বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিরক্তিকর সহকর্মীর যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৬

আপনার সহকর্মীটি যদি চূড়ান্ত অসহনীয় হয়ে ওঠে, এর পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে চেষ্টা করুন। দেখবেন এমন অনেক কিছুই পাওয়া যাবে, যা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। সেগুলো এড়িয়ে যান।

অনেক সময় দেখা যায়, অফিসে সহকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ আচার-আচরণের দিক থেকে খুবই বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। নানাভাবে মানসিক পীড়া দিতে থাকে। ফলে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা তো হয়ই, যেতে হয় যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে। ফলে কোনো কাজই ঠিকমতো করা যায় না।

গ্লাসডোর সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ ধরনের সহকর্মীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক-

পজিটিভ থাকুন

নিজেকে সব সময় পজিটিভ রাখার চেষ্টা করুন। আপনার বিরক্তিকর সহকর্মীটি কী করছেন সেদিকে প্রয়োজন না হলে নজর দেবেন না। তা না হলে আপনার কাজের ওপর প্রভাব পড়বে। মনে রাখতে হবে অফিস কাজের জায়গা। এখানে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা আসবেই। অনেক সময় সহকর্মী কাজের চাপেও খিটখিটে আচরণ করতে পারেন। এসব মনে না রেখে কাজের কথা ভাবুন। সবচেয়ে বড় কথা, অফিসের কোনো কিছু ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না।

নিজেদের পছন্দের জায়গা

এমন কিছু খুঁজে বের করতে চেষ্টা করুন যেটি আপনাদের দুজনেরই পছন্দ। এতে সমস্যা অনেকাংশেই সমাধান হয়ে যায়। সেই আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা বলুন। এতে আপনার প্রতি তার রূঢ়ভাব চলে যাবে। হতে পারে এর পরে তিনি আপনার প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন। যখনই তিনি বিরক্তিকর কিছু করতে যাবেন, তার পছন্দের বিষয় নিয়ে কথা বলে সেটি করা থেকে বিরত রাখতে পারবেন।

অতিরিক্ত দোষ খুঁজতে যাবেন না

আপনার সহকর্মীটি যদি চূড়ান্ত অসহনীয় হয়ে ওঠেন, এর পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে চেষ্টা করুন। দেখবেন এমন অনেক কিছুই পাওয়া যাবে, যা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। সেগুলো এড়িয়ে যান। যদি তার সব সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাতে থাকেন, তাহলে দেখা যাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

দয়াশীল হোন

বিরক্তিকর সহকর্মীর যন্ত্রণা থেকে বাঁচার আরেকটি মোক্ষম উপায় হলো দয়াশীল হওয়া। তিনি হয়তো আপনাকে নানাভাবে বিরক্ত করার চেষ্টা করবেন। আপনি এতে রাগ না করে বরং তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। অনেকের স্বভাবই থাকে যেকোনো কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করা। তাই তার প্রতি দয়াশীল হোন। এতে তিনি মানসিকভাবে অনুতপ্ত হবেন এবং আপনার সঙ্গে খারাপ কিছু করার আগে তার মধ্যে অনুশোচনা তৈরি হবে।

পাল্লা দেবেন না

বিরক্তির চূড়ান্তসীমায় পৌঁছে গেলে অনেকেই মুখে মুখে জবাব দিয়ে ফেলেন। এ ছাড়া কিছু করারও থাকে না। তবে এসব যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে এটি পুরোপুরি কার্যকরী পন্থা নয়। তিনি হয়তো নানাভাবে আপনার মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি খুবই ভদ্রভাবে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে তিনি অনেকাংশেই আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

কথাবার্তায় সাবধানতা

স্পষ্টভাষী হওয়া বা যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা অবশ্যই ভালো গুণ। তবে সব সময় এটি না করে ক্ষেত্রবিশেষে করাই ভালো। বিশেষ করে অফিসে যা বলার মেপে বলুন। আপনার বিরক্তিকর সহকর্মীটি হয়তো আপনার যেকোনো দোষ ধর‍তে ওত পেতে বসে আছে। তাকে সে সুযোগটি দেবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় কাজের কথা ব্যতীত অন্য কোনো আলোচনা না করা।

এ বিভাগের আরো খবর