বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্মোহিত করার দিন আজ

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৪৩

আজকের দিনটিতে মনের গভীর মনোনিবেশকে নতুন করে ঝালিয়ে নিতে পারেন। কারণ আজ ওয়ার্ল্ড হিপনোটিজম ডে বা বিশ্ব সম্মোহন দিবস। হিপনোটিজম সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরির লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে ৪ জানুয়ারিতে প্রথম উদ্‌যাপন করা হয় দিনটি।

কৃষ্ণের বাঁশির সুরে সম্মোহিত রাধা ভেঙেছিলেন সমাজ-সংসারের বেঁধে দেয়া রীতি। এভাবে সম্মোহনী শক্তিতে মানুষকে তীব্র ভাবে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা খুব কম জনেরই থাকে।

তবে অল্পবিস্তর সম্মোহনের দক্ষতা বা ক্ষমতা প্রতিটি মানুষেরই আছে। এমনকি সম্মোহিত হওয়ার বৈশিষ্ট্যও প্রাকৃতিক ভাবে ধারণ করে প্রতিটি মানুষ।

জাদুবিদ্যায় অহরহ ব্যবহৃত হয় সম্মোহনের কৌশল, মনের চিকিৎসাতেও অনেক সময় কাজে লাগানো হয় একে। সম্মোহনের শক্তি এতটাই তীব্র, যা প্রভাব ফেলে মানুষের মনোজগতে।

মনোবিজ্ঞানের ভাষায়, মানুষের মনের তিনটি পর্যায় আছে, চেতন, অবচেতন ও অচেতন। চেতন অবস্থা হলো তাই, যখন আমরা সজ্ঞানে জেনে বুঝে কোনো কাজ করি বা সিদ্ধান্ত নেই।

আর অবচেতন স্তরের অবস্থান চিন্তার গভীরতম অংশে। সেই অবচেতন মনের ওপর প্রভাব বিস্তার করাকেই বলা হয় সম্মোহন বা হিপনোটিজন। সচেতন ভাবে সম্মোহিত করার ক্ষমতা যে কেউ অর্জন করতে পারেন, তবে এর জন্য প্রয়োজন গভীর মনোনিবেশ।

আজকের দিনটিতে সেই গভীর মনোনিবেশকে নতুন করে ঝালিয়ে নিতে পারেন। কারণ আজ ওয়ার্ল্ড হিপনোটিজম ডে বা বিশ্ব সম্মোহন দিবস। হিপনোটিজম সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরির লক্ষ্যে ২০০৪ সাল থেকে ৪ জানুয়ারিতে প্রথম উদ্‌যাপন করা হয় দিনটি।

পশ্চিমা মনোবিদ্যায় প্রথম সম্মোহনের ধারণা পাওয়া যায় ১৭৭০ সালে। এর উদ্ভাবন করেছিলেন জার্মান চিকিৎসক ফ্রাঞ্জ মেসমের। তাই সম্মোহনের পিতাও বলা হয় তাকে। ১৭৩৪ সালে জন্ম নেয়া এই বিজ্ঞানী ভিয়েনা ও প্যারিসে তার রোগীদের মানসিক চিকিৎসায় বিশেষ থেরাপি দিয়েছিলেন। মেসেমেরের এই পদ্ধতি অন্য চিকিৎসকদেরও আগ্রহী করে তুলেছিল। তারা এই থেরাপির নাম দিয়েছিলেন ‘মেসমেরিজম’।

ওই সময়ে সম্মোহনকে দেখা হতো জাদুবিদ্যা হিসেবে। ফলে এমন থেরাপিকে দমনের সিদ্ধান্ত নেয় তখনকার সমাজব্যবস্থা। পরে স্কটিশ সার্জন জেমস ব্রেইড ‘হিপনোটিজম’ ও ‘হিপনোসিস’ বিষয়টিকে ফের সামনে নিয়ে আসেন।

২০০৪ সালে আমেরিকান হিপনোটিস্ট টম নিকোলি এবং ওয়ার্ল্ড হিপনোটিজম কমিটি ৪ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড হিপনোটিজম ডে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। লক্ষ্য ছিল, সম্মোহনের প্রকৃত উপকারিতা তুলে ধরা এবং অপপ্রচার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। একইসঙ্গে সম্মোহন বিশেষজ্ঞদের অনুপ্রেরণা দেয়াও ছিল অন্যতম লক্ষ্য।

পৌরাণিক গল্পগুলোর ব্যাখ্যা, তার সাপেক্ষে প্রমাণ হাজির করা, বিনামূল্যে পরামর্শ দেয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সম্মোহনের ইতিবাচক প্রভাবগুলো তুলে ধরে প্রাথমিক ভাবে দিনটি উদযাপিত হয়।

সম্মোহিত একজন মানুষ তাকে হিপনোটাইজ করা ব্যক্তির ইচ্ছা অনুযায়ী অনুভব করা, ঘ্রাণ নেয়া এবং উপলব্ধি করতে পারেন।

সম্মোহনের আপাত ফল হল সংবেদনশীলতার রূপান্তর। নির্দিষ্ট কোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়া কিংবা আত্মসচেতনতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয় এ কৌশল। সম্মোহিত অবস্থার প্রভাবগুলো পরবর্তী সচেতন অবস্থাতেও কার্যকর থাকে। তাই এর মাধ্যমে জীবনের একঘেয়ে দৃষ্টিভঙ্গী বদলানোর সুযোগ মিলতে পারে। ফেলে আসা দিনের সুখস্মৃতিও নতুন করে আনন্দের ঢেউ তুলতে পারে জীবনে।

এ বিভাগের আরো খবর