রুবিকস কিউব আবিষ্কৃত হয় ১৯৭৪ সালে। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে মজার এই জিনিসটিতে নানা পরিবর্তন হয়েছে। বেরিয়েছে নতুন নতুন অনেক ফর্মুলা।
২০২১-এর ২৮ মার্চ হংকংয়ের নিনা মলের একটি রুবিকস কিউবের নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডে জায়গা করে নেয়। ২.৫০৩ মিটার X ২.৫০৫ মিটার X ২.৫০৩ মিটার আকারের এই কিউবটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রুবিকস কিউব বলে বিবেচিত।
এটি তৈরি করতে প্রায় ৩ মাস সময় লেগেছিল। ২০২১-এর ২৩ জুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে কিউবটি তৈরির সময়কার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। দুই দিনের ভেতরেই ভিডিও ক্লিপটিতে লাখের বেশি ভিউ হয়েছিল।
ভিডিওটিতে দেখানো হয়, অনেকে মিলে কীভাবে কিউবের ব্লকগুলো একে একে তৈরি করছে এবং ডিজাইন অনুযায়ী বসাচ্ছে। এই কিউবটি দানবাকৃতির হলেও, ডিজাইন ঠিক ছোট পকেট কিউবের মতোই।
নিউজ উইক এক প্রতিবেদনে বলেছে- কিউবটি বিশাল আকারের হলেও এটি সাধারণ কিউবের মতো সমাধান করা যাবে। তবে সমাধান করতে একাধিক মানুষ লাগবে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কিউবটির একেকটি সারি ঘোরাতেই প্রায় চারজন মানুষের প্রয়োজন হচ্ছে।
মার্চে কিউবটি তৈরি করার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নিনা মলে এটিকে প্রায় এক মাস প্রদর্শন করে রাখা হয়।
নিনা মলের এই কিউবটি ২০১৯ সালে বানানোর পর ব্রিটিশ পাজল মেকার টনি ফিশারের কিউবটির রেকর্ড ভেঙে দেয়। এর আগ পর্যন্ত সেটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রুবিকস কিউব। যার আকৃতি ছিল- ২.০২ মিটার X ২.০২ মিটার X ২.০২ মিটার।
২০১৯-এর নভেম্বরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কিউবটির ভিডিও প্রকাশ করেছিলেনন টনি ফিশার। তবে নিনা মলের কিউবটির সঙ্গে টনির কিউবের পার্থক্য হলো- টনি সেটি একাই তৈরি করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে টনির সময় লেগেছিল ৩৩০ ঘণ্টা।
নিনা মলের কিউবটি তার কিউবের রেকর্ড ভেঙে দেয়ার পর, টনি সেটিকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে দিতে ভোলেননি যে তিনি কিন্তু একাই এত বড় কিউব বানিয়েছিলেন যেখানে নিনা মলের কিউবটি একগাদা শ্রমিক মিলে তৈরি করেছে। টনি আরও জানান, ভবিষ্যতে তার আরও বড় কিউব বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে।