্ডিংয়ের কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিতে হবে।
৪। রান্না ঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে।
৫। ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিতে হবে।
৬। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে শিশুদের স্কুলব্যাগ মাথার ওপরে দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে হবে।
৭। ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করা যাবে না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতে হবে, যাতে ধুলাবালি শ্বাসনালিতে না ঢোকে।
৮। গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুই হাতে মাথা ঢেকে বসে পড়তে হবে।
৯। বহুতল ভবনের ওপরতলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা যাবে না।
১০। একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে।
১১। গাড়িতে থাকলে ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভার, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি পার্ক করতে হবে। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকতে হবে।
১২। কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে দ্রুত বেরিয়ে পড়তে হবে এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিতে হবে।