বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অন্তর্মুখীদের ডুবে যাওয়ার দিন আজ

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫৬

জার্মান মনোবিজ্ঞানী ফেলিসিটাস হেইন প্রথম ২ জানুয়ারি বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবস পালনের প্রস্তাব করেন। কেন দিনটি বেছে নিলেন, তারও যুক্তি তুলে ধরেন তিনি। হেইনের মতে, সারা বিশ্বের অন্তর্মুখীরা বড়দিন থেকে বর্ষবরণ পর্যন্ত চলা ম্যারাথান উৎসব শেষে এ দিন হাঁপ ছাড়ার সুযোগ পান।

শেষ হলো বর্ষবিদায় আর বরণের হই-হুল্লোড়। আজকের দিনটি হোক নীরবতার। অন্তর্মুখীরা আজ সব ব্যস্ততা পাশে সরিয়ে নিজস্ব জগতে ডুব দিয়ে খানিকটা প্রশান্তি আর স্বস্তি খুঁজে নিতে পারেন। ২ জানুয়ারি উদযাপন করা হয় ওয়ার্ল্ড ইনট্রোভার্ট ডে বা বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবস। অন্তর্মুখিনতাকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করার জন্য এই বিশেষ দিন, যার শুরু ২০১২ সালে।

এ দিন কোনো উৎসব নয়, বরং সব আয়োজন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার দিন। নিজস্ব বিচ্ছিন্নতা খুঁজে নিয়ে অন্তর্মুখীদের নিজের জগতে হারানোর দিন।

গবেষণা বলছে, অন্তর্মুখী মানুষ একটু শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করেন। দূরে থাকতে চান সামাজিক রীতিনীতি আর কোলাহলমুখর আয়োজন থেকে। আবার কেউ কেউ আছেন, যারা নিজস্ব ভাবনায় বুঁদ হয়ে থাকতে পছন্দ করেন।

দিনটির প্রচলন হয় জার্মান মনোবিজ্ঞানী ফেলিসিটাস হেইনের হাত ধরে। ‘হ্যাপিলি ইন্ট্রোভার্ট এভার আফটার’ নামের একটি বইও লিখেছেন তিনি। গ্রন্থটির ই-বুক সংস্করণ ইন্টারনেট থেকে বিনা খরচে পড়ারও সুযোগ আছে।

২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের কথা। নিজের ওয়েবসাইট ‘আইপারসনিক’-এ একটি ব্লগ লিখেছিলেন হেইনে। শিরোনাম ছিল ‘হিয়ার’জ হোয়াই উই নিড অ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্ট্রোভার্ট ডে’ বা ‘কেন আমাদের বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবস প্রয়োজন, তা পাবেন এখানে।' এই নিবন্ধটি বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবস উদযাপনের প্রয়োজনীয়তার ধারণাকে উসকে দেয়।

নিবন্ধে হেইনে বলেছিলেন, অন্তর্মুখীদের স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিশ্ববাসীর সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় অন্তর্মুখীরা যেসব বৈষম্যের শিকার সেগুলোও তিনি তুলে ধরেন নিবন্ধে।

ওই নিবন্ধে ২ জানুয়ারি বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবস পালনের প্রস্তাব রাখেন হেইনে। কেন দিনটি বেছে নিলেন, তারও যুক্তিও তুলে ধরেন তিনি। হেইনের মতে, সারা বিশ্বের অন্তর্মুখীরা বড়দিন থেকে বর্ষবরণ পর্যন্ত চলা ম্যারাথান উৎসব শেষে এ দিন হাঁপ ছাড়ার সুযোগ পান।

মনোবিজ্ঞানের দিক থেকে অন্তর্মুখিনতাকে একটি ধারণা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন সুইস মনোচিকিৎসক কার্ল গুস্তাভ জং। ১৯২১ সালে প্রকাশিত হয় তার লেখা বই ‘সাইকোলজিক্যাল টাইপস’।

তার মতে, মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একদল অন্তর্মুখী, অন্যদল বহির্মুখী। সেই মনোবিজ্ঞানী অন্তর্মুখী মানুষকে প্রাচীন গ্রিক দেবতা অ্যাপোলোর সঙ্গে তুলনা করেন। তার দাবি, গ্রিক দেবতা অ্যাপোলো যেমন সব কিছু গভীরভাবে অনুধাবন করতেন, সেই বিষয়টি আছে অন্তর্মুখীদের মধ্যে।

অন্তর্মুখী মানুষেরা অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর বেশি জোর দেন বলেও জানান তিনি। এর ফলে তারা সামাজিক আচার অনুষ্ঠান, হট্টগোল থেকে দূরে থাকতে চান। এরপর আরও অনেক মনোবিজ্ঞানী অন্তর্মুখী মানুষের বৈশিষ্ট্যের বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর