উন্নত বিশ্বে পোষা প্রাণী হিসেবে কুকুর বেশ জনপ্রিয়। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে বেশির ভাগ বাড়িতেই দু-একটি পোষা কুকুর দেখা যায়। তবে শহরে কুকুর পোষার চল নেই। ইদানীং অনেকেই কুকুর পুষতে চাইছেন। সেটা করার আগে আপনাকে কিছু জিনিস অবশ্যই জানতে হবে। নিতে হবে পূর্ব প্রস্তুতি।
পেটস পাজামাস ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই বিষয়গুলো। চলুন জেনে নেই।
.
পরিবারের সদস্যদের মতামত নিতে হবে
কুকুর পোষার আগে পরিবারের সবার মতামত নেয়াটা জরুরি। কুকুরের ওপরে কারও কোনো ধরনের অ্যালার্জি আছে কি না, কুকুর পোষাটা পছন্দ করে কি না- এই বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। ভাড়া বাসায় থাকলে বাড়িওয়ালার কাছেও ব্যাপারটা শেয়ার করতে হবে। সবাই রাজি হলেই কুকুর পোষার দিকে আগানো ভালো।
.
সময় আছে তো?
পোষা প্রাণীর যত্ন নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় আছে কি না, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। একটি শিশুর মতোই একটি কুকুরের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাকে সময় দিতে হয় এবং প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এর জন্য যে আলাদা সময় বের করতে পারবেন কি না, সেই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।
.
প্রশিক্ষণ দিতে হবে
একটি কুকুর ছানাকে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এর মধ্যে আছে নির্দিষ্ট জায়গায় বাথরুম করা, দরকারি জিনিস চিবিয়ে নষ্ট না করা, কাউকে কামড় না দেয়া ইত্যাদি। প্রশিক্ষণ দেবার আগে কীভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হয়, সেটা শিখে নেওয়া জরুরি। এ জন্য কুকুরটির পেছনে বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করতে হবে। এসব ব্যাপারে ধৈর্য আছে কি না, সেই বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে।
.
বাইরে নিয়ে যাওয়া
পোষা কুকুরকে দিনের কিছুটা সময় বাইরে খেলাধুলা করাতে ও হাঁটাতে নিয়ে যেতে হয়। আকার অনুযায়ী আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় দিতে হয়। এই সময়ও দিতে পারবেন কি না তা বুঝে নিতে হবে।
.
কুকুর পোষার মতো জায়গা আছে তো?
কুকুরের জন্য মোটামুটি বড় জায়গা দরকার। আপনার বাসায় সে রকম জায়গা আছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বড় আকারের কুকুরের জন্য প্রচুর জায়গা প্রয়োজন। তাই অ্যাপার্টমেন্টে পালার জন্য ছোট আকারের কুকুর বেছে নেওয়াই ভালো।
.
বাড়তি খরচের জন্য প্রস্তুত থাকুন
একটি কুকুর পালা অনেক ক্ষেত্রেই বেশ ব্যয়বহুল। ওর জন্য বিশেষ খাবার, খেলনা, ভ্যাকসিন এবং ডাক্তার দেখানো সব কিছুই বেশ খরচসাপেক্ষ। তাই এই ব্যয় বহন করতে আপনি সক্ষম কি না, সেটা আগেই উপলব্ধি করে নিন।
.
অন্যান্য বিষয়
বিশেষ প্রয়োজনে যদি দূরে যেতে হয়, তাহলে আপনার কুকুর কোথায় থাকবে, সেই ব্যবস্থাও আগে করে নিতে হবে। কারণ কুকুরটিকে তো আর একা ঘরে রেখে যাওয়া যাবে না।
কুকুরের ভ্যাকসিন দেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। দিনে একবার এদের দাঁত মাজতে হবে এবং মাসে একবার নখ কেটে দিতে হবে। যতটা জলদি সম্ভব কুকুরের ‘নিউটার’ বা বন্ধ্যা করানোর ব্যবস্থাও নিতে হবে।