রসুন এমন একটি খাদ্য উপাদান, যার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ঔষধি হিসেবে রসুনের রয়েছে অনন্য কিছু কার্যকারিতা। ফ্যাক্টি হেলথ সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে রসুনের আশ্চর্য কিছু গুণের কথা।
জানা যায়, রসুনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। এ ছাড়া রসুন থেকে ভিটামিন সি, বি-৬, সেলেনিয়াম, কপার ও জিঙ্কের মতো উপাদানও পাওয়া যায়। চলুন রসুনের কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেয়া যাক।
রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
আপনার যদি সাধারণ জ্বর বা সর্দি-কাশিতে ভোগার সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ওষুধ হলো খাবারে রসুন রাখা।
১২ সপ্তাহের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ প্রতিদিন অন্তত ২.৫৬ গ্রাম রসুন খেয়েছেন, তারা এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়নি। এমনকি অন্যান্য সাধারণ অসুখ-বিসুখও তাদের আক্রান্ত করতে পারেনি।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা সৃষ্টির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে উচ্চ রক্তচাপ। এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে রসুন ওষুধের ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত খাদ্যে রসুনের উপস্থিতি আপনার হৃদরোগসহ হাইপারটেনশনের মতো অন্যান্য সমস্যা দূরে রাখবে।
চুল পড়া কমায়
বিভিন্ন কারণে চুল পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। এর পেছনে খাদ্যাভ্যাস এবং পরিবেশ অনেকাংশে দায়ী। এসব সমস্যা এড়াতে রসুন ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়ম করে চুলের গোড়ায় রসুনের পেস্ট লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হওয়ার পাশাপাশি নতুন চুলও গজায়।
তেল হালকা গরম করে রসুন মিশিয়ে মাথায় মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যাবে। তবে এসবের পর অবশ্যই শ্যাম্পু করা জরুরি।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
মানুষের দেহে খারাপ এবং ভালো দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকতে পারে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া বিপদের লক্ষণ। তবে রসুন খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।
ব্রণ থেকে মুক্তি দেয়
রসুনে প্রচুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকে। এসব উপাদান ব্রণের সমস্যা থেকে ত্বককে মুক্ত রাখে।
মুখভর্তি ব্রণ থাকলে রসুনের পেস্ট বানিয়ে তার ওপর লাগিয়ে রাখুন। সঙ্গে অল্প পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিলে উপকার পাওয়া যাবে।
মধু ও রসুনের এই পেস্ট ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস করে। পাশাপাশি দ্রুত ব্রণ শুকাতে সহায়তা করবে।
তারুণ্য ধরে রাখে
প্রতিদিন খালি পেটে এক কোয়া রসুন খান। এটিই হতে পারে আপনার তারুণ্য ধরে রাখার অন্যতম উপায়। রসুনের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি বার্ধক্যজনিত সব সমস্যা থেকে শরীরকে মুক্ত রাখবে।