বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুলা কেন খাবেন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:০২

মুলাতে উপস্থিত অ্যান্থোসায়ানিনগুলোর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে, যা কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ, হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার প্রবণতা কমে আসে।

শীতের সবজিগুলোর মধ্যে মুলা অন্যতম। এ সময় লাল এবং সাদা রঙের মুলা সবজির দোকানগুলোতে চোখে পড়ে। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টিকর। মুলায় থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান নানা শারীরিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে মুলার বিভিন্ন উপকারের কথা। চলুন দেখে নেই।

জন্ডিসের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে বিবেচিত হয় মুলা। মুলার পাতা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর। জন্ডিসে মুলার রস ভালো। কারণ এটি শক্তিশালী ডিটক্সিফাইং, টক্সিন ও রক্ত বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। মুলা বিলিরুবিন অপসারণ করতে সাহায্য করে বলে জন্ডিসে এটা উপকারী। একই সঙ্গে বিলিরুবিনের উৎপাদনও নিয়ন্ত্রণ করে। মুলা অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়া ঠেকাতে কাজ করে।

মুলা মূত্রবর্ধক সবজি। এটা প্রস্রাব উৎপাদন বাড়িয়ে কিডনি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। মুলার রস প্রদাহ নিরাময়ে কার্যকর। প্রস্রাবে জ্বলুনি ভাব কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। কিডনির সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি কিডনির অন্যান্য ব্যাধি সারাতেও মুলা ভালো।

মুলায় থাকা ভিটামিন সি আমাদের দেহে ফ্রি-র‌্যাডিক্যালগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করে এবং দেহের কার্টিজের যেকোনো ক্ষতি প্রতিরোধ করে। ভিটামিন সি কোলাজেন গঠনেও সহায়তা করে। মুলা খেলে বাতের ব্যথাতেও উপশম মেলে।

মুলা কোলন, পেট, অন্ত্র, মুখ ও কিডনি ক্যানসারের বিভিন্ন স্ট্র্যান্ডের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে। মুলা ক্যানসারের কোষগুলোকে পুনরুৎপাদন করতে বাধা দেয়।

মুলাতে উপস্থিত অ্যান্থোসায়ানিনগুলোর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে, যা কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ, হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার প্রবণতা কমে আসে।

ওজন কমাতেও অবদান রাখে মুলা। এতে কার্বোহাইড্রেট থাকে কম, অন্যদিকে পানি থাকে প্রচুর।

মুলা যখন খাবেন তখন এতে থাকা ফাইবার দ্রুত পেট ভরার ইঙ্গিত দেয়। এ কারণে বেশি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়।

মুলায় আছে পটাশিয়াম। এটা রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তচাপ কমায়। মুলার রস রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে না। কারণ এতে গ্লাইসেমিক সূচক কম রয়েছে। মুলা রক্তপ্রবাহে শর্করার শোষণকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের সেবন করা নিরাপদ। মুলার মধ্যে অ্যান্টি-কনজারভেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা নাক, গলা ও ফুসফুসের জ্বালা রোধ করতে সহায়তা করে। এ জ্বালা মূলত সর্দি, ইনফেকশন, অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে। মুলা শ্বসনতন্ত্রকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

এ বিভাগের আরো খবর