ফুলে ফুলে ঘুরে তিলে তিলে চাক গড়ে মৌমাছি। নিজেদের প্রয়োজনে মধুমক্ষিকার অর্ধবৃত্তাকার সে সুরম্য সৌধ নিমেষেই গুঁড়িয়ে দেয় মানুষ। কীভাবে সেটি করা হয়, তা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্ণধার।
অনলাইন শপ দেশির উদ্যোক্তা হাসানুল বান্না নিউজবাংলাকে জানান, চাক থেকে মধু সংগ্রহের আগে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। শুরুতে মৌয়াল বা মধু সংগ্রহকারীরা বেশ কিছু খড় জড়ো করে এক ধরনের পিণ্ড বানায়। একে কোনো কোনো এলাকায় বুন্দা বলা হয়। সে বুন্দা দিয়েই মূলত মৌমাছি তাড়ানো হয়।
বান্না আরও জানান, মৌয়াল মগডালে বা ভবনের কার্নিশে চাকের কাছাকাছি গিয়ে খড়ের সে বুন্দায় আগুন ধরান। সে আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়া একেবারে কাছাকাছিতে নিয়ে গেলে মৌমাছিগুলো চাকের আশপাশে উড়তে থাকে।
মধু সংগ্রহের চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে এ উদ্যোক্তা বলেন, মৌয়াল দা বা কাঁচি দিয়ে চাক কেটে বালতিতে রাখেন। এরপর সে চাক থেকে মধু হাত দিয়ে চিপে আলাদা করা হয়। চাক কাটা হয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর আবার তা বানাতে তৈরি শুরু করে মৌমাছি।
বান্নার বক্তব্যের সঙ্গে কিছু বিষয় যোগ করেন সিরাজগঞ্জভিত্তিক ‘নাহল মাল্টি এগ্রো’ নামের প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জহুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চাক কাটতে গাছে বা কার্নিশে ওঠার আগে মৌয়ালকে কিছু দক্ষতা অর্জন করতে হয়। গাছে বা ভবনে খুব ধীরে ধীরে ওঠার কৌশল রপ্ত করা লাগে তার।
চাক মধুতে পূর্ণ হয়েছে কি না, সেটা বোঝার উপায় নিয়েও কথা বলেন জহুরুল। তার ভাষ্য, বেশিরভাগ মৌচাকে মধু থাকে উপরের অংশে। যখন মৌচাকটির উপরের দিক বেশ ভারী এবং নিচের দিক সরু হয়ে যায় তখনই সেটি মধুতে পূর্ণ হয়ে যায়। নিয়মিত যারা মধু সংগ্রহ করেন, তারা সেটি বোঝেন।